love guru
Friday, January 5, 2018
Thursday, February 13, 2014
ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস প্রসঙ্গে কিছু কথা :
ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস প্রসঙ্গে কিছু কথা :
আগামী কাল ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, সারা পৃথিবী মাতবে বেহায়াপনা এবং অশ্লীলতায়। তারা এ দিনটিকে ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করবে। বেগানা পুরুষ মহিলা বেলেল্লেপনার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিবে।
নাউযুবিল্লাহ !!
পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, সারা পৃথিবীর অসংখ্য মুসলমান নামধারী কিছু পাবলিক বিধর্মীদের এই অশ্লীল হুজুগেও গা ভাসিয়ে দিবে। অনেকে হারাবে তার সতীত্ব, পরিশেষে সবাই হারাবে ঈমান।
এই ভ্যালেন্টাইন ডে কি মুসলমানদের কোন ঐতিহ্য ??
এই ভ্যালেন্টাইন ডে বা তথাকথিত ভালোবাসা দিবস আদৌ কোন ইসলামিক বিষয় নয়। কিন্তু হুজুগে মাতা বাঙ্গালী হুজুগে মেতে নিজেদের ঈমান আমল উভয়ই অকাতরে বিসর্জন দিচ্ছে।
আসুন আমরা ভ্যালেন্টাইন ডে সম্পর্কে ইতিহাসে কি আছে সেটা অবলোকন করি।
The new Encyclopedia Britannica এবং Encyclopedia Americana সহ আরো অনেক গ্রন্থে জানা যায়,-
" রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রী নাম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। চিকিৎসা বিদ্যায় সে ছিল অভিজ্ঞ। খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসে আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দী ছিল তখন তরুন-তরুনীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানার জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিত। বন্দী অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। এসময় মেয়েটির সাথে তার হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে- " from your Valentine"। অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে" হিসেবে ঘোষণা দেয়।
আরো একজন ভ্যালেন্টাইনের নাম পাওয়া যায় ইতিহাসে। রোমান সম্রাট ক্লাডিয়াস যুদ্ধের জন্য ভালো সৈন্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যুবকদের বিয়ে করতে নিষেধ করে। কিন্তু সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গ করে প্রেম করে, পরে আইন ভেঙ্গে বিয়ে করে। ফলে তাদের মৃত্যুদন্ড হয়।
মূলত এরও বহু আগে থেকে রোমানদের দুটি প্রথা বা অনুষ্ঠান চালু ছিলো।
১. প্রেম এবং বিয়ে।
২. পুরুষের পুরুষত্ব ও মেয়েদের মেয়েলীত্ব ক্ষমতা বিষয়ে উৎসব।
লুপারকালিয়া এসব উৎসবের অন্যতম। এই অনুষ্ঠান হতো ১৫ ই ফেব্রুয়ারি। এর আগের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি তরুন-তরুনীরা লটারীর মাধ্যমে নাচের পার্টনার নির্বাচন করতো। ৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দুই দিনের পরিবর্তে একদিন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। অনেকে মনে করতো, ১৪ ফেব্রুয়ারি পাখিরা তাদের সঙ্গী বেছে নেয়।
এদিনটা পালনের ক্ষেত্রে রোমানরা লটারী করে তাদের পছন্দনীয় পুরুষ এবং মহিলা নির্বাচন করতো। ১৭০০ সালের দিকে ইংরেজ রমনীরা কাগজে তাদের পরিচিত পুরুষদের নাম লিখে পানিতে ছুড়ে মারত কাদামাটি মিশিয়ে। যার নাম প্রথমে ভেসে উঠতো সেই হতো প্রকৃত প্রেমিক।
ষোড়শ শতাব্দীর থেকে কাগজের কার্ড বিনিময় শুরু হয়। ১৮০০ সাল থেকে তামার প্লেটে একই ডিজাইনের অনেক কার্ড ছাপা হয়। এভাবেই এ তথাকথিত ভালোবাসা দিবস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।
মূলত এ তথাকথিত ভালোবাসা দিবস আমাদের বাঙ্গালী কোন সাংস্কৃতি ন, এবং মুসলমানদের সাংস্কৃতিতো অবশ্যই না।
কিন্তু তারপরও এই অশ্লীল ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে খুব দ্রুত ছিড়িয়ে পরেছে। পশ্চিমাদের পা চাটা কুত্তা নাস্তিক এজেন্ট শফিক রেহমান পশ্চিমাদের কাছে আরো বেশি প্রিয় এবং এদেশের হুজুগে মাতা বাঙ্গালীদের কাছে একটি তথাকথিত সংস্কৃতির প্রবক্তা সাজার উদ্দেশ্যে এবং বাহবা কুড়ানোর আশায় ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক "যায়যায় দিন" পত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তন ঘটিয়েছে। শুধু শফিক রেহমানই নয়, এর পিছনে আরো অনেক ইসলাম বিদ্বেষী মহলের কার্যক্রম জড়িয়ে আছে।
সম্মানিত মুসলমান সমাজ !! এই হলো ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডের ইতিহাস এবং আমাদের দেশে এই অপসাংস্কিতি বিস্তারের পটভূমি।
এখন আপনারাই চিন্তা করে দেখুন, এই অশ্লীল বেহায়াপনার সাংস্কৃতি কি আমরা পালন করতে পারি ?
আমরা কি এই বিধর্মী দের বল্গাহীন জীবনের স্রোতে গাভাসিয়ে দিতে পারি ?
কখনোই না। কারন আমরা মুসলমান, আমরা ইসলাম বহির্ভূত কোন কাজ করতে পারি না।
আমরা বিধর্মী দের বেহায়াপনায় গাভাসিয়ে দিতে পারি না।
ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত কোন প্রেম ভালবেসা সমর্থন করে না। এ ধরনের সকল প্রেম ভালোবাসা জিনার সামিল।
মূলত, বিধর্মীদের এসব কোন বাছবিচার নেই, তারা শত শত অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। তারা অসংখ্য অবৈধ সন্তান প্রতিনিয়ত জন্ম দিচ্ছে। পরকীয়া প্রেম তাদের নিত্তনতুন ব্যাপার। তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন ভালবেসা নেই। ভালবাসার বন্ধন নেই, প্রতিমাসে তারা স্বামী বা স্ত্রী পরিবর্তন করে। তারা বিভিন্ন অশান্তিতে লিপ্ত..।
আর এসব থেকে উত্তরন লাভের জন্য বিধর্মীরা তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়।
অথচ, ইসলামের প্রতিটা দিনই হচ্ছে, স্বামী- স্ত্রীরা অগাধ ভালোবাসার দিন। হাদীস শরীফে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রেরন দিয়ে বর্নিত আছে, তোমাদের মধ্যে ঐ লোক উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।"
আবার স্বামীর প্রতি ভালোবাসার প্রেরন দিয়ে বলা হয়েছে- আল্লাহ পাক ছাড়া যদি কাউকে সিজদা করা জায়িয হতো, তবে আমি স্ত্রী দের বলতাম যেন স্বামীদের সিজদা করে। "
এরকম, স্ত্রীরা হাসিমুখে কথা বলা, হাসি মুখে তাকানো, স্ত্রীকে সাহায্য করা, অপর দিকে স্বামীর খেদমত, ভালোবাসা, সম্মান ইত্যাদি সম্পর্কে হাদীস শরীফে বিস্তারিত তাগিদ দেয়া হয়েছে ।
সূতরাং, পবিত্র ইসলামের সুন্দর বিধান বাদ দিয়ে বিধর্মী দের প্রবর্তিত ভ্যালেন্টাইন ডে জাতীর হারাম কুফরী দিবসে মুসলমানদের অংশগ্রহণ জায়িয নেই। কারন তথাকথিত ভালোবাসার দিবসের নামে বেপর্দা, বেহায়াপনা, নির্লজ্জ উৎসব হচ্ছে শয়তানের ধোঁকা এবং নফসের ওয়সওয়াসা। যা ভয়াবহ গুনাহ এবং ঈমান হারানোর কারন। ইসলামের বিধান বাদ দিয়ে এধরনের হারম কুফরী বিধান পালন করলে পরকালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে এবং জাহান্নামী হতে হবে।
আল্লাহ পাক আমাদের এসকল হারাম নাজায়িয পথ থেকে হিফাযত করুন।
আমীন! আমীন ! আমীন !!
বিঃদ্রঃ ওহাবী/খারেজী/দেওবন্দী/সালাফী/জামাতি গং পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাসে এর বিরোধিতা করতে ঝাঁপিয়ে পরে অথচ এই নোংরা অশ্লীল ভ্যালেন্টাইন ডে অাসলে বোবা শয়তানের মত চুপ থাকে। মূলত এ অপসাংস্কৃতি বিস্তারের জন্য এই ধর্মব্যবসায়ী ভন্ড ওহাবীরা দায়ী।
আগামী কাল ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, সারা পৃথিবী মাতবে বেহায়াপনা এবং অশ্লীলতায়। তারা এ দিনটিকে ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করবে। বেগানা পুরুষ মহিলা বেলেল্লেপনার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিবে।
নাউযুবিল্লাহ !!
পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, সারা পৃথিবীর অসংখ্য মুসলমান নামধারী কিছু পাবলিক বিধর্মীদের এই অশ্লীল হুজুগেও গা ভাসিয়ে দিবে। অনেকে হারাবে তার সতীত্ব, পরিশেষে সবাই হারাবে ঈমান।
এই ভ্যালেন্টাইন ডে কি মুসলমানদের কোন ঐতিহ্য ??
এই ভ্যালেন্টাইন ডে বা তথাকথিত ভালোবাসা দিবস আদৌ কোন ইসলামিক বিষয় নয়। কিন্তু হুজুগে মাতা বাঙ্গালী হুজুগে মেতে নিজেদের ঈমান আমল উভয়ই অকাতরে বিসর্জন দিচ্ছে।
আসুন আমরা ভ্যালেন্টাইন ডে সম্পর্কে ইতিহাসে কি আছে সেটা অবলোকন করি।
The new Encyclopedia Britannica এবং Encyclopedia Americana সহ আরো অনেক গ্রন্থে জানা যায়,-
" রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রী নাম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। চিকিৎসা বিদ্যায় সে ছিল অভিজ্ঞ। খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসে আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দী ছিল তখন তরুন-তরুনীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানার জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিত। বন্দী অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। এসময় মেয়েটির সাথে তার হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে- " from your Valentine"। অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে" হিসেবে ঘোষণা দেয়।
আরো একজন ভ্যালেন্টাইনের নাম পাওয়া যায় ইতিহাসে। রোমান সম্রাট ক্লাডিয়াস যুদ্ধের জন্য ভালো সৈন্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যুবকদের বিয়ে করতে নিষেধ করে। কিন্তু সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গ করে প্রেম করে, পরে আইন ভেঙ্গে বিয়ে করে। ফলে তাদের মৃত্যুদন্ড হয়।
মূলত এরও বহু আগে থেকে রোমানদের দুটি প্রথা বা অনুষ্ঠান চালু ছিলো।
১. প্রেম এবং বিয়ে।
২. পুরুষের পুরুষত্ব ও মেয়েদের মেয়েলীত্ব ক্ষমতা বিষয়ে উৎসব।
লুপারকালিয়া এসব উৎসবের অন্যতম। এই অনুষ্ঠান হতো ১৫ ই ফেব্রুয়ারি। এর আগের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি তরুন-তরুনীরা লটারীর মাধ্যমে নাচের পার্টনার নির্বাচন করতো। ৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দুই দিনের পরিবর্তে একদিন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। অনেকে মনে করতো, ১৪ ফেব্রুয়ারি পাখিরা তাদের সঙ্গী বেছে নেয়।
এদিনটা পালনের ক্ষেত্রে রোমানরা লটারী করে তাদের পছন্দনীয় পুরুষ এবং মহিলা নির্বাচন করতো। ১৭০০ সালের দিকে ইংরেজ রমনীরা কাগজে তাদের পরিচিত পুরুষদের নাম লিখে পানিতে ছুড়ে মারত কাদামাটি মিশিয়ে। যার নাম প্রথমে ভেসে উঠতো সেই হতো প্রকৃত প্রেমিক।
ষোড়শ শতাব্দীর থেকে কাগজের কার্ড বিনিময় শুরু হয়। ১৮০০ সাল থেকে তামার প্লেটে একই ডিজাইনের অনেক কার্ড ছাপা হয়। এভাবেই এ তথাকথিত ভালোবাসা দিবস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।
মূলত এ তথাকথিত ভালোবাসা দিবস আমাদের বাঙ্গালী কোন সাংস্কৃতি ন, এবং মুসলমানদের সাংস্কৃতিতো অবশ্যই না।
কিন্তু তারপরও এই অশ্লীল ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে খুব দ্রুত ছিড়িয়ে পরেছে। পশ্চিমাদের পা চাটা কুত্তা নাস্তিক এজেন্ট শফিক রেহমান পশ্চিমাদের কাছে আরো বেশি প্রিয় এবং এদেশের হুজুগে মাতা বাঙ্গালীদের কাছে একটি তথাকথিত সংস্কৃতির প্রবক্তা সাজার উদ্দেশ্যে এবং বাহবা কুড়ানোর আশায় ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক "যায়যায় দিন" পত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তন ঘটিয়েছে। শুধু শফিক রেহমানই নয়, এর পিছনে আরো অনেক ইসলাম বিদ্বেষী মহলের কার্যক্রম জড়িয়ে আছে।
সম্মানিত মুসলমান সমাজ !! এই হলো ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডের ইতিহাস এবং আমাদের দেশে এই অপসাংস্কিতি বিস্তারের পটভূমি।
এখন আপনারাই চিন্তা করে দেখুন, এই অশ্লীল বেহায়াপনার সাংস্কৃতি কি আমরা পালন করতে পারি ?
আমরা কি এই বিধর্মী দের বল্গাহীন জীবনের স্রোতে গাভাসিয়ে দিতে পারি ?
কখনোই না। কারন আমরা মুসলমান, আমরা ইসলাম বহির্ভূত কোন কাজ করতে পারি না।
আমরা বিধর্মী দের বেহায়াপনায় গাভাসিয়ে দিতে পারি না।
ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত কোন প্রেম ভালবেসা সমর্থন করে না। এ ধরনের সকল প্রেম ভালোবাসা জিনার সামিল।
মূলত, বিধর্মীদের এসব কোন বাছবিচার নেই, তারা শত শত অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। তারা অসংখ্য অবৈধ সন্তান প্রতিনিয়ত জন্ম দিচ্ছে। পরকীয়া প্রেম তাদের নিত্তনতুন ব্যাপার। তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন ভালবেসা নেই। ভালবাসার বন্ধন নেই, প্রতিমাসে তারা স্বামী বা স্ত্রী পরিবর্তন করে। তারা বিভিন্ন অশান্তিতে লিপ্ত..।
আর এসব থেকে উত্তরন লাভের জন্য বিধর্মীরা তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়।
অথচ, ইসলামের প্রতিটা দিনই হচ্ছে, স্বামী- স্ত্রীরা অগাধ ভালোবাসার দিন। হাদীস শরীফে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রেরন দিয়ে বর্নিত আছে, তোমাদের মধ্যে ঐ লোক উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।"
আবার স্বামীর প্রতি ভালোবাসার প্রেরন দিয়ে বলা হয়েছে- আল্লাহ পাক ছাড়া যদি কাউকে সিজদা করা জায়িয হতো, তবে আমি স্ত্রী দের বলতাম যেন স্বামীদের সিজদা করে। "
এরকম, স্ত্রীরা হাসিমুখে কথা বলা, হাসি মুখে তাকানো, স্ত্রীকে সাহায্য করা, অপর দিকে স্বামীর খেদমত, ভালোবাসা, সম্মান ইত্যাদি সম্পর্কে হাদীস শরীফে বিস্তারিত তাগিদ দেয়া হয়েছে ।
সূতরাং, পবিত্র ইসলামের সুন্দর বিধান বাদ দিয়ে বিধর্মী দের প্রবর্তিত ভ্যালেন্টাইন ডে জাতীর হারাম কুফরী দিবসে মুসলমানদের অংশগ্রহণ জায়িয নেই। কারন তথাকথিত ভালোবাসার দিবসের নামে বেপর্দা, বেহায়াপনা, নির্লজ্জ উৎসব হচ্ছে শয়তানের ধোঁকা এবং নফসের ওয়সওয়াসা। যা ভয়াবহ গুনাহ এবং ঈমান হারানোর কারন। ইসলামের বিধান বাদ দিয়ে এধরনের হারম কুফরী বিধান পালন করলে পরকালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে এবং জাহান্নামী হতে হবে।
আল্লাহ পাক আমাদের এসকল হারাম নাজায়িয পথ থেকে হিফাযত করুন।
আমীন! আমীন ! আমীন !!
বিঃদ্রঃ ওহাবী/খারেজী/দেওবন্দী/সালাফী/জামাতি গং পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাসে এর বিরোধিতা করতে ঝাঁপিয়ে পরে অথচ এই নোংরা অশ্লীল ভ্যালেন্টাইন ডে অাসলে বোবা শয়তানের মত চুপ থাকে। মূলত এ অপসাংস্কৃতি বিস্তারের জন্য এই ধর্মব্যবসায়ী ভন্ড ওহাবীরা দায়ী।
Sunday, February 9, 2014
বিশ্ব ভালবাসা দিবস কি ??
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের
স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব
ভালবাসা দিবস। এ ইতিহাসটির বয়স সতের শত সাঁইত্রিশ বছর হলেও ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিক কালেই। দুই শত সত্তর
সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির কথা। তখন রোমের সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস। সে সময় ভ্যালেন্টাইন নামে একজন সাধু, তরুণ প্রেমিকদেরকে গোপন পরিণয়-মন্ত্রে দীক্ষা দিত। এ অপরাধে সম্রাট ক্লডিয়াস সাধু ভ্যালেন্টাইনের শিরশ্ছেদ করেন। তার এ ভ্যালেন্টাইন নাম থেকেই এ দিনটির নাম করণ করা হয় ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ যা আজকের ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’।
বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয় ১৯৯৩ইং সালে। কিছু ব্যবসায়ীর মদদে এটি প্রথম চালু হয়। অপরিণামদর্শী মিডিয়া কর্মীরা এর ব্যাপক কভারেজ দেয়। আর যায় কোথায় !
লুফে নেয় বাংলার তরুণ-তরুণীরা। এরপর থেকে ঈমানের ঘরে ভালবাসার পরিবর্তে ভুলের বাসা বেঁধে দেয়ার কাজটা যথারীতি চলছে। আর এর ঠিক
পিছনেই মানব জাতির আজন্ম শত্রু শয়তান এইডস নামক মরণ-
পেয়ালা হাতে নিয়ে দাঁত বের
করে হাসছে। মানুষ যখন বিশ্ব
ভালবাসা দিবস সম্পর্কে জানত না, তখন পৃথিবীতে ভালবাসার অভাব ছিলনা। আজ পৃথিবীতে ভালবাসার বড় অভাব। তাই দিবস পালন করে ভালবাসার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হয়! আর হবেই না কেন! অপবিত্রতা নোংরামি আর শঠতার
মাঝে তো আর ভালবাসা নামক
ভালো বস্তু থাকতে পারে না। তাই
আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হৃদয়
থেকে ভালবাসা উঠিয়ে নিয়েছেন।
বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে চেনার জন্য আরও কিছু বাস্তব নমুনা পেশ করা দরকার। দিনটি যখন আসে তখন শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা তো একেবারে বেসামাল
হয়ে উঠে। নিজেদের রূপা-সৌন্দর্য
উজাড় করে প্রদর্শনের জন্য রাস্তায়
নেমে আসে। শুধুই কি তাই ! অঙ্কন পটীয়সীরা উল্কি আঁকার জন্য পসরা সাজিয়ে বসে থাকে রাস্তার ধারে। তাদের সামনে তরুণীরা পিঠ, বাহু আর হস্তদ্বয় মেলে ধরে পছন্দের উল্কিটি এঁকে দেয়ার জন্য। তারপর রাত
পর্যন্ত নীরবে-নিবৃতে প্রেমিক
বা প্রেমিকার সাথে খোশ গল্প। এ
হলো বিশ্ব ভালবাসা দিবসের
কর্মসূচি! বিশ্ব ভালবাসা দিবস
না বলে বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস
বললে অন্তত নামকরণটি যথার্থ হতো।
যারা ঈমানদারদের সমাজে এ ধরণের অশ্লীলতার বিস্তার ঘটায়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺤِﺒُّﻮﻥَ ﺃَﻥْ ﺗَﺸِﻴﻊَ ﺍﻟْﻔَﺎﺣِﺸَﺔُ ﻓِﻲ
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ
ﻭَﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ
‘‘ যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক
শাস্তি..।’’(সূরা আন-নূর :১৯)
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেন : “হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যথাযথ ভয়। আর তোমরা মুসলিম হওয়া ছাড়া মারা যেও না”।
Friday, January 31, 2014
আমি পারবো
ক্লাসে শিক্ষক পড়া নিচ্ছেন। প্রথমেই সামনে বসা একজন ছাত্রের নিকট একটি প্রশ্ন করলেন। ছাত্রটি শিক্ষকের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে এমন সময় উত্তর দেওয়া শেষ হবার আগেই মাঝপথে শিক্ষক বলে উঠলেন, "হচ্ছে না"।
ছাত্রটি আর কোনও কথা বলতে পারলো না।
শিক্ষক এবারে পেছনের আরেকজন ছাত্রের নিকট একই প্রশ্ন করলেন।
এবারে সেই ছাত্রটিও উত্তর দিচ্ছে এমন সময় মাঝ পথে শিক্ষক তাকেও বললেন, "হচ্ছে না"।
কিন্তু ছাত্রটি তখন থেমে না যেয়ে নতুন করে আবার উত্তর দেওয়া শুরু করলো এবং শেষ পর্যন্ত বলে গেলো। এবারে শিক্ষক জবাব দিলেন, "হ্যাঁ, হয়েছে"।
এবারে প্রথম সেই সামনে বসা ছাত্রটি বলে উঠলো, "মাফ করবেন স্যার, কিন্তু আমিও তো এই উত্তরগুলোই দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনি তো আমার উত্তরগুলো শেষ পর্যন্ত শুনলেন না"!
এবারে শিক্ষক জবাব দিলেন, "তুমি তোমার উত্তরের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলে না ! তাই আমি তোমাকে থামানো মাত্রই তুমি থেমে গিয়েছিলে, অথচ তুমি যদি থেমে না যেয়ে তোমার উত্তরের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকতে তবে অবশ্যই তোমার উত্তর বলা চালিয়ে যেতে।"
শিক্ষক এবারে সকল ছাত্রদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, "এই ব্যাপারটা সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তোমাকে যখনই কেউ থামাতে আসবে তখনই নিজেকে প্রমান করবে - "আমিও পারি"।
কিন্তু অন্যের কথামত থেমে যাওয়ার অর্থই হল নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া।
শিক্ষক আরও বললেন, "তোমরা অনেকবার এমন কিছু কথা শুনবে-
"না,তুমি পারবে না।"
তখনই তোমাকে প্রমান দিতে হবে "আমি পারবো"।
তোমাকে অনেকে বলবে, "হতে পারবে না"।
তখনই তোমাকে প্রমান দিতে হবে, "আমি হয়ে দেখিয়েছি "।
"মনে রাখবে, মানুষ সর্বদা তোমাদেরকে থামাতে চাইবে, কিন্তু তুমি যদি জানো যে তুমি ঠিক করছ তাহলে অবশ্যই সে অনুপাতে কাজ করে তার প্রমান দিতে হবে। আর যদি প্রমান দিতে না পারো তাহলে বুঝতে হবে "তুমি শুধুই বাকপটু, এছাড়া কোনও গুন নেই"।
ছাত্রটি আর কোনও কথা বলতে পারলো না।
শিক্ষক এবারে পেছনের আরেকজন ছাত্রের নিকট একই প্রশ্ন করলেন।
এবারে সেই ছাত্রটিও উত্তর দিচ্ছে এমন সময় মাঝ পথে শিক্ষক তাকেও বললেন, "হচ্ছে না"।
কিন্তু ছাত্রটি তখন থেমে না যেয়ে নতুন করে আবার উত্তর দেওয়া শুরু করলো এবং শেষ পর্যন্ত বলে গেলো। এবারে শিক্ষক জবাব দিলেন, "হ্যাঁ, হয়েছে"।
এবারে প্রথম সেই সামনে বসা ছাত্রটি বলে উঠলো, "মাফ করবেন স্যার, কিন্তু আমিও তো এই উত্তরগুলোই দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনি তো আমার উত্তরগুলো শেষ পর্যন্ত শুনলেন না"!
এবারে শিক্ষক জবাব দিলেন, "তুমি তোমার উত্তরের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলে না ! তাই আমি তোমাকে থামানো মাত্রই তুমি থেমে গিয়েছিলে, অথচ তুমি যদি থেমে না যেয়ে তোমার উত্তরের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকতে তবে অবশ্যই তোমার উত্তর বলা চালিয়ে যেতে।"
শিক্ষক এবারে সকল ছাত্রদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, "এই ব্যাপারটা সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তোমাকে যখনই কেউ থামাতে আসবে তখনই নিজেকে প্রমান করবে - "আমিও পারি"।
কিন্তু অন্যের কথামত থেমে যাওয়ার অর্থই হল নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া।
শিক্ষক আরও বললেন, "তোমরা অনেকবার এমন কিছু কথা শুনবে-
"না,তুমি পারবে না।"
তখনই তোমাকে প্রমান দিতে হবে "আমি পারবো"।
তোমাকে অনেকে বলবে, "হতে পারবে না"।
তখনই তোমাকে প্রমান দিতে হবে, "আমি হয়ে দেখিয়েছি "।
"মনে রাখবে, মানুষ সর্বদা তোমাদেরকে থামাতে চাইবে, কিন্তু তুমি যদি জানো যে তুমি ঠিক করছ তাহলে অবশ্যই সে অনুপাতে কাজ করে তার প্রমান দিতে হবে। আর যদি প্রমান দিতে না পারো তাহলে বুঝতে হবে "তুমি শুধুই বাকপটু, এছাড়া কোনও গুন নেই"।
Thursday, December 5, 2013
তোমায় ছাড়া বড় অসহায় আমি।
আমি তো এরকম ছিলাম না । কেন এসেছিলে আমার জীবনে ? তোমার তো আসার কোন কথাই
ছিলনা । আসলেই যখন আবার চলে গেলে কেন ? কেন আজ আমি এত এলোমেলো ? আগের মত
কেন আমি আর হাসতে পারিনা ? কেন পারিনা আর আগের মত সপ্ন দেখতে ? কেন আজ
জীবনের মাঝপথে এসে মনে হয় শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি......... আমি জানি সব
অপরাধ , সব ভুল আমার । জানি আমার জন্য তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছ ......এটাও
জানি আমি তোমার বিশ্বাসের মর্জাদা রাখতে পারিনি । কোখায় জেন
শুনেছিলাম-"ভালোবাস তাকে যে তোমাকে কষ্ট দেয় ।" কথাটা কী তাহলে ভুল ছিল?
তোমার এই মিথ্যুকটা আর এখন মিথ্যা বলতে পারে না ।আমাকে তুমি যতটুকু বুঝতে
পারো অন্য কেউ তো এতটা পারে না । তাহলে কেন এত অভিমান করে আছ? আবার সব ভুলে
একটা বার তুমি আসবে ফিরে ? আর একটাবার কী আমাকে বিশ্বাস করবে ? তুমি দেখ
আমি তোমাকে অনেক যত্ন করে ভালোবাসবো । আমার সব ভালোবাসাই যে তোমার জন্য
তুলে রেখেছি......... আমাকে তুমি যে শাস্তিই দাও না কেন আমি মাথা পেতে নেব.
কেন তুমি আমাকে একা করা দূরে চলে গেলে, তোমায় ছাড়া বড় অসহায় আমি।
Monday, November 25, 2013
অনুপ্রেরণার গল্প-2
একদিন এক ভিক্ষুক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ তার ভীষণ ক্ষুধা পেল । সে কিছুদূর যাবার পর বিশাল গেটওয়ালা একটা বাড়ি দেখতে পেল । মনে মনে খুব খুশী হল এই ভেবে যে , বড়োলোকের বাড়ী আজকে একটু মজার কিছু খেতে পারবে । ভাবতে ভাবতে সে বাড়ির দারওয়ানকে বলল, সে অনেক ক্ষুধার্ত কিছু খেতে দিবে? দারওয়ান বলল, ঠিক আছে তুমি বাহিরে বস। আমি মেমসাবকে জিজ্ঞাসা করে আসি । ভিক্ষুক বলল ঠিক আছে ভাই । যখন দারওয়ান ভেতরে গেল, ভিক্ষুক দেখল একটা বড় সুন্দর খাঁচার ভেতর খুব সুন্দর একটা কুকুর । তার সামনে একটা প্লেটে অনেক মাংস দিয়ে রাখা হয়েছে। সে দেখে মনে মনে আরও খুশী হল । ভিক্ষুক মনে মনে ভাবল, কুকুরকে এতো মাংস দিছে তাহলে তো আমাকেও অনেক ভালো খাবার দিবে। এদিকে দারওয়ান যখন গৃহকর্ত্রীর কাছে গিয়ে ভিক্ষুককে খাবার দিবার কথা বলল, তখন গৃহকর্ত্রী তার উপর রেগে গিয়ে বলল, খাবার কি আকাশ থেকে পড়ে যে চাইলেই খাবার দিতে হবে ? তোর কাজ গেটে দাঁড়িয়ে থাকা, তুই এই খানে কেন এলি ? আর যদি এই ভাবে কাজ ফেলে আসবি তাহলে বিদায় করে দেব । সামান্য একটু খাবার চাইতে এসে এত কথা শুনতে হল তাকে। দারোয়ান মনে মনে খুব কষ্ট পেল । এই ভেবে আরও দুঃখ হচ্ছিল তা্র, ভিক্ষুকটা ক্ষুধা পেটে বসে আছে, কিভাবে তাকে গিয়ে বলবে, এত বড় বাড়ি দেখলে কি হবে তোমাকে একবেলা খাওয়ানোর মতন খাবার তাদের নেই । ভাবতে ভাবতে সে ভিক্ষুকের কাছে আসলো এবং বলল, ভাই ওনারা ধনী মানুষ তো, খাবার কম খায় শরীর ভাল রাখার জন্য। তাই খাবার রান্নাও করে কম, এজন্য তোমাকে দেবার মতন খাবার নাই । এই কথা বলে নিজের পকেট থেকে ৫ টাকা বের করে বলল আমার কাছে এই কয়টা টাকাই আছে, তুমি কিছু খাবার কিনে খেয়ে নিও। ভিক্ষুকের মনটা খারাপ হয়ে গেল। সে দারওয়ানের টাকাটা নিয়ে হাত তুলে দোয়া করল , হে আল্লাহ্ যে আমাকে ক্ষুধা নিবারণের জন্য তার যা ছিল তাই আমাকে দিয়ে দিল তাকে তুমি দুনিয়া এবং আখিরাতের ধনী বানিয়ে দিও । এই কথা বলে সে চলে গেল ।
কিছুদিন পর দারওয়ান একটা লটারির ১ম পুরস্কার পেল । সে ঐ টাকা দিয়ে বিজনেস শুরু করল, কিছুদিনের মধ্যেই তার অনেক টাকা হয়ে গেলে । সেই টাকা দিয়ে সে একটা আশ্রম বানাল । যেখানে অসহায়, অনাথ , বয়স্ক লোকজন থাকত ।
এদিকে যে বাড়িতে সে কাজ করতো সেই বাড়ির কর্তা হঠাৎ মারা যায় । ছেলেমেয়েরা সবাই যার যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত । বাড়ির কর্ত্রী সবার কাছে বোঝা হয়ে উঠল । সবাই মিলে তাকে ওই দারওয়ানের আশ্রমে রেখে আসলো । আসার পর দেখল তার বাড়ির এক সময়ের দারওয়ান এই আশ্রমের মালিক । ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এই আশ্রমে সেদিনের সেই ভিক্ষুকটাও থাকে ।"
<<<এইখানে আমি বলতে চাই , অসহায় ক্ষুধার্তকে কখনো ফিরিয়ে দিবেন না । কতো সময় কতো খাবার আমরা ডাস্টবিনে ফেলে দিই , অথচ একটু খাবারের জন্য কতো মানুষ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । আপনার সামান্য একটু সহানুভুতি কারো মুখে হাসি ফুঁটাতে পারে । যার যা আছে তাই দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন । অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে পারলে দেখবেন মনটা খুশিতে ভরে উঠবে। । ভাগ্য কখন কাকে কোথায় কোন অবস্থায় রাখে কেউ জানে না ।>>>
আমার এই লেখা যদি কারো মনে একটুও দাগ কাটে আর অসহায়দের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলেই আমার লেখার সার্থকতা ।
@আশাহীন@
Sunday, November 24, 2013
অনুপ্রেরণার গল্প
ভার্সিটি পাশ করে বেশ কয়েক বছর আগে বেরিয়ে যাওয়া কিছু ছাত্র ব্যাক্তিগত জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে একদিন তাদের প্রিয় শিক্ষকের বাসায় বেড়াতে এলো।
তাদের আলোচনার এক পর্যায়ে সবাই নিজ নিজে পেশাগত জীবনের চাপের কথা তাদের প্রফেসরকে জানালেন। এক সময় সবাইকে অপেক্ষা করতে বলে প্রফেসর তাদের জন্যে কফি বানিয়ে আনতে গেলেন।কিছুক্ষন পর তিনি একটি বড় কেটলিতে করে কফি ও একটা ট্রে তে করে বেশ কিছু ধরনের কাপ নিয়ে ফিরে এলেন।এই কাপগুলোর মধ্যে ছিলো চীনা মাটির কাপ,প্লাস্টিকের কাপ,স্ফটিকের কাপ-যেগুলোর কিছু ছিলো সস্তা আর কিছু ছিলো বেশ দামী ধরনের। প্রফেসর তাদের নিজেদেরকে কাপ নিয়ে কফি ঢেলে নিতে বললেন।
যখন তারা সবাই নিজেরা কফি ঢেলে নিলো তখন প্রফেসর তাদের বললেন, ‘তোমরা লক্ষ্য করলে দেখতে সব দামী কাপগুলোই তোমরা নিয়ে নিয়েছো,ট্রে তে শুধু সস্তা আর সাধারন কাপগুলো পরে রয়েছে।
এই যে তোমরা সবসময় তোমরা নিজেদের জন্যে সবচেয়ে ভালটা চাও এটাই...
তোমাদের জীবনের সমস্যা আর মানসিক চাপের কারন।
জেনে রাখো কাপ যত দামীই হোক তা কফির মধ্যে কোনো বাড়তি স্বাদ যোগ করে না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা কি খাচ্ছি এটা বরং তাকেই লুকিয়ে ফেলে।
তোমরা আসলে যা চাচ্ছিলে তা হলো কফি,কাপগুলো নয় কিন্তু তারপরও তোমরা সচেতনভাবে সবচেয়ে ভাল কাপটাই বেছে নিলে এবং তারপর একে অপরের কাপের দিকেও তাকাতে শুরু করলে।
এখন শোনোঃ
আমাদের জীবন হলো সেই কফির মত,আর চাকুরী, টাকা পয়সা আর সমাজ হলো সেই কাপটি।
এগুলো শুধু জীবনটাকে ধরে রাখার জন্য কিন্তু এগুলো আমাদের জীবনের সংজ্ঞাও নির্ধারন করে না অথবা আমাদের জীবনের সুখ ও নির্ধারন করে না।
কখনো কখনো অন্যের কাপটার দিকে তাকাতে গিয়ে আল্লাহ আমাদের সবাইকে যে কফিটা দিয়েছেন আমরা তাই উপভোগ করতে ভুলে যাই!.’’
Subscribe to:
Posts (Atom)