ঈশ্বর
যখন নারী নির্মান শেষ করিয়া, পুরুষ কে উপহার দিয়া কইলেন, যাও সুখে
শান্তিতে মর্ত্যে বসবাস করিতে থাকো...তার ৭ দিন পর, পুরুষ ঈশ্বরের
উদ্দেশ্যে মহা ক্রন্দন জুড়িল...সেই ক্রন্দনে আকাশ বাতাস কাপিয়াঁ উঠিলে,
স্বয়ং ঈশ্বর পুরুষকে সুধাইলেন, কি হে ? কি হইয়াছে ? পুরুষ কান্দন প্রায়
বিলাপে পরিনত করিয়া কহিল...ঈশ্বর, এই কি যন্ত্রনা তুমি আমাকে উপহার দিলে
!?! দোহাই তোমার।।ইহা ফিরাইয়া লও ! আমি রমনী উপহার চাই না ! আমায় মুক্তি দাও !
তার আগে কহো যে, সমস্যাটা কোথায়?! ঈশ্বর ফের জিজ্ঞেস করিলেন! এই রমনী আমার জীবন অতিষ্ট করিয়া তুলিয়াছে ! এই কাদেঁ ...এই হাসে...এই রাগে গাল ফোলায়...এই মেজাজ খারাপ করে...এই চুপ থাকে...এই মিঠা কথা কয়...এই তিতা কথা কয়...আবার এই রাগে জ্বলেপুরে মরে...আমি ইহারে বুঝিতে পারি নাপ্রভু ! তোমার জিনিস ফিরাইয়া লও !!
আমি একা ভালো ছিলাম...একাই থাকিতে পারিব...আমার অমন উপহারের দরকার নাই...!! ঈশ্বর কহিলেন, হুমন...বুঝিতে পারিলাম...কিন্তু...স্বর্গে র
নিয়ম অনুযায়ী তো আমরা উপহার ফিরাইয়া লইতে পারি না...আমরা শুধু প্রদান করি।
পুরুষ, হাউ মাউ করিয়া পুনরায় কান্দন জুড়িল...ঈশ্বর দয়া করো...আমি এই জিনিস
নিয়া পৃথিবীতে শান্তিয়ে ঘুমাইতে পারিতেছিনা না, খাইতে পারিতেছিনা...এমন কি
চলিতেও পারিতেছি না...সারাক্ষন আমারে পাহাড়ায় রাখে...নয়তঃ আমারেই তাহারে
পাহাড়া দিয়া রাখিতে হয় !!
ঈশ্বর কিছুক্ষন চুপ করিয়া কইলেন, তাহলে তুমি কইতেছো যে, এই উপহা্র তোমার যোগ্য হয় নি ?! পুরুষ তারাহুরা করিয়া কিছু না ভাবিয়াই কহিলো...অতশত বুঝিনা...উপহার আমার চাই না...নয়তঃ ঐ রমনী অখানে থাকুক, আমারে ফিরাইয়া লও প্রভু !
ঈশ্বর কহিলেন, সে তো তোমার সম্পর্কে কোনো অভিযোগ করে নি...তবে তুমি কেনো?? পুরুষ কহিল, আমি চাই না প্রভু...আমার একা জীবন-ই ভালো...আমায় ক্ষমা কর। ঈশ্বর কহিলেন, এক শর্তে আমি এই উপহার ফিরাইয়া লইতে পারি! আবার কোনো দিন এই উপহার ফিরৎ চাইতে পারবে না...ইহা অফেরৎ যোগ্য !
রাজী? পুরুষ কহিল, খুব রাজী! জীবনটা এইবার বড় বাচাঁ বেচেঁ গেলো !!
ঈশ্বর রমনী কে ধরনী হইতে উঠাইয়া আনিয়া স্বর্গে রাখিলেন। ২ দিন কাটিয়া গেলো !! ২ দিন পর, আবার পুরুষ, আসমান-জমিন কাপাঁইয়া কান্দন জুড়িল...ঈশ্বর কহিলেন, আবার কি হইলো ? পুরুষ কহিল, আমার কিছু ভাল লাগে না প্রভু, পৃথিবীতে ভীষন একা লাগে !! আমি একাকিত্বের যন্ত্রনা সইতে পারিতেছি না। আমার উপহার ফিরৎ দাও। দয়া করো!
ঈশ্বর কহিলেন, হুমন...আমি নিয়ম ভাঙ্গতে পারবো না...!! তুমি যাও...মর্ত্যে সুখে থাকো !! ভীষণ মন খারাপ করে আসার সময় ঈশ্বর সুধাইলেন, আচ্ছা...কেনো ভালো লাগছে না শুনি...?
পুরুষ কহিতে লাগিলো...আহা ওমন উপহারটি আমি কেমনে ফিরাইয়া দিলাম...সে সারাক্ষন আমার সাথে সাথে থাকিত, আমাকে মুখে তুলে খাওয়াইয়া দিতো, গান গেয়ে ঘুম পাড়াইত, কি সুন্দর মিষ্টি করে হাসিত...নিঃষ্পাপ ফুলের মত ..মন খারাপ করে বসে থাকলে মনে হতো...পৃথিবীটা শূন্য...খোচা দিয়ে কথা বললে মনে হতো...গায়ে কাঁটা দিলো...কিন্তু ভালো মন্দের বোধ শিখাইতো...মেজাজ খারাপ হইলে, তার হাতের ছোঁয়ায় মনে হইত শীতল ঝর্নার জলে পা ডুবাইয়া বসিয়া রহিয়াছি...!!
ঈশ্বর কইলেন, ব্যস ব্যস থামো...কিন্তু আমার নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম নেই !
পুরুষ চলে আসার আগে, কহিল...ঠিক আছে, আমি যাই তাহলে ! কিন্তু প্রভু...একটা প্রশ্ন ছিলো...! ঈশ্বর কহিলেন, শুধাও---পুরুষ কহিল, নারী কে এত সুন্দর করে কেনো তৈরী করলে, আর কী দিয়েই বা করলে ? ঈশ্বর হাসিয়া কহিলেন, নারী কে চিনি হইতে একটু মিষ্টি, তেতুল হইতে একটু টক, চিরতা হইতে একটু তিতা, লবনের নোনতা থেকে একটি লোনা...মরিচ হইতে একট ঝাল...নদী হইতে একটু সরলতা, সাগর হইতে একটু বিশালতা...এই রকম...আরো একশ উপাদান দিয়া...স্বর্গের সকল সৌন্দর্য্য দিয়া আমি পুরুষের জন্য উপহার হিসাবে, সৃষ্টি করিয়া মর্ত্যে পাঠাইয়াছিলাম...নির্বোধ পুরুষ তাহার মর্ম বুঝিতে পারে নি, সম্মান দেয় নি, তাই তাকে আবার ফিরাইয়া লইয়াছি।
অবঃশেষে...পুরুষ ভীষণ মন খারাপ লইয়া মর্ত্যের দিকে রওয়ানা দিলো...!
প্রায় দশ দিন পর ঈশ্বর দেখিলেন, পুরুষ নাওয়া খাওয়া ভুলিয়া...পোশাক আসাক খুলিয়া...পাগলের প্রলাপ বকিতেছে...!! ঈশ্বর দেখিয়া হাসিলেন ! কিন্তু প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গেন নি !! তারও দশ দিন পরে, পুরুষ ভীষণ অসুস্থ হইয়া...ঝরনার পাশে ভীষন অবহেলায় মৃত্যু বরন করিল। ঈশ্বর নারী বিরহে কাতর এবং প্রায় শহীদ পুরুষ কে স্বর্গবাসী করিলেন।
অতঃপর স্বর্গ হইতে নারী-পুরুষকে আবার ধরনীতে পাঠাইলেন ! তবে শর্ত দিয়া দিলেন, নারীর অমর্যাদা হইলে অথবা পুরুষের...কাওকেই আর স্বর্গ হইতে মর্ত্যে ফিরত পাঠাইবেন না ! কারন পরস্পর কে পরস্পরের জন্য উপহার হিসাবেই, তিনি মর্ত্যে পাঠাইয়াছেন।
আফসোস !! পুরুষরা এখনও এই সহজ বিষয়টা বুঝিতে পারে নাই !! কারন ঈশ্বর নিজেই পুরুষ নির্মানের সময়, গঠন-উপাদানে বৈচিত্র্য আনিতে পারেন নি, যেমন টি নারীর বেলায় করিয়াছিলেন ! সবচেয়ে মজার বিষয় হইলো, একমাত্র নারীরাই পুরুষদের এই সীমাবদ্ধতাটুকু ভালোবাসিতে পারিয়াছে, স্বয়ং পুরুষরাও এই বিষয়টি সম্পর্কে এখনও আশ্চর্যজনক ভাবে অজ্ঞাত !!
--উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় বেগম রোকেয়া কে।
নারী হিসাবে জন্ম গ্রহন করায়, যাঁর কাছ নারীরা গর্ববোধের দৃষ্টি অর্জন করে প্রতিনিয়ত !
তার আগে কহো যে, সমস্যাটা কোথায়?! ঈশ্বর ফের জিজ্ঞেস করিলেন! এই রমনী আমার জীবন অতিষ্ট করিয়া তুলিয়াছে ! এই কাদেঁ ...এই হাসে...এই রাগে গাল ফোলায়...এই মেজাজ খারাপ করে...এই চুপ থাকে...এই মিঠা কথা কয়...এই তিতা কথা কয়...আবার এই রাগে জ্বলেপুরে মরে...আমি ইহারে বুঝিতে পারি নাপ্রভু ! তোমার জিনিস ফিরাইয়া লও !!
আমি একা ভালো ছিলাম...একাই থাকিতে পারিব...আমার অমন উপহারের দরকার নাই...!! ঈশ্বর কহিলেন, হুমন...বুঝিতে পারিলাম...কিন্তু...স্বর্গে
ঈশ্বর কিছুক্ষন চুপ করিয়া কইলেন, তাহলে তুমি কইতেছো যে, এই উপহা্র তোমার যোগ্য হয় নি ?! পুরুষ তারাহুরা করিয়া কিছু না ভাবিয়াই কহিলো...অতশত বুঝিনা...উপহার আমার চাই না...নয়তঃ ঐ রমনী অখানে থাকুক, আমারে ফিরাইয়া লও প্রভু !
ঈশ্বর কহিলেন, সে তো তোমার সম্পর্কে কোনো অভিযোগ করে নি...তবে তুমি কেনো?? পুরুষ কহিল, আমি চাই না প্রভু...আমার একা জীবন-ই ভালো...আমায় ক্ষমা কর। ঈশ্বর কহিলেন, এক শর্তে আমি এই উপহার ফিরাইয়া লইতে পারি! আবার কোনো দিন এই উপহার ফিরৎ চাইতে পারবে না...ইহা অফেরৎ যোগ্য !
রাজী? পুরুষ কহিল, খুব রাজী! জীবনটা এইবার বড় বাচাঁ বেচেঁ গেলো !!
ঈশ্বর রমনী কে ধরনী হইতে উঠাইয়া আনিয়া স্বর্গে রাখিলেন। ২ দিন কাটিয়া গেলো !! ২ দিন পর, আবার পুরুষ, আসমান-জমিন কাপাঁইয়া কান্দন জুড়িল...ঈশ্বর কহিলেন, আবার কি হইলো ? পুরুষ কহিল, আমার কিছু ভাল লাগে না প্রভু, পৃথিবীতে ভীষন একা লাগে !! আমি একাকিত্বের যন্ত্রনা সইতে পারিতেছি না। আমার উপহার ফিরৎ দাও। দয়া করো!
ঈশ্বর কহিলেন, হুমন...আমি নিয়ম ভাঙ্গতে পারবো না...!! তুমি যাও...মর্ত্যে সুখে থাকো !! ভীষণ মন খারাপ করে আসার সময় ঈশ্বর সুধাইলেন, আচ্ছা...কেনো ভালো লাগছে না শুনি...?
পুরুষ কহিতে লাগিলো...আহা ওমন উপহারটি আমি কেমনে ফিরাইয়া দিলাম...সে সারাক্ষন আমার সাথে সাথে থাকিত, আমাকে মুখে তুলে খাওয়াইয়া দিতো, গান গেয়ে ঘুম পাড়াইত, কি সুন্দর মিষ্টি করে হাসিত...নিঃষ্পাপ ফুলের মত ..মন খারাপ করে বসে থাকলে মনে হতো...পৃথিবীটা শূন্য...খোচা দিয়ে কথা বললে মনে হতো...গায়ে কাঁটা দিলো...কিন্তু ভালো মন্দের বোধ শিখাইতো...মেজাজ খারাপ হইলে, তার হাতের ছোঁয়ায় মনে হইত শীতল ঝর্নার জলে পা ডুবাইয়া বসিয়া রহিয়াছি...!!
ঈশ্বর কইলেন, ব্যস ব্যস থামো...কিন্তু আমার নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম নেই !
পুরুষ চলে আসার আগে, কহিল...ঠিক আছে, আমি যাই তাহলে ! কিন্তু প্রভু...একটা প্রশ্ন ছিলো...! ঈশ্বর কহিলেন, শুধাও---পুরুষ কহিল, নারী কে এত সুন্দর করে কেনো তৈরী করলে, আর কী দিয়েই বা করলে ? ঈশ্বর হাসিয়া কহিলেন, নারী কে চিনি হইতে একটু মিষ্টি, তেতুল হইতে একটু টক, চিরতা হইতে একটু তিতা, লবনের নোনতা থেকে একটি লোনা...মরিচ হইতে একট ঝাল...নদী হইতে একটু সরলতা, সাগর হইতে একটু বিশালতা...এই রকম...আরো একশ উপাদান দিয়া...স্বর্গের সকল সৌন্দর্য্য দিয়া আমি পুরুষের জন্য উপহার হিসাবে, সৃষ্টি করিয়া মর্ত্যে পাঠাইয়াছিলাম...নির্বোধ পুরুষ তাহার মর্ম বুঝিতে পারে নি, সম্মান দেয় নি, তাই তাকে আবার ফিরাইয়া লইয়াছি।
অবঃশেষে...পুরুষ ভীষণ মন খারাপ লইয়া মর্ত্যের দিকে রওয়ানা দিলো...!
প্রায় দশ দিন পর ঈশ্বর দেখিলেন, পুরুষ নাওয়া খাওয়া ভুলিয়া...পোশাক আসাক খুলিয়া...পাগলের প্রলাপ বকিতেছে...!! ঈশ্বর দেখিয়া হাসিলেন ! কিন্তু প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গেন নি !! তারও দশ দিন পরে, পুরুষ ভীষণ অসুস্থ হইয়া...ঝরনার পাশে ভীষন অবহেলায় মৃত্যু বরন করিল। ঈশ্বর নারী বিরহে কাতর এবং প্রায় শহীদ পুরুষ কে স্বর্গবাসী করিলেন।
অতঃপর স্বর্গ হইতে নারী-পুরুষকে আবার ধরনীতে পাঠাইলেন ! তবে শর্ত দিয়া দিলেন, নারীর অমর্যাদা হইলে অথবা পুরুষের...কাওকেই আর স্বর্গ হইতে মর্ত্যে ফিরত পাঠাইবেন না ! কারন পরস্পর কে পরস্পরের জন্য উপহার হিসাবেই, তিনি মর্ত্যে পাঠাইয়াছেন।
আফসোস !! পুরুষরা এখনও এই সহজ বিষয়টা বুঝিতে পারে নাই !! কারন ঈশ্বর নিজেই পুরুষ নির্মানের সময়, গঠন-উপাদানে বৈচিত্র্য আনিতে পারেন নি, যেমন টি নারীর বেলায় করিয়াছিলেন ! সবচেয়ে মজার বিষয় হইলো, একমাত্র নারীরাই পুরুষদের এই সীমাবদ্ধতাটুকু ভালোবাসিতে পারিয়াছে, স্বয়ং পুরুষরাও এই বিষয়টি সম্পর্কে এখনও আশ্চর্যজনক ভাবে অজ্ঞাত !!
--উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় বেগম রোকেয়া কে।
নারী হিসাবে জন্ম গ্রহন করায়, যাঁর কাছ নারীরা গর্ববোধের দৃষ্টি অর্জন করে প্রতিনিয়ত !
No comments:
Post a Comment