Sunday, November 24, 2013

অসংখ্য পাথরের মাঝে স্বর্ণের মতো হলে তোমাকে চেনা যাবে, পাথরের মতো হলে নয়।

এক লোক সারাক্ষণ শুধু অভিযোগ করে। তার ধারণা, কেউ তার যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন করে না। একদিন একজন জ্ঞানী লোক বিষয়টি সম্পর্কে জানলেন এবং লোকটির কাছে আসলেন। তিনি মাটি থেকে একটি পাথর তুলে একটি পাথরের স্তুপে ফেলে দিলেন। তারপর তিনি সে-লোককে বললেন: ‘পাথরের স্তুপ থেকে আমার ফেলে-দেওয়া পাথরটি খুঁজে বের কর।’ লোকটি পাথর খুঁজে বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করল, কিন্তু হাজার হাজার পাথর থেকে ওই নির্দিষ্ট পাথরটি আলাদা করতে পারল না। এরপর জ্ঞানী লোকটি এক টুকরা স্বর্ণ পাথরের স্তুপে ফেলে দিলেন। তিনি বললেন: ‘এবার স্বর্ণের টুকরাটি খুঁজে বের কর।’ লোকটি অনায়াসে স্বর্ণের টুকরাটি পাথরগুলো থেকে আলাদা করে ফেলল। এবার জ্ঞানী লোকটি বললেন, “দেখ, তুমি যখন স্বর্ণের মতো মূল্যবান হবে, তখন লোকে তোমাকে সহজেই চিনে নেবে এবং তোমার মূল্যায়ন করবে। কিন্তু ‘পাথর’ হয়ে তুমি কখনোই স্বর্ণের মতো গুরুত্ব পাবে না। যদি তুমি অন্যের কাছে মূল্য পেতে চাও, অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাও, তবে নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলো। অযথা অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই।’

Saturday, November 23, 2013

নীলনদের প্রতি ওমর (রাঃ)-এর চিঠিঃ

২০ হিজরী সনে দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রাঃ)-এর শাসনামলে বিখ্যাত ছাহাবী আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ)-এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম মিসর বিজিত হয়। মিসরে তখন প্রবল খরা। নীলনদ পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেনাপতি আমরের নিকট সেখানকার অধিবাসীরা অভিযোগ তুলল, হে আমীর ! নীলনদ তো একটি নির্দিষ্ট নিয়ম পালন ছাড়া প্রবাহিত হয় না। তিনি বললেন, সেটা কি? তারা বলল, এ মাসের ১৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা কোন এক সুন্দরী যুবতীকে নির্বাচন করব। অতঃপর তার পিতা-মাতাকে রাযী করিয়ে তাকে সুন্দরতম অলংকারাদি ও উত্তম পোষাক পরিধান করানোর পর নীলনদে নিক্ষেপ করব। আমর ইবনুল আছ তাদেরকে বললেন, ইসলামে এ কাজের কোন অনুমোদন নেই। কেননা ইসলাম প্রাচীন সব জাহেলী রীতি-নীতিকে ধ্বংস করে দেয়। অতঃপর তারা পর পর তিন মাস পানির অপেক্ষায় কাটিয়েদিল। কিন্তু নীলনদের পানিতে হরাস-বৃদ্ধি কিছুই পরিলক্ষিত হ’ল না। অতঃপর সেখানকার অধিবাসীরা দেশত্যাগের কথা চিন্তা করতে লাগল। এ দুর্যোগময় অবস্থা দৃষ্টে সেনাপতি আমর ইবনুল আছ খলীফা ওমর (রাঃ)-এর নিকটে পত্র প্রেরণ করলেন। উত্তরে ওমর (রাঃ) লিখলেন, হে আমর ! তুমি যা করেছ ঠিকই করেছ। আমি এ পত্রের মাঝে একটি পৃষ্ঠা প্রেরণ করলাম, যা তুমি নীলনদে নিক্ষেপ করবে।’ ওমরের পত্র যখন আমরের নিকটে পৌছাল, তখন তিনি পত্রটি খুলে তাতে এ বাক্যগুলি লিখিত দেখলেন, ‘আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমর-এর পক্ষ থেকে মিসরের নীলনদের প্রতি। যদি তুমি নিজে নিজেই প্রবাহিত হয়ে থাক, তবে প্রবাহিত হয়ো না। আর যদি একক সত্তা, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তোমাকে প্রবাহিত করান, তবে আমরা আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা করছি, যেন তিনি তোমাকে প্রবাহিত করেন’। অতঃপর আমর (রাঃ) পত্রটি নীলনদে নিক্ষেপ করলেন। পর দিন শনিবার সকালে মিসরবাসী দেখল, আল্লাহ তা‘আলা এক রাত্রে নীলনদের পানিকে ১৬ গজ উচ্চতায় প্রবাহিত করে দিয়েছেন। তারপর থেকে আজও পর্যন্ত নীলনদ প্রবাহিতই রয়েছে। কখনো শুষ্ক হয়নি । (আল-বিদায়াহ ৭/১০০; তারীখু দিমাশক ৪৪/৩৩৭; তাবাকাতুশ শাফিয়া আল-কুবরা ২/৩২৬)।

Wednesday, November 6, 2013

আমন্ত্রণ

কত সাধ জাগে গো তোমারে দেখি চেয়ে, আমার প্রাণ প্রিয়া তুমি যে লক্ষ্মী মেয়ে। ঐ মায়া মুখ খুব দেখতে মোর আশা না দাও দেখা তুমি-না দাও ভালবাসা, একবার কাছে এসে দেখা দাও সাথি তুমি ছাড়া মোর যে কাটেনা দিবা-রাতি, ঐ মায়া মুখ কেন লুকিয়ে রাখো তুমি তুমি ছাড়া এ হৃদয় শুধু মরুভুমি। হৃদয় তার প্রিয়াকে চায়না হারাতে প্রেম রোগ কেউ কভু পারেনা সারাতে প্রেমরোগ সারাতে পারে সুপ্রিয়জন রোগ সারাতে প্রিয়া তোমায় আমন্ত্রণ। ভালবাসা না দাও দিওগো মোরে দেখা তুমি ছাড়া প্রেম ছাড়া হৃদয় যে একা ***তুমি যেখানেই যাও, তুমি যাই করো, আমি সেখানেই তোমার জন্য অপেক্ষা করব। ***

Friday, October 25, 2013

বল মুছে দেবে কি সানতনার জলে


মানুষের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো ভালবাসা, যার মধ্যে ভালোবাসা নেই তার কোনো দুর্বলতাও নেই, ভালোবাসার জন্য মানুষ সবকিছু ছেড়ে দেয়।আর সেই ভালোবাসা তার জন্য কাল হয়ে দাড়ায় আমার চোখ বলছে ভেজা জলে ।বল মুছে দেবে কি সানতনার জলে ।বেথা ভরা কষটগুলি ছুয়ে দেবে কি ।অনধকারের বনধ আলো জেলে দেবে কি ।আমায় আপন করে বল সংগী হবে কি ।একাকি নিঝুম রাতে বলনা কোন এক বিরহর পহরে ।হবে ঘুম আমার চোখে রবে কি ছলয়া হয়ে পাশে ।বলো একবার ।আমার চোখ বলছে ভেজা জলে ।বল মুছে দেবে কি সানতনার জলে ।বেথা ভরা কষটগুলি ছুয়ে দেবে কি ।অনধকারের বনধ আলো জেলে দেবে কি ।আমায় আপন করে বল সংগী হবে কি ।একাকি নিঝুম রাতে বলনা কোন এক বিরহর পহরে ।হবে ঘুম আমার চোখে রবে কি ছলয়া হয়ে পাশে ।বলো একবার ।মানুষের মাঝে আছে মন, মনের মাঝে প্রেম, প্রেমের মাঝে জীবন, জীবনের মাঝে আশা, আশার মাঝে ভালবাসা, আর সেই ভালোবাসার মাঝে শুধুই তুমি?মানুষে বিশ্বাস হারানো উচিত নয়। মানবতা হলো মহাসমুদ্র। এর কোনো এক বিন্দু যদি দূষিতও হয় তাতে সমুদ্র দূষিত হয় না ___

Wednesday, October 9, 2013

love guru: পুরুষের যে ১০টি বিষয় ভালোবাসেন নারীরা!

love guru: পুরুষের যে ১০টি বিষয় ভালোবাসেন নারীরা!

পুরুষের যে ১০টি বিষয় ভালোবাসেন নারীরা!

কথায় আছে, নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও বোঝে না! সেখানে পুরুষেরা বুঝে উঠবেন নারীর মন, সে একটু কঠিন বৈকি! কি করলে নারীর মন পাওয়া যাবে এটা নিয়ে যুগে যুগে অনেক গবেষণা ও তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ আর কিছুই না, পছন্দের নারীর ভালোবাসা অর্জন। নারীরা সাধাণরত আত্মনির্ভরশীল, ব্যক্তিত্ববান এবং রোমান্টিক পুরুষদের ভালোবাসেন। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পুরুষের মধ্যে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকলে নারীর মন জয় করে নেয়া যায়। রসবোধ ও বুদ্ধিমত্তা- মেয়েরা সাধারণত একটু রসিক ছেলেদের ভালোবাসে। যে কোনো বিষয় নিয়ে উপস্থিত ভাবে রসালাপ করতে পারে এমন ছেলেদের প্রতি মেয়েরা বেশি আকৃষ্ট হয়। বুদ্ধিমান ছেলেরা নারীদেরকে বেশি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। আত্মবিশ্বাসী- আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা মেয়েদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে সব সময়। দ্বিধাগ্রস্থ ছেলেদের প্রতি মেয়েরা আকৃষ্ট হয় না। একজন পুরুষ যত সুন্দর বা রূপবানই হোক না কেন সে যদি আত্মবিশ্বাসী না হয় তাহলে তার প্রতি কোনো মেয়ে নির্ভর করতে পারবে না। উচ্চতা ও দৈহিক গড়ন- বিভিন্ন জরিপে সর্বদাই দেখা গিয়েছে যে নারীদের পছন্দ অধিক উচ্চতার পুরুষ। চেহারার সৌন্দর্যের চাইতে মেয়েরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে পুরুষের উচ্চতা ও বলিষ্ঠ গড়নকে। আত্মনির্ভরশীল- নারীদের পছন্দের তালিকায় আত্মনির্ভরশীল পুরুষরা সব সময়েই অগ্রাধিকার পায়। নিজের উপার্জনে চলে এমন পুরুষই নারীর পছন্দ। বাবার উপার্জনে দিনযাপন করা ছেলেদের খুব একটা পছন্দ করেনা নারীরা। সম্মানিত পদবীতে চাকরী করে এবং স্বচ্ছল পুরুষদেরকে নারীরা তাদের পছন্দের তালিকায় রেখে থাকে। যত্নশীল- নারীরা যত্নশীল ছেলেদের ভালোবাসে। তারা নির্ভর করার মত পুরুষদের পছন্দ করে যারা তাদের কাজে কর্মে সহায়তা করবে এবং যত্ন নিবে। যে সব পুরুষরা প্রতি বেলায় নিয়মিত খোজ খবর রাখে তাদেরও পছন্দ করেন নারীরা। সুন্দর চুল- নারীরা সচ্ছল পুরুষদের পছন্দ করে, এটা সত্য। তবে নারীদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে মাথা ভরা চুলের অধিকারী পুরুষেরা। এমনকি ধনী পুরুষদের চাইতেও নারীরা মাথায় সুন্দর চুলের অধিকারী পুরুষদের প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে থাকে। স্বচ্ছতা নারীরা পুরুষের কাছে সততা ও স্বচ্ছতা আশা করে। দীর্ঘমেয়াদী সর্ম্পকে জড়াতে চাইলে নারীর কাছে মিথ্যা বলা উচিত না। সত্য কথা বলতে দ্বিধা বোধ করলেও বলে ফেলুন। এতে নারীদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন। পুরুষালী আচরণ- নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে নারী খোঁজে নির্ভরতা ও নিরাপত্তা। যে পুরুষ তাকে নিরাপত্তা দিতে পারে, নারীর চোখে তারাই পুরুষালী আচরণের অধিকারী। আর এই ধরনের পুরুষদের জন্য নারীর আকর্ষণ সর্বাধিক। পরিচ্ছন্ন সুন্দর পোশাক- নারীরা স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন পোশাকের পুরুষ পছন্দ করে। নিজের ত্বকের রঙ এবং শারীরিক গঠনের সাথে মানানসই পোশাক পরিহিত পুরুষরা নারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে। সুগন্ধী- শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে না্রীদের মন পাওয়া যা‌য়না। সুগন্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধ প্রকাশ পায়। তাই ভালোমানের রুচিশীল সুগন্ধী ব্যবহার করুন। নারী ও পুরুষের একে অপরের দুর্বলতা প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক নিয়ম। নারীরা পুরুষের কাছ থেকে নিখাদ ভালোবাসা এবং সম্মান আশা করে। তাই নারীর চোখে আকর্ষণীয় ও ব্যক্তিত্ববান পুরুষ হতে চাইলে নারীর প্রতি সম্মান দেখান এবং সততা বজায় রাখুন।

Wednesday, October 2, 2013

ছেলেদের নিয়ে কিছু কথা হয়তো মেয়েদেরজানা উচিৎঃ

• ছেলেরা মেয়েদের চেয়েও বেশী আবেগপ্রবন হয়,যদি সে সত্যিকারেকাউকে ভালোবাসে • একটা ছেলে সারাদিন অনেক মেয়ের সাথে ফ্লারটকরতে পারে কিন্তু, দিনের শেষে যখন সে ঘুমাতে যায়তখন তার মনের মানুষের কথাই ভাবে • ভালোবাসার মানুষের একটু হাঁসির জন্য অনেক কিছুই করতে পারে • এবং ছেলেটা সব সময়ই চাইবে তারভালোবাসারমানুষ শুধু তার সাথেই সারাক্ষণ কথা বলুক • যদি ছেলেটা কখনো তার সমস্যার কথা বলে তারমানে শুধু এটাই যে, সে চায় তার ভালোবাসার মানুষতারকথা শুনুক। কোন উপদেশ বা অন্যকিছুর জন্য নয়। • ছেলেরা আসলেই অনেক বেশী আবেগপ্রবণযতটা না কেঁউ ভাবে • শুধু মাত্র মেয়েরাই ছেলেদের একমাত্র দুর্বলতা • ছেলেটি যদি বলে আমাকে একটু একাথাকতে দাও এর মানে হচ্ছে “ আপনি তাকে ছেরে যাবেন না, কাছেই থাকুন” • এটা ঠিক ছেলেরা হয়তো নিজের সবভুলনিজেরা দেখতে পারেনা (সব মানুষী এমন কম এরবেশী) হয়তো একটু একগুয়ে হয়, কিন্তু এক জনের কাছেই সে নিজের সব ভুল মাথানুয়িয়ে স্বীকারকরে নিবে যাকে সে ভালোবাসে • যখন একটা ছেলে রাত জেগে সময়, ঘুম বা স্বাস্থ্যকোন কিছুর কথা না ভেবে কারো সাথে কথা বলে, তখন এটাই ভাবা উচিৎ যে সে তাকে অনেক বেশী পছন্দ করে এবং সবসময় তার কাছে থাকতে চায়।♥