Saturday, August 31, 2013

ইমাম গাজ্জালী এর গল্প


মে 31, 2013
ইমাম গাজ্জালী একবার একটা গল্প
বলেছিলেন।
এক ব্যক্তি জঙ্গলে হাঁটছিলেন। হঠাৎ
দেখলেন এক সিংহ তার পিছু
নিয়েছে।
তিনি প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলেন।
কিছুদূর গিয়ে একটি পানিহীন
কুয়া দেখতে পেলেন। তিনি চোখ
বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ।
পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত
দড়ি দেখে তা খপ
করে ধরে ফেললেন এবং ঐ অবস্থায়
ঝুলে রইলেন। উপরে চেয়ে দেখলেন
কুয়ার
মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার
অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।
নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক
সাপ তার নিচে নামার অপেক্ষায়
চেয়ে আছে। বিপদের উপর
আরো বিপদ
হিসেবে দেখতে পেলেন
একটি সাদা আর একটি কালো ইঁদুর
তার
দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতেচাইছে।
এমন হিমশিম অবস্থায় কি করবেন যখন
তিনি বুঝতে পারছিলেন না, তখন
হঠাৎ তার সামনে কুয়ার
সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক
দেখতে পেলেন।
তিনি কি মনে করে সেই
মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল
ডুবিয়ে তা চেটে দেখলেন। সেই
মধুর মিষ্টতা এতই বেশি ছিল
যে তিনি কিছু মুহূর্তের জন্য উপরের
গর্জনরত সিংহ, নিচের
হাঁ করে থাকা সাপ, আর
দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের
কথা ভূলে গেলেন। ফলে তার বিপদ
অবিশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো।
ইমাম গাজ্জালী এই গল্পের
ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেনঃ
.ණ এই সিংহটি হচ্ছে আমাদের মৃত্যু,
যে সর্বক্ষণ
আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
.ණ সেই সাপটি হচ্ছে কবর।
যা আমাদের অপেক্ষায় আছে।
.ණ দড়িটি হচ্ছে আমাদের জীবন,
যাকে আশ্রয় করেই বেঁচে থাকা।
.ණ সাদা ইঁদুর হল দিন, আর কালো ইঁদুর হল
রাত, যারা প্রতিনিয়ত
ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের আয়ু
কমিয়ে দিয়ে আমাদের মৃত্যুর
দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
.ණ আর সেই মৌচাক হল দুনিয়া। যার
সামান্য মিষ্টতা পরখ
করে দেখতে গেলেও আমাদের এই
চতুর্মুখি ভয়ানক বিপদের
কথা ভূলে যাওয়াটা বাধ্য

Thursday, August 29, 2013

আল্লাহ যা করেন ভালর জন্য করেন>

এক রাজার এক চাকর ছিল। চাকরটা সবসময় যেকোন অবস্থাতেই রাজাকে বলত, "রাজা মশাই, কখনো মন খারাপ করবেন না। কেননা আল্লাহ যা করেন তার সবকিছুই নিখুঁত ও সঠিক।"
একবার তারা শিকারে যেয়ে নিজেরাই এক হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হলো। রাজার চাকর সেই প্রাণীকে মারতে পারলেও, ততক্ষণে রাজা তার একটা আঙুল খুইয়ে বসেছেন।
রাগে-যন্ত্রণায়-ক্ষোভে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে ওঠে, "আল্লাহ যদি ভালোই হবে তাহলে আজকে শিকারে এসে আমার আঙুল হারাতে হতো না।"
চাকর বলল, "এতকিছুর পরও আমি শুধু আপনাকে এটাই বলব, আল্লাহ সবসময়ই ভালো ও সঠিক কাজর করেন; কোনো ভুল করেন না।
চাকরের এই কথায় আরও ত্যক্ত হয়ে রাজা তাকে জেলে পাঠানোর হুকুম দিলেন।
এরপর একদিন রাজা আবার শিকারে বের হলেন। এবার তিনি একদল বন্য মানুষের হাতে বন্দি হলেন। এরা তাদের দেবদেবির উদ্দেশ্যে মানুষকে বলি দিত। বলি দিতে যেয়ে তারা দেখল যে, রাজার একটা আঙুল নেই। তারা এমন বিকলাঙ্গ কাউকে তাদের দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে রাজি হলো না। তাই তারা রাজাকে ছেড়ে দিল।
প্রাসাদে ফিরে এসে তিনি তার সেই পুরোনো চাকরকে মুক্ত করে দেওয়ার হুকুম দিলেন। চাকরকে এনে বললেন,"ভাই, আল্লাহ আসলেই ভালো। আমি আজ প্রায় মরতেই বসেছিলাম। কিন্তু আঙুল না-থাকার কারণে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।
"তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। আল্লাহ ভালো, এটা তো বুঝলাম। কিন্তু তাহলে তিনি আমাকে দিয়ে তোমাকে জেলে পুরলেন কেন?"
চাকর বলল, "রাজামশাই, আমি যদি আজ আপনার সাথে থাকতাম, তাহলে আপনার বদলে আজ আমি কোরবান হয়ে যেতাম। আপনার আঙুল ছিল না, কিন্তু আমার তো ছিল। কাজেই আল্লাহ যা করেন সেটাই সঠিক, তিনি কখনো কোনো ভুল করেন না।"
জীবনের নানা দুঃখকষ্ট নিয়ে আমাদের শত অভিযোগ। আমরা ভুলে যাই কোন কিছুই আপনাআপনি হয় না, বরং সবকিছুর পেছনেই একটি নির্দিষ্ট কারণ আছে।
আল্লাহই ভালো জানেন তিনি কেন এই কথাগুলো আপনাকে পড়ার সুযোগ করে দিলেন আজকে। তাই অন্যদেরকেও এই কথাগুলো শোনার সুযোগ করে দিন।
প্রত্যেকটা কাজের পেছনেই কারণ রয়েছে: যা ঘটে সেটা আমাদের ভালোর জন্যই- আল্লাহু আকবার!

এতটা ভালবাসার পরও তোমায়


বুঝাতে পারি নি তোমায় কতটা ভালবাসি।
মাঝে মাঝে যখন পুরনো দিনের
কথা ভাবি নিজের অজান্তেই কেদে ফেলি।
খুব বেশি কষ্ট হয় যখন ভাবি শুধুমাত্র
আমি দেখতে ভাল
না বলে তুমি আমায় ভালবাসি নি।
কই তুমি তো দেখতে খুব সুন্দর ছিলে না
কিন্তু আমার মনে তো তা নিয়ে কোনসংশয় ছিল
না।
আমিতো কখনো ভাবি না এসব তুচ্ছ ব্যাপার
নিয়ে।
কারন আমি বিশ্বাস
করি ভালবাসা মানে কারও বাহ্যিক সৌন্দর্য
না সেই
মানুষটার ভেতরকার মানুষটাকে ভালবাসা।
দুটো মানুষের দৈহিক না আত্মিক
মিলনে ভালবাসায় আসে পূর্ণতা।
জানি না তোমায় কতটা ভালবাসতে পেরেছি
কিন্তু আমার ভীষণ কষ্ট হয় যখন ভাবি আমার
ভালবাসা কেন আমার
এক বিন্দু পরিমান চোখের জলের ও কোন মূল্য
নেই
তোমার কাছে।
খুব বেশি ইচ্ছে হয় তোমাকে একটা মুহূর্ত এই
বুকের মাঝে শক্ত করে আগলে রাখি আমার
বিশ্বাস সেদিন তুমি বুঝতে পারবে এই
বুকে কতটা ভালবাসা জমেছে শুধু তোমায়
ভেবে,এই
বুকে কতটা আর্তনাত শুধু তোমায়
ভালবাসি বলে !!

** গল্পটি পড়ে দেখুন **


আপনার মন-মানসিকতা পরিবর্তন
হয়ে যাবে
ইনশাআল্লাহ্।
একদা একদিন কিছু লোক এক
অন্ধকার টানেল অতিক্রম করে যাচ্ছিল।
হঠাৎ তাদের পায়ের তলায়
সূচাল পাথর জাতীয় কিছু
অনুভব করল তারা।
এদের কেউ কেউ
তখন সে পাথরগুলো তুলে পকেটে ভরে নিল ---
অন্যরা যেন কষ্ট না পায় এই
নিয়তেই তারা এই ভালো কাজটা
করেছিল।
কেউ কিছু কিছু নিল,
আর কেউ নিল ই না। অবশেষে যখন অন্ধকার
টানেল থেকে বের হল,
দেখলো তাদের
কুড়ানো পাথরগুলো ছিল
ডায়মন্ড / হীরা -
তারা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল। যারা কম নিয়েছিল
তাদের বেশ আফসোসবোধ
হচ্ছিল যে কেন আরও
বেশি তারা তুলে নিল না;
আর একেবারেই যারা নেয়
নি তারা আরও বেশ অনুশোচনা করতে লাগলো।
এই দুনিয়া ঠিক এই
অন্ধকার টানেলের মতই।
আর এখান কার
ভালো কাজগুলো ডায়মন্ডের
মত... আখেরাতে যাদের
ভালো কাজের পরিমাণ
কম হবে,
তারা আফসোস করতে থাকবে কেন
আরও বেশী ভালো কাজ
তারা দুনিয়ায় করেনি..!!!

Monday, August 26, 2013

বাস্তব কাহিনী


একটি মেয়েকে বারবার ভালবাসার
প্রস্তাব
দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়
একটি ছেলে......
মেয়েটি প্রতিবারই বলেঃ "শোন, তোমার এক মাসের
বেতন আমারএকদিনের হাত খরচ।
তোমার সাথে সম্পর্ক করব
আমি!!!
ভাবলে কি করে!?! আমি তোমাকে কখনই
ভালবাসতে পারব না। করুনা করেও না।
তাই তুমি ভুলে যাও আমাকে।
তোমার
যোগ্যতা অনুযায়ী কাউকে ভালবাস আমাকে নয়!!
ছেলেটি তারপরেও
মেয়েটিকে ভুলতে পারে নাই!!" গল্পটি এখানে শেষ হলেও
হতে পারতো কিন্তু
. . . ••• ১০ বছর পরে হঠাৎ একদিন •••
ঐ মেয়েটি আর ছেলেটির একদিন
এক
শপিংমলে দেখা হয়ে গেল। দেখা হবার পর
মেয়েটি বললঃ "আরে তুমি! কেমন আছ?
জানো? আমার
বিয়ে হয়ে গেছে! আর আমার
স্বামীর বেতন কত জানো!
প্রতি মাসে এক লাখ টাকা!!! তুমি কল্পনা করতে পারো? আর আমার
স্বামী দেখতেও
অনেক স্মার্ট!একেবারে
সেইরকম!!!
বুঝলে তুমি!?! আচ্ছা!!! তোমার
কপালে কেউ জুটেছে নাকি? মেয়েটির এমন কথা শুনে ছেলেটির
চোখে পানি এসে গেল. . . .
এর কিছু সময় পরেই মেয়েটির
স্বামী চলে আসলো।
তখন মেয়েটি কিছু বলার আগেই
ওর স্বামী বলতে লাগলো ছেলেটিকে দে "আর এ
স্যার আপনি!!
এখানে কি মনে করে!!! তারপর
মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে ওর
স্বামী আরো বলতে লাগলো.... উনি আমাদের
বস, আর স্যার বর্তমানে যে ২০০ কোটি টাকার
প্রোজেক্ট
হাতে নিয়েছেন সেটা আমিই স্যারের
অধীনে কাজ করছি।আর মজার ব্যাপার
কি জানো!!! স্যার
একটা মেয়েকে ভালোবাসতো। তাই এখনও পর্যন্ত
বিয়েই করে নাই।
মেয়েটা কি লাকি তাইনা!!! কয়জন
এমনভাবে ভালবাসতে পারে?"
••• গল্পটির এখানেও
সমাপ্তি হয় না... কারন এ ধরনের গল্পের
কোনো সমাপ্তি নেই... তবে এটাই
সত্যিকারের ভালবাসা...
জীবনটা এক
অর্থে অনেক
বড়। কাউকেই ছোট করে দেখতে নেই। সময়ে এর স্রোতে অনেক কিছু
বদলে যেতে পারে।
সুতরাং কাউকে ছোট
না ভেবে সবার
ভালবাসাকেই
সম্মান করা উচিত... ।

Thursday, August 22, 2013

সুন্দর ও শিক্ষনীয় একটি গল্প



একজন প্রফেসর ক্লাসে প্রবেশ করলেন অর্ধ পূর্ণ একটি গ্লাস হাতে।
তিনি এটি সোজা করে ধরে তার শিক্ষার্থীদের বললেন, “এই গ্লাসটার ওজন
কত হবে?”
“৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম, ১৫০ গ্রাম”,
শিক্ষার্থীরা জবাব দিলো।
প্রফেসর বললেন, "আমি এর ওজন জানি না কারন আমি এটি পরিমাপ করিনি !!
কিন্তু আমার প্রশ্ন হল আমি যদি এই
গ্লাসটি কিছুক্ষন এভাবে ধরে রাখিকি হবে তাহলে?"
শিক্ষার্থীরা বললেন, "তেমন কিছুই
হবেনা!"
"আচ্ছা তাহলে আমি যদি এটা কয়েক
ঘণ্টা এভাবে ধরে রাখি তাহলে কি হবে?"
"আপনার হাতে ব্যথা শুরু হবে।"
একজন ছাত্র বললেন।
"ঠিক আছে, তাহলে আমি যদি এটাকে এক
দিন এভাবে ধরে রাখি তাহলে?”
আরেকজন বললেন “আপনার হাত অসাড়
যেতে পারে; আপনার পেশী গুলো কাজ
করবে না এবং আপনি প্যারালাইসড-ও
হয়ে যেতে পারেন এবং নিশ্চিত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে!”
শিক্ষার্থীরা একটু মজা পেতে শুরুকরল, কেউ কেউ হাসলও।
প্রফেসর বললেন, "খুব ভালো, কিন্তু
এই সময়ের মধ্যে কি এর ভরের বা উপাদানের কোন পরিবর্তন হবে?"
উত্তর আসলো “না”।
"আচ্ছা তাহলে সময় বাড়ার সাথে সাথে কেন আমার স্বাস্থ্যের অবনতিহবে?”
শিক্ষার্থীরা একটু দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ল।
"আচ্ছা, আমি যদি ব্যথা কমাতে চাই তাহলে আমাকে কি করতে হবে?"
একজন শিক্ষার্থী বলল "গ্লাস টাকে নামিয়ে রেখে দিতে হবে।"
প্রফেসর একটু আনন্দিত হয়ে বললেন, "এক্সাস্টলি!"
আমাদের জীবনের সমস্যাগুলোও এমনই।
কিছুক্ষন সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করলে, তেমন কিছু হবেনা।
কিন্তু যদি সারাদিন শুধু সমস্যা নিয়েই চিন্তা করো তাহলে সেটা তোমাকে কষ্ট দিতে শুরু করবে।
তুমি সমস্যা গুলো নিয়ে যত যত বেশি চিন্তা করবে তোমার কষ্ট গুলো বাড়তেই থাকবে, যার ফলে তোমার সব
কাজ বন্ধ হয়ে যাবে; জীবনের সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন, কিন্তু এর থেকে আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল চিন্তাগুলো ঝেড়ে ফেলা।
প্রতিদিনের সমস্যাগুলো, ওই দিনই ভুলে যাও, রাতে খুব ভালো করে ঘুমাও এবং পরের দিন নতুন করে শুরুকরো ।
এভাবেই, তোমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতিটি সমস্যাকে মোকাবেলা করতে
দেখবে তোমাদের সামনে যত চালেঞ্জ-ই
আসুক না কেন তুমি জয়ী হবেই।।

Tuesday, August 20, 2013

সেকি মোর অপরাধ?

তুমি সুন্দর তাই
চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে
বলে না তো কিছু চাঁদ।।
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল
ফুল বলে না তো সে আমার
ভুল
মেঘ হেরি’ ঝুরে’
চাতকিনী
মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।
তুমি সুন্দর তাই
চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?।
জানে সূর্যেরে পাবে না
তবু অবুঝ সূর্যমুখী চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার
দেবতারে
দেখিয়াই সে যে সুখী।।
হেরিতে তোমার রূপ-
মনোহর
পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
মিটিতে দাও
হে প্রিয়তম মোর
নয়নের সেই সাধ।।
তুমি সুন্দর তাই
চেয়ে থাকি প্রিয় সেকি মোর অপরাধ?
“তুমি সুন্দর তাই
চেয়ে থাকি প্রিয়”

তোমাকে ভালবাসি ............


তুমি আসবে বলে ,
আমি চেয়ে থাকি ..
তোমায় পাবো বলে ,
আমি বেঁচে আছি ..
তুমি কাছে টেনে নিবে বলে ,
আমি আশা রাখি ..
কিন্তু সত্যি বলতে !!
তুমি এসব কিছু করবে না জেনেও
তোমাকে ভালবাসি ............

Monday, August 12, 2013

মহাবীর আলেকজান্ডার

মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার তার
সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন,'আমার
মৃত্যুর
পর
আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।
আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছে,শুধু আমার
চিকিতসকরাই
আমার কফিন বহন করবেন।
আমার ২য় অভিপ্রায় হচ্ছে, আমার কফিন
যে পথ
দিয়ে গোরস্থানে যাবে সেই পথে আমার
অর্জিত
সোনা ও রুপা ছড়িয়ে থাকবে |
আর শেষ অভিপ্রায় হচ্ছে, কফিন বহনের
সময়
আমার
দুইহাত কফিনের বাইরে ঝুলিয়েথাকবে।'
তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র
অভিপ্রায় কেন
করছেন প্রশ্ন করলেন। দীর্ঘ শ্বাস
গ্রহণকরে আলেকজান্ডার বললেন,
'আমি দুনিয়ার
সামনে তিনটি শিক্ষা রেখেযেতে চাই।
*আমার চিকিত্সকদের কফিন বহন
করতেএই
কারনে বলেছি যে যাতে লোকে অনুধাবন
করতে পারে যে চিকিত্সকেরা কোন
মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না।
তারা ক্ষমতাহীন
আরমৃত্যুর
থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম।'
*'গোরস্হানের পথে সোনা-
দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা ব
দানার একটা কণাও আমার
সঙ্গে যাবে না।এগুলো পাওয়ার
জন্যসারাটা জীবন
ব্যয় করেছি কিন্তু নিজের সঙ্গে কিছুই
নিয়ে যেতে পারছি না।মানুষ বুঝুক
এসবেরপেছনে ছোটা সময়ের অপচয়।'
* 'কফিনের বাইরে আমার হাত
ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা জানাতে
খালি হাতেই
পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি।