Monday, July 29, 2013

আকাঙ্খা ।। ঘটনাটি যখন ঘটেছিলোঃ সাল ১৯৮০।



ঘটনাটি আসলে দেখেছে আমার মামা। আমার নানা একজন মাউলানা সাহেব। তিনি তার ছেলে (আমার মামা) কে চট্রগ্রামে একটি মাদ্রাসায় পড়তে পাঠান। আমার মামা যেই মাদ্রাসায় ছিলেন সেই মাদ্রাসার পাশে একজন বিরাট ধনী লোক থাকতেন। সেই লোক প্রতি শুক্রবারে মাদ্রাসা থেকে ১০ জন ছাত্রকে নিজের বাসায় নিয়ে যেতেন এবং তাদের খাওয়াতেন। সিরিয়াল অনুযায়ী সব ছাত্ররাই তার বাসায়খানা খেতে যেত। তো, একবার সেই সিরিয়াল অনুযায়ী একবার আমার মামার সময় এলো। মামা এবং তার সাথের আর ১০ জন ছাত্র যাওয়ার জন্য তৈরি হলেন। রেডি হবার পর দেখা গেলো ৯ জন আছেন, কিন্তু আসাদ নামের একজন ছেলে, যার বাকিদের সাথে যাবার কোথা ছিল, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সবাই খুব হন্যে হয়ে তাকে খুঁজে বেড়াতে লাগলো। মাদ্রাসার প্রায় সব জায়গাতেই দেখা হল, কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হটাত কেউ একজন বলল, “আসাদের তো জ্বর। ও ছাদে মুয়াজ্জিনের রুমে ঘুমাইছে!” তারপর এক ছাত্র সেই রুমে নক করল। কিন্তু ভেতর থেকে কেউ দরজা খুলল না। এইবার সে জোড়েজোড়ে বাড়ি দিতে লাগলো। কিন্তু তারপরও ভেতর থেকে কোনও সাড়াশব্দএলো না। শেষমেশ ছেলেটি কার্নিশেরউপর দাঁড়িয়ে জানলা দিয়ে ভেতরেউকি দিল।
ছেলেটি উকি দিয়ে খুব ভয়ঙ্কর কিছু একটা দেখল। দেখার সাথে সাথে বিকট চিৎকার দিল এবং হুড়মুড় করে ছাদে এসে পড়লো। ছাদে এসেই সেজ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
জ্ঞান ফেরার পর হুজুর তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, “তুই কি দেখেছিলি?”
সে বলল, “আমি দেখলাম আসাদের ড্রেস পড়া একটা মোটা অজগর সাপ বিছানায় শুয়ে আছে!”
একথা শুনে হুজুর সবাইকে বললেন যে আসাদকে যেনও কেউ কিছু না বলে। তারপর কিছুদিন পড়ে আসাদ সুস্থ হলে হুজুর তাকে কাছে ডেকে বলেন, বাবা আসাদ, তুমি যে একজন জীন সেটা আমরা সবাই টের পেয়েছি। তুমি যদি এখানে থাকো তাহলে সব ছাত্র তোমার ভয়ে চলে যাবে। তাই তোমার কাছে অনুরোধ যে, তুমি এখান থেকে চলে যাও।
এরপর আসাদ নামের সেই জীনটি ঐ মাদ্রাসা থেকে চলে যায়। কিন্তু যাওয়ার আগে সে হুজুরকে নিজের সম্পর্কে কিছু কোথা বলে গিয়েছিলো, যেমন, আসাদ তার প্রকৃত নাম নয়। তার নাম আমানুল্লাহ। তার বয়স ৩৮৬ বছর এবং তার মত অনেক জীন বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানুষের রূপ ধরে মানুষের সাথে পড়াশোনা করে। আসাদ রূপি আমানুল্লাহ আর বলেছিল যে, জীনরা যখন অসুস্থ থাকেতখন তারা কোন রূপে থাকে তা নিজেরাও বুঝতে পারে নাহ।

ভালো লাগলে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন এবং আরো অনেক অনেক গল্প এবংসত্য ঘটনা পড়ুন ।

Saturday, July 27, 2013

দারুণ একটা গল্প, অব্যশই পড়ুন—

 একদিন এক কৃষকের গাধা গভীর কুয়ায়
পড়ে গেলো। গাধাটা করুণ সুরে কেঁদে কৃষকের
দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাতে লাগলো। কৃষক
ভাবলো যেহেতু গাধাটা বৃদ্ধ হয়ে গেছে,
কাজেই একে উদ্ধারের ঝামেলায়
না গিয়ে মাটি ফেলে কুয়ার মাঝেই কবর দিয়ে ফেললেই ল্যাঠা চুকে যায়। কাজেই কৃষক
শাবল দিয়ে মাটি ফেলতে লাগলো গাধার উপর।
প্রথমে গাধা ঘটনা আঁচ করতে পেরে চিৎকার
করে গলা ফাঁটিয়ে কাঁদতে লাগলো। কিন্তু
কিছুক্ষণ পর সব শান্ত হয়ে গেলো। কৃষক এই
নিরবতার কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে কুয়ার ভিতর উঁকি দিয়ে অবাক হয়ে গেলো।
প্রতিবার যেই গাধাটার উপর
মাটি ফেলা হয়েছে, সে তা পিঠ
ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিয়ে সেই মাটিকে ধাপ
বানিয়ে একধাপ একধাপ করে বেশ
খানিকটা উপরে উঠে এসেছে। এটা দেখে কৃষক
আরো মাটি ফেললো এবং পরিশেষে গাধাটা বের
হয়ে আসলো কুয়া থেকে। মূলকথাঃ জীবন আপনার উপর শাবল
ভর্তি মাটি ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার
কাজ হচ্ছে সেই চাপা দেয়ার মাটিকেই
কাজে লাগিয়ে উপরে উঠা। প্রতিটি সমস্যাই
আসলে সমাধানের একটি করে ধাপ,
যদি আপনি তা কাজে লাগানোর মতো ইতিবাচক হয়ে থাকেন। যেকোন সুগভীর কুয়া থেকেই
মুক্তিলাভ সম্ভব, যদি না আপনি হাল
ছেড়ে দেন।.......

Sunday, July 21, 2013

নারী সৃষ্টির ইতিহাস--

ঈশ্বর যখন নারী নির্মান শেষ করিয়া, পুরুষ কে উপহার দিয়া কইলেন, যাও সুখে শান্তিতে মর্ত্যে বসবাস করিতে থাকো...তার ৭ দিন পর, পুরুষ ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে মহা ক্রন্দন জুড়িল...সেই ক্রন্দনে আকাশ বাতাস কাপিয়াঁ উঠিলে, স্বয়ং ঈশ্বর পুরুষকে সুধাইলেন, কি হে ? কি হইয়াছে ? পুরুষ কান্দন প্রায় বিলাপে পরিনত করিয়া কহিল...ঈশ্বর, এই কি যন্ত্রনা তুমি আমাকে উপহার দিলে !?! দোহাই তোমার।।ইহা ফিরাইয়া লও ! আমি রমনী উপহার চাই না ! আমায় মুক্তি দাও !

তার আগে কহো যে, সমস্যাটা কোথায়?! ঈশ্বর ফের জিজ্ঞেস করিলেন! এই রমনী আমার জীবন অতিষ্ট করিয়া তুলিয়াছে ! এই কাদেঁ ...এই হাসে...এই রাগে গাল ফোলায়...এই মেজাজ খারাপ করে...এই চুপ থাকে...এই মিঠা কথা কয়...এই তিতা কথা কয়...আবার এই রাগে জ্বলেপুরে মরে...আমি ইহারে বুঝিতে পারি নাপ্রভু ! তোমার জিনিস ফিরাইয়া লও !!

আমি একা ভালো ছিলাম...একাই থাকিতে পারিব...আমার অমন উপহারের দরকার নাই...!! ঈশ্বর কহিলেন, হুমন...বুঝিতে পারিলাম...কিন্তু...স্বর্গের নিয়ম অনুযায়ী তো আমরা উপহার ফিরাইয়া লইতে পারি না...আমরা শুধু প্রদান করি। পুরুষ, হাউ মাউ করিয়া পুনরায় কান্দন জুড়িল...ঈশ্বর দয়া করো...আমি এই জিনিস নিয়া পৃথিবীতে শান্তিয়ে ঘুমাইতে পারিতেছিনা না, খাইতে পারিতেছিনা...এমন কি চলিতেও পারিতেছি না...সারাক্ষন আমারে পাহাড়ায় রাখে...নয়তঃ আমারেই তাহারে পাহাড়া দিয়া রাখিতে হয় !!

ঈশ্বর কিছুক্ষন চুপ করিয়া কইলেন, তাহলে তুমি কইতেছো যে, এই উপহা্র তোমার যোগ্য হয় নি ?! পুরুষ তারাহুরা করিয়া কিছু না ভাবিয়াই কহিলো...অতশত বুঝিনা...উপহার আমার চাই না...নয়তঃ ঐ রমনী অখানে থাকুক, আমারে ফিরাইয়া লও প্রভু !

ঈশ্বর কহিলেন, সে তো তোমার সম্পর্কে কোনো অভিযোগ করে নি...তবে তুমি কেনো?? পুরুষ কহিল, আমি চাই না প্রভু...আমার একা জীবন-ই ভালো...আমায় ক্ষমা কর। ঈশ্বর কহিলেন, এক শর্তে আমি এই উপহার ফিরাইয়া লইতে পারি! আবার কোনো দিন এই উপহার ফিরৎ চাইতে পারবে না...ইহা অফেরৎ যোগ্য !

রাজী? পুরুষ কহিল, খুব রাজী! জীবনটা এইবার বড় বাচাঁ বেচেঁ গেলো !!

ঈশ্বর রমনী কে ধরনী হইতে উঠাইয়া আনিয়া স্বর্গে রাখিলেন। ২ দিন কাটিয়া গেলো !! ২ দিন পর, আবার পুরুষ, আসমান-জমিন কাপাঁইয়া কান্দন জুড়িল...ঈশ্বর কহিলেন, আবার কি হইলো ? পুরুষ কহিল, আমার কিছু ভাল লাগে না প্রভু, পৃথিবীতে ভীষন একা লাগে !! আমি একাকিত্বের যন্ত্রনা সইতে পারিতেছি না। আমার উপহার ফিরৎ দাও। দয়া করো!

ঈশ্বর কহিলেন, হুমন...আমি নিয়ম ভাঙ্গতে পারবো না...!! তুমি যাও...মর্ত্যে সুখে থাকো !! ভীষণ মন খারাপ করে আসার সময় ঈশ্বর সুধাইলেন, আচ্ছা...কেনো ভালো লাগছে না শুনি...?

পুরুষ কহিতে লাগিলো...আহা ওমন উপহারটি আমি কেমনে ফিরাইয়া দিলাম...সে সারাক্ষন আমার সাথে সাথে থাকিত, আমাকে মুখে তুলে খাওয়াইয়া দিতো, গান গেয়ে ঘুম পাড়াইত, কি সুন্দর মিষ্টি করে হাসিত...নিঃষ্পাপ ফুলের মত ..মন খারাপ করে বসে থাকলে মনে হতো...পৃথিবীটা শূন্য...খোচা দিয়ে কথা বললে মনে হতো...গায়ে কাঁটা দিলো...কিন্তু ভালো মন্দের বোধ শিখাইতো...মেজাজ খারাপ হইলে, তার হাতের ছোঁয়ায় মনে হইত শীতল ঝর্নার জলে পা ডুবাইয়া বসিয়া রহিয়াছি...!!

ঈশ্বর কইলেন, ব্যস ব্যস থামো...কিন্তু আমার নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম নেই !

পুরুষ চলে আসার আগে, কহিল...ঠিক আছে, আমি যাই তাহলে ! কিন্তু প্রভু...একটা প্রশ্ন ছিলো...! ঈশ্বর কহিলেন, শুধাও---পুরুষ কহিল, নারী কে এত সুন্দর করে কেনো তৈরী করলে, আর কী দিয়েই বা করলে ? ঈশ্বর হাসিয়া কহিলেন, নারী কে চিনি হইতে একটু মিষ্টি, তেতুল হইতে একটু টক, চিরতা হইতে একটু তিতা, লবনের নোনতা থেকে একটি লোনা...মরিচ হইতে একট ঝাল...নদী হইতে একটু সরলতা, সাগর হইতে একটু বিশালতা...এই রকম...আরো একশ উপাদান দিয়া...স্বর্গের সকল সৌন্দর্য্য দিয়া আমি পুরুষের জন্য উপহার হিসাবে, সৃষ্টি করিয়া মর্ত্যে পাঠাইয়াছিলাম...নির্বোধ পুরুষ তাহার মর্ম বুঝিতে পারে নি, সম্মান দেয় নি, তাই তাকে আবার ফিরাইয়া লইয়াছি।

অবঃশেষে...পুরুষ ভীষণ মন খারাপ লইয়া মর্ত্যের দিকে রওয়ানা দিলো...!

প্রায় দশ দিন পর ঈশ্বর দেখিলেন, পুরুষ নাওয়া খাওয়া ভুলিয়া...পোশাক আসাক খুলিয়া...পাগলের প্রলাপ বকিতেছে...!! ঈশ্বর দেখিয়া হাসিলেন ! কিন্তু প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গেন নি !! তারও দশ দিন পরে, পুরুষ ভীষণ অসুস্থ হইয়া...ঝরনার পাশে ভীষন অবহেলায় মৃত্যু বরন করিল। ঈশ্বর নারী বিরহে কাতর এবং প্রায় শহীদ পুরুষ কে স্বর্গবাসী করিলেন।

অতঃপর স্বর্গ হইতে নারী-পুরুষকে আবার ধরনীতে পাঠাইলেন ! তবে শর্ত দিয়া দিলেন, নারীর অমর্যাদা হইলে অথবা পুরুষের...কাওকেই আর স্বর্গ হইতে মর্ত্যে ফিরত পাঠাইবেন না ! কারন পরস্পর কে পরস্পরের জন্য উপহার হিসাবেই, তিনি মর্ত্যে পাঠাইয়াছেন।

আফসোস !! পুরুষরা এখনও এই সহজ বিষয়টা বুঝিতে পারে নাই !! কারন ঈশ্বর নিজেই পুরুষ নির্মানের সময়, গঠন-উপাদানে বৈচিত্র্য আনিতে পারেন নি, যেমন টি নারীর বেলায় করিয়াছিলেন ! সবচেয়ে মজার বিষয় হইলো, একমাত্র নারীরাই পুরুষদের এই সীমাবদ্ধতাটুকু ভালোবাসিতে পারিয়াছে, স্বয়ং পুরুষরাও এই বিষয়টি সম্পর্কে এখনও আশ্চর্যজনক ভাবে অজ্ঞাত !!

--উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় বেগম রোকেয়া কে।
নারী হিসাবে জন্ম গ্রহন করায়, যাঁর কাছ নারীরা গর্ববোধের দৃষ্টি অর্জন করে প্রতিনিয়ত !

Sunday, July 7, 2013

জানিনা কি এমন পাপ করেছিলাম

জানিনা কি এমন পাপ করেছিলাম
যে বিধাতা আমাকে তোমার মাধ্যমে শাস্তি দিলো, সত্যি চাইনি আমি এমন জীবন।

ভালোবাসার পেছনে যতোই ছুটেছি ততোই পিছিয়ে পরেছি,
হাত বাড়ালেই যেমন সব ছোঁয়া যায়না ঠিক তেমনি আমিও পারিনি তোমার মনটাকে ছুঁতে ।

বারবার আঘাত করে এই মনটাকে ভেঙে দিয়েছো কাঁচের মতো করে ।

একবারও ভাবোনি আমিও মানুষ, আমারও কষ্ট হয়, দুঃখ পেলে আর সবার মতো আমিও কাঁদি ।

জানি আমার এই চোখের পানি তোমার কাছে শুধুমাত্র নোনা জল ছাড়া আর কিছু নয়, কিন্তু আমার কাছে প্রতিটি ফোঁটা হলো তীব্র আঘাতে গড়িয়ে পরা এক রক্তধারা...

Thursday, July 4, 2013

সত্যিকারের ভালবাসা খুব কম..

আমরা কতই না কষ্ট করি ভালবাসার মানুষটির জন্য।
রিকশায় না গিয়ে হেটে যাই,
কিছু টাকা বাঁচবে বলে আর সেই টাকা দিয়ে
প্রিয় মানুষটিকে কিছু কিনে দেওয়ার জন্য।
হাতে কিছু টাকা থাকলে কত কিছুইনা করতে ইচ্ছে করে।
কিছু কেনার জন্য, কিছু খাবার জন্য,
অথচ তা না করে আমরা মোবাইলে ব্যালান্স করি
প্রিয় মানুষটির সাথে কথা বলার জন্য।
কত কিছু গিফট দেওয়ার জন্য যে মনটা ব্যকুল হয়ে থাকে
তা কাউকে বোঝানো যায়না।
অথচ সেই ভালবাসার মানুষটিই কোন কারন ছাড়াই
আমাদের জীবনটাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায়।
একটি বারের জন্যও ভাবেনা যে,
সে ছাড়া আমরা একেবারেই অসহায় !!!
আসলে সত্যিকারের ভালবাসা আছে তবে খুব কম..

সত্যিকারের ভালবাসা খুব কম..

আমরা কতই না কষ্ট করি ভালবাসার মানুষটির জন্য।
রিকশায় না গিয়ে হেটে যাই,
কিছু টাকা বাঁচবে বলে আর সেই টাকা দিয়ে
প্রিয় মানুষটিকে কিছু কিনে দেওয়ার জন্য।
হাতে কিছু টাকা থাকলে কত কিছুইনা করতে ইচ্ছে করে।
কিছু কেনার জন্য, কিছু খাবার জন্য,
অথচ তা না করে আমরা মোবাইলে ব্যালান্স করি
প্রিয় মানুষটির সাথে কথা বলার জন্য।
কত কিছু গিফট দেওয়ার জন্য যে মনটা ব্যকুল হয়ে থাকে
তা কাউকে বোঝানো যায়না।
অথচ সেই ভালবাসার মানুষটিই কোন কারন ছাড়াই
আমাদের জীবনটাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায়।
একটি বারের জন্যও ভাবেনা যে,
সে ছাড়া আমরা একেবারেই অসহায় !!!
আসলে সত্যিকারের ভালবাসা আছে তবে খুব কম..

মেয়েদের বোঝা খুব কঠিন ।

মেয়েদের বোঝা খুব কঠিন ।
একটি মেয়েকে কখনো পুরোপুরি বুঝতে যাবেন না ।
পুরোপুরি বুঝতে গেলে হয় আপনি পাগল হয়ে যাবেন
নয়তো আপনি মেয়েটির প্রেমে পড়ে যাবেন !

বেশি ভালোবাসি তোমাকে


ভালোবাসার মানুষটি সত্যিই সবার
থেকে আলাদা । সে যেন সবার
মাঝে থেকেও সবার ওপরে !
চোখ বন্ধ করলেও তার অস্তিত্ব
ভেসে ওঠে চোখের সামনে ।
তাকে জড়িয়ে ধরার মূহুর্ত ... উফ্ ! সে এক
অসাধারণ ফিলিংস ।
তার কপালে আলতো করে kiss
করে তাকে " i love u " বলার পর যখন প্রতিউত্তরে তার
মুখ থেকে " i love u too " শুনি তখন মনে হয় এটাই পৃথিবীর
সেরা বাক্য !
তার হাতটি ধরে বহুধুর চলার পরও মনে হয় যেন এইমাত্রই
তো হাঁটা শুরু করলাম, আরো অনেক পথ পেরোলেও তখন
ক্লান্তি গ্রাস করবে না ।
তার ছোট ছোট কথায় রাগ-অভিমাধ করা, নাক ফুলে লাল
হয়ে যাওয়ার পর যেন
তাকে আরও বেশি সুন্দর লাগে
তখন মনে হয় তাকে এই বুকের মাঝেই সারাটি জীবন
জড়িয়ে রাখি ।
আমি ভূল করলে তাকে sorry বলতেও খারাপ লাগে না ।
কারণ sorry বলা মানে তার কাছে ছোট হওয়া নয়
বরং সর্ম্পকটাকেই সবকিছুর
উর্ধ্বে দেখা ।
মাঝে মাঝে গলা ফাটিয়ে চিত্কার
করে বলতে ইচ্ছা করে " অননেক
বেশি ভালোবাসি তোমাকে, অনেক বেশি "

Wednesday, July 3, 2013

আমি কি করেছি

আমার এক
ফ্রেন্ডকে চুরি করে বিয়ে করতে আমি সাহায্য
করেছিলাম । ইচ্ছা করে করি নি , বন্ধু এবং বন্ধুর
লাভারের কান্না কাটি দেখে নগদ ৩২০০
টাকা দেওয়া সহ স্বাক্ষী সব কাজেই
আমি ছিলাম ।
বিয়ের পর আমার বাপের ঝাড়ি ,মেয়ের বাপের
ঝাড়ি ,ছেলের বাপের ঝাড়ি বাংলালিংক
দামে খেয়েছি ।
ছেলের বাপ এবং মেয়ের বাপের ধারণা ভিলেন
আমি আমি যত নষ্টের গোড়া ।
না খেয়ে জমানো ৩২০০ টাকার মাত্র ৩০
টাকা উদ্ধার
করতে পেরেছি বাকি টাকা লিল্লাহ ট্রাস্টে ।
কথায় কয় আম আর দুধ মিলে যায় বাগানের
আটি বাগানে ফেরত্ যায় । তারা দুই বিয়াই এখন
গলা ধরে হাটে মাগার আমি ভিলেন ভিলেনই
থেকে গেলাম ।
বন্ধু আমারে দেখলে অন্য রাস্তা ধরে । একদিন
ধরে বসলাম ,ঐ হালা তুই
আমারে দেখে পালিয়ে যাস কেনো ?
দোস্ত এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে কেউ
আছে নাকি । দোস্ত কয় তোর ভাবি কইছে পিয়াস
পোলাডার লগে জানি তুমারে না দেখি । দোস্ত
আমি যাই গা ,তোর ভাবী দেখলে খবর আছে ।
এইআ হইলো উপকার আর উপকারের বদলা
জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন ?
আমি কি করেছি ?

কিছু ভালোবাসা এবং ভালোলাগার গল্প

আর ফোন দিবা না !!"
"কি করলাম রে বাবা ??"
"আমার সাথে আর যোগাযোগ রাখার দরকার নাই !!"
"আজিব তো... আমি......"
খট করে ফোনটা কেটে যায় !!
পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় হাজারবার
কানে বেজে ওঠে "দুঃখিত
আপনি যে নম্বরে ডায়াল করেছেন সেটি বন্ধ
আছে" নামক যান্ত্রিক কন্ঠস্বর !!
"2 NEW MESSAGES"
"একটাবার ফোন ধরবা ?? ... ঢাকায়
নাকি বৃষ্টি হচ্ছে ... একটু বৃষ্টির শব্দ শুনতাম !!"
"আমাদের এখানেও বাতাস হচ্ছে ... আওয়াজ
শুনবা ??"

আকাশের ওপার থেকে কেউ একজন অবাক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখেনঃ
ছোট্ট পৃথিবীর ছোট্ট দুইটা বারান্দায়
দাঁড়িয়ে ফোনে কান পেতে একজন গভীর মনোযোগ
দিয়ে বৃষ্টির আওয়াজ শুনছে আর আরেকজন প্রচন্ড
আবেগ নিয়ে বাতাসের মৃদু শব্দ শুনছে !!
সেই মূহুর্তে একজোড়া চোখ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও
কোন বৃষ্টি হচ্ছিলো না !!
সেই মূহুর্তে বুকে আটকে থাকা "দীর্ঘশ্বাস"
ছাড়া পৃথিবীর কোথাও কোন বাতাসের শব্দ
ছিলো না !!"