Sunday, September 29, 2013

এক খণ্ড মেঘ-

কখনো ভুঝিনি আমি হারাবার শোক, হারিয়ে হারিয়ে শুন্য এ বুক। তোমারেও হারিয়েছি- বেশি ভালবসে, পাঠিয়েছি প্রেম দিতে- মাধবের দেশে। তুমি সুখী হবে জানি পেয়ে ভালবাসা, পুরন করো তোমার যত জমা আশা। আবারও পিরে আসবো প্রেমিকের পাশে যে আজও তোমাকেই বেশি ভালবাসে। এক খণ্ড মেঘ এই বুকে জমে আছে। চাইলেও পারিনা যেতে তোমার কাছে, তুমি যদি পারো মোরে দেখে যেও এসে নীল রঙের শাড়ি পরে সুমিষ্টই হেসে ও মায়াবিনী তোমার ভালবাসা চাই সাধ আছে বুকে জমা তবু সাধ্য নাই। wherever you go whatever you do I will be right there waiting for you.

তোমার কোন দোষ নেই-

তোমার কোন দোষ নেই, আমারই দোষ। আমারই তো ভুল। ভালবেসে আমি পাথরে ফুটাতে ছেয়েছি ফুল। আমারই তো ভুল। আমি জেনেছি কোন পায়রা কখনো মানেনা পোষ। তুমি করলেনা তাই তোমার নিতির সাথে একটু আপোষ। যেনেগেছি আমি, তুমি ছিলে রঙ্গেরই পুতুল, আমারই তো ভুল। আমি জেনেছি প্রেমেরই লিলা কপালে সয়না আমার, বুজি মিলালোনা তাই আমার মনের সাতে মনটা তোমার। হেরে গেছি আমি, ঝরে গেছে মনেরই মুকুল। আমারই তো ভুল।

Thursday, September 26, 2013

ভালবাসার চিঠি

রাত গভীর হয়, আকাসে তাঁরা উঠে, চাঁদ জ্যোৎস্না ছড়ায়। তাঁরা ছুপি ছুপি তাদের প্রনয়ের কথা বলে। আমি শুধু বাতায়নের পাশে জেগে থাকি। নিরবে-নিঃশব্দে আমার সৃতিতে তুমি বার বার ফিরে আসো। কেন মনে হয় তোমার ঐ মুগ্ধ মায়াময় চেয়ারা ঐ চোখ আজো ভুলতে পারিনা। পারচিনা তোমাকে হৃদয়য়ের কাছ থেকে সরাতে। মিম কিছুতেই ভুলতে পারছিনা সেই সময়ের সেই মদুময় সৃতির কথা। যা মনে পরলে দুচোখে নেমে আসে অশ্রুর প্লাবন। কি অপরুপ তুমি তোমার নাতি দির্গ কোঁকড়ানো চুল গুলু যেন কৃষ্ণপাথরের ছেয়েও কালো। তোমার ঠোট দুটো যেন উপসাগরীয় জুদ্দের লাল রক্তের ছেয়েও লাল। তোমার মুখ যেন বুলগেরিয়ার রাজদানী সোফিয়ার ভ্যালী অফ রোজ গার্ডেনের ছেয়েও সুন্দর। তোমার কথা যেনও উপমহাদেশের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পি রুনার কণ্ঠের ছেয়েও মধুর। তোমার শরীরের মউ গন্দ যেনও হেরুইনের ছেয়েও বেশি আসক্তকারি। মিম নিয়তি কত নিষ্ঠুর তোমাকে আমাকে দূরে রেখেছে। এমনতো চাইনি, তোমার কি অপরাধ, অপরাধ সব আমার। আমার এই অপরাধের জন্য তোমাকে আজ হারাতে হল। তোমাকে তো বলেছিলাম অপেক্ষা করতে। তা তুমি করলেনা, না করে আমার হৃদপিণ্ডে ছুরি মারলে। পৃথিবীর সব প্রেমিকার মত তোমাকে ভাবিনী। আদর্শ প্রেমিকা বলে ভাবতাম। কারন তুমি তোমার ছেয়েও আমাকে বেশি ভালবাসতে, এত ভালবাসার মধ্য আমাকে কষ্ট দিলে কেন? তুমি না একদিন বলেছিলে বাবু কখনো আমাকে কষ্ট দিওনা, তোমার জন্য আমি সাদ্দামের মত যুদ্ধ করবো। মনে আছে সেই সময়ের কথা,যেই সময়ে আমরা দেখা করতাম, তুমি বলতে তোমাকে চুমু খেতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। কত আদর সোহাগ করে করে আমাকে ডাকতে এবং বলতে বাবু তোমাকে না পেলে আমি মরে যাব। মিম আমি তোমাকে কত যে ভালবাসতাম একবারেও কি বুজতে চাইলে না? তুমি সুদু নিজেকে দেখলে, আমাকে একবারেও দেখলেনা। তবুও কষ্ট নেবনা। দূর থেকে তোমাকে দোয়া করবো। তুমি যেখানেই থাকো যেভাবে থাকো, যেনও ভাল থেকো, সুখে থেকো। তোমাকে দেখার শোভাগ্য আমার হবে কিনা জানিনা। আদও হবে কি দেখা????? তোমার সৃতি ভুলতে পারিনা, সব সময় চোখের সামনে ভেসে উঠে। তুমি আজ আমার কাছে থেকে বুহু দুরে। তুবুও মনে হয় এইতো তুমি রয়েছ কাছে। তোমাকে কোনদিন ভুলতে পারবোনা। দোয়া করি তোমার জীবন যেনও সুখের হয়। ইতি তোমার বাবু

Monday, September 23, 2013

ভালবাসি তোমায় , শুধু তোমায়

কি অদ্ভুত তুমি ! ব্যাথা দিয়ে বল ,ব্যাথা পেয়েছো ? আমায় হাসিয়ে বল
হাসছো কেন ? আমি কিছুই বলি না , শুধু তোমার চোখে চোখ রেখে বলি - ও কিছু না | কি উন্মাদ তুমি ! আমায় কাছে টেনে বল , কাছে এসো না , প্রশ্ন করে বল , কথা বলবে না ? হাসতে হাসতে বল , কি বিশ্রী তুমি , পাশে বসে বল ,দুরে যাও না , হাত ছোয়ে বল ,এসব কি ? আমি কিছুই বলি না , শুধু তোমার চোখে চোখ রেখে বলি - ও কিছু না | কি আনমনা তুমি ! হাতে ঘড়ি নিয়ে বল , কয়টা বাজে ? ফুলে নাক শুকে বল , ফুল ভাল না ,কাধে কাধ রেখে বল , তুমি ভাল না , ঘুম ঘুম চোখে বল , ঘুম আসে না | নিরবাক আমি কিছুই বলি না ,শুধু শুধু তোমার চোখে চোখ রেখে , ফিস ফিস করে শিশিরের শব্দের মত বলি - ভালবাসি তোমায় , শুধু তোমায় !!!

Sunday, September 22, 2013

শুভ্র ভালোবাসা তোমার জন্য


একটা মেয়ে যখন চুপ করে থাকে তাহলে বুঝতে হবে
হাজার টা চিন্তা তার মাথার মধ্যে গুরপাক খাচ্ছে।
যখন একটা মেয়ে কোন কিছু নিয়ে তর্ক করেনা
তার মানে হচ্ছে সে কোন বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তায় মঘ্ন।
যখন কোন মেয়ে আপনার দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকায় আপনার দিকে
তার মানে হচ্ছে সে আপনার কাছে জানতে চায় আপনি কয়দিন তার পাশে থাকবেন?
যখন কোন মেয়ে অনেক্ষন সময় নিয়ে বলে‘আমি ভাল আছি’
তার মানে সে মোটেও ভাল নেই।
যখন কোন মেয়ে আপনার দিকে অদ্ভুত ভাবেতাকায়
তার মানে সে আপনার বলা মিথ্যে কথাটা ভেবে অবাক হয় আপনি মিথ্যে বলছেন কেন?
যখন কোন মেয়ে আপনার বুকে মাথা রাখে
সে আপনাকে সারাজীবন তার নিজের করে পাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে।
কোন মেয়ে যদি আপনাকে প্রতিদিন কল করেতাহলে বুঝে নিতে হবে,
সে আপনার মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা করছে।
যখন কোন মেয়ে বলে যে সে আপনাকে ছাড়াবাঁচতে পারবেনা,
তার মানে মেয়েটি ঠিক করে পেলেছে আপনিতার ভবিষ্যৎ।
আর যখন কোন মেয়ে আপনাকে বলে সে আপনাকে মিস করছে তার মানে
পৃথিবীর আর কেউ আপনাকে তার চেয়ে বেশিমিস করছেনা।

Friday, September 20, 2013

♥একটি ছোট গল্প♥ পড়ে দেখার অনুরধ রইল...



একটা মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে । সে বুঝতে পারলো একটা ছেলে থাকে অনুসরণ করছে।
কিছুক্ষণ যাওয়ার পর মেয়েটা দাড়িয়ে রইল
এবং পিছনে ফিরে দেখল যে ছেলেটাও দাড়িয়ে আছে।
মেয়েটা ছেলেকে ডেকে আনল এবং জিজ্ঞাসা করলো,
তুমি আমার পিছু নিয়েছ কেনো? ছেলেটা বলল ,
আমি তোমাকে ভালোবাসি।
এটা শুনে মেয়ে বলল,তোমার পিছনে দেখো আমার
থেকে সুন্দর একটা মেয়ে আসছে !!!!!
তখন ছেলেটা পিছন ফিরে তাকাল এবং দেখল যে কেউ নেই!!।
তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালবাসতে তাহলে তুমি সুন্দর ওই মেয়েকে দেখার জন্য পিছনে ফিরে তাকাতে না।
তুমি আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে! তোমার
যেটা হয়েছে সেটা ভালোবাসা না সেটা ভালোলাগা.....!!

সম্পর্কের কয়েকটা Facts :-



সম্পর্কের কয়েকটা Facts :-
১. চুমু খাওয়া স্বাস্থ্যকর!
২. ছেলেরা যদি কোন মেয়েকে অপমান
করে, এর অর্থসে তাকে পছন্দ করে ।
৩. ৮৯% মেয়েই ছেলেদের কাছ
থেকে প্রথমে প্রপোজ আশা করে ।
৪. একটা মেয়েকে পেছন থেকে যখন তার
বয়ফ্রেন্ড কোমড় জড়িয়ে ধরে,
এটা সে সবচেয়ে বেশী পছ্ন্দ করে।
৫. স্ত্রীরা সেই
মুহূর্তটা ভালবাসে যখন তাদের
স্বামীরা তাদেরকে টাই
বেঁধে দিতে কিংবা কোটটা পড়িয়ে দিতে
৬. ছেলেরা তাদের পছন্দের
মেয়েকে রাগিয়ে লাল
টুকটুকে চেহারা খানা দেখতে ভালোবাসে
৭. সত্যিকারের বন্ধুরা কখনোই
আপনার বন্ধুত্বের পরীক্ষা নিবে না।
৮. পৃথিবীতে কেউ না কেউ অবশ্যই
আছে যার চোখের জলকে আপনি নিজের
জীবনের চাইতেও বেশী মূল্য দেন।
৯. যদি আপনি অন্তর
থেকে কাউকে চান, জেনে রাখুন সেই
মানুষটাও আপনাকে ভেবেই ঘুমুতে যায় ।

Friday, September 6, 2013

বাঁশ খাইলাম বাঁশ

বাসে বান্দর ঝুলা হইয়া কলেজে যাইতাছিলাম। জানপাখিরে একটা কল করন দরকার। পকেটে হাত দিয়া দেখি, মোবাইল গায়েব!

হায়! হায়!! হায়!!! আমার এতো শখের মোবাইল! বুঝতাছিনা বাসায় ফালাইয়া আইলাম নাকি কোন হালা কামডা সারাইছে!

পাশের সিটের আফারে কইলাম, "আমার মোবাইলটা পাইতাছিনা। একটা কল দিবেন?" নাহ। আফায় কল দিলেন না, কইষা একখান থাবড়া দিয়া কইলেন, "শালা, মাইয়া মানুষ দেখলেই মোবাইল হারাইয়া ফালাস, তাইনা? সিমে রোমান্টিক গুনগুন টিউন কইরা আমারে পটানোর চেষ্টা! সিনিয়র-জুনিয়র ও তো দেখি মানস না!" আমি উনার শালা নাকি উনি আমার শালী, সম্পর্কটা ক্লিয়ার করার আগেই দেখি কয়েকটা মজনু আইসা জুটল। উদ্যেশ্য, আমারে হালকার উপর ঝাপসা কয়েকটা দিয়া হাতের সুখ মেটানো, লগে আফার কাছে হিরো হওয়া। কোনমতে সবাইরে ম্যানেজ কইরা আফার কাছ থেইকা মাফ চাইয়া বাস থেইকা নাইমা পড়লাম।

কলেজ গেইটেই বান্ধবীর লগে দেখা। শালী আরেক চীজ।
- কিরে, তোরে এইরাম লাগতাছে ক্যা?
- দোস্ত, মোবাইলটা পাইতাছিনা। একটা কল দিয়া দেখবি?
- হারামজাদা, প্রপোস করার আর মাইয়া পাইলিনা! শেষপর্যন্ত আমারেও...!
- মানে? তোরে আমি প্রপোস করলাম কখন?
- শালা মজা লস? তোর জানপাখিরে কমু?
- কি কইবি?
- এই যে, আমারে প্রপোস করছস!
- আমি তোরে প্রপোস করছি! তোর মত নাক বোঁচা মাইয়ারে!
- কি! আমার নাক বোঁচা! খাড়া, তোর জানপাখিরে কইতাছি!
- ভুল হইয়া গেছে। মাফ কইরা দে। ও কইরে?
- ক্লাসে। তোর উপর মহাক্ষেপা!
- কেন?
- তোরে সতেরটা মিসকল দিছে। ব্যাক করস নাই! আইজ তোর খবর আছে!
অজানা আশঙ্কায় মনটা কাইপা উঠল। আর দাড়াইলাম না। সকাল থেইকাই দৌড়ের উপর আছি। আইজ কপালে কি আছে, আল্লাহই মালুম!

ক্লাসে ঢোকার আগে বন্ধুর লগে দেখা। ওর হাতে মোবাইল দেইখাই আমার মোবাইলটার কথা মনে পইড়া গেল। ভাবলাম, পোলা মানুষ তো আর কইব না যে তারে প্রপোস করতাছি।
- দোস্ত, আমার মোবাইলটা পাইতাছিনা। একটা কল দিবি?
- আবে হালা ডায়ালগটা তোর জানপাখিরে না মাইরা আমারে মারতাছস ক্যা?
- ডায়ালগ মারতাছি কই? আমার মোবাইলটা পাইতাছিনা। তাই তোরে একটা কল দিতে কইতাছি। আর কল দেওয়ার লগে প্রপোসের কি সম্পর্ক?
- হালা টিভি দেখস না? কল দিতে পারুম না। আমার মোবাইলে ব্যালেন্স নাই!

ফাটা কপাল নিয়া ক্লাসে ঢুকলাম। দেখি, জানপাখি আমার দিকে রক্তচক্ষু কইরা তাকাইয়া আছে! আমার তখন "ব্ল্যাকবোর্ড, দু'ফাক হও। আমি তোমার ভিতরে ঢুইকা যাই!" অবস্থা!
- কল করনাই কেন?
- ইয়ে... মানে...
- ইয়ে মানে কি?
- না মানে আমার মোবাইলটা খুইজা পাইতাছিনা। একটা কল দিয়া দেখবা কই হারাইছি?
- ফাজলামো কর? তুমি আমার লগে ফাজলামো কর?
- ফাজলামো করলাম কই? আমার মোবাইলটা পাইতাছিনা। তাই একটা কল দিতে কইলাম। দিবা?
- আবার ফাজলামো! দোষ কইরা রোমান্স ফলাও? কি ভাবো তুমি আমারে? স্যান্ডউইচ? দুইপাশে রুটি আর মাঝখানে আমি? শোন, আমি বইলাই তোমারে এত সহ্য করতাছি! আর কেউ এত সহ্য করব না! তুমি জানো আমার পিছনে কতজন ঘুরে? কয়টা পোলা আমারে প্রপোস করছে? ডেইলি আমার কাছে কয়টা লাভ লেটার আসে? আমি যদি ... ... ... (মাইয়ারা কমন ডায়ালগ যা মারে, তা মারতাছে আর কি। আর আমিও পোলাগো কমন কাজটা করতাছি। এক কান দিয়া শুনতাছি, আরেক কান দিয়া বাইর করতাছি! )

বাসায় আইসা শুইয়া শুইয়া টিভি দেখতাছি। শালারা অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন দেখাইতাছে নাকি বিজ্ঞাপনের ফাঁকে অনুষ্ঠান দেখাইতাছে, বুঝতে পারতাছিনা। হঠাত্‍ একটা বিজ্ঞাপনে চোখ আটকাইয়া গেল। একটা পোলা একটা মাইয়ারে অনেকভাবে প্রপোস করতাছে। কিন্তু সামান্যের লাইগা সফল হইতে পারতাছেনা। শেষে প্রপোসের লক্ষে রোমান্টিক গুনগুন সেট কইরা কইল, "আমার মোবাইলটা পাচ্ছিনা। একটা কল দিবা!"

ওহ! তাইলে এই ব্যাপার! শালা জিপি! আমারে পুরাই মদন বানাইয়া দিলি!

এইসময় ছোট বইন আইসা কইল,
- ভাইয়া, আমার জন্য আইসক্রিম আনছস?
- টাকা কি গাছে ধরে যে আইসক্রিম খাইতে চাইলি আর আইনা দিলাম!
- আইজকা আম্মা তোর বিছানা গোছাইতে গিয়া তোর মোবাইলটা পাইল। দেখে, মোবাইলে সতেরটা মিসকল! তারপর কি হইল জানস?
- নাহ। জানিনা। জানলে কি আর তোরে জিগাই? তারপর কি হইল?
- তারপর আমার আইসক্রিম খাইতে ইচ্ছা করল। কিন্তু আমার কাছে টাকা ছিলনা!
- আইসক্রিম খাবি তো? এই নে একশ টাকা। তুই আমার আদরের বইন না! তারপর কি হইল, বলনা!
- থ্যাংকু ভাইয়া। তারপর জিগাইল, নীলিমা (জানপাখি) কেডা?
- কি কইলি? তোর বান্ধবী কইলি, তাইনা? আমি জানি তুই আমারে বাঁচাইয়া দিবি! তুই আমার দশটা না, পাঁচটা না, একটামাত্র আদরের বইন!
- নাহ। কইলাম, আমার ভাবী! তোমার (আম্মার) পুত্রবধূ! তোরে একেবারেই বাচাইয়া দিলাম!
কইতে দেরি, খিইচ্চা দৌড় লাগাইতে দেরি নাই!

ওরে মোর খোদা, একলগে এত্তগুলা বাঁশ নিমু কেমনে? একটু তো সময় দাও। হজম করি!

Wednesday, September 4, 2013

আব্বাসী খলীফা হারুনুর রশীদ

আব্বাসী খলীফা হারুনুর রশীদ (৭৬৩-৮০৯খ্রি.) এর শাসন আমলে (৭৮৬-৮০৯খ্রি.) বাহলুল নামে এক পাগল ছিল। যে অধিকাংশ সময় কবরস্থানে কাটাতো। কবরস্থানে থাকা অবস্থায় একদিন বাদশাহ হারুনুর রশীদ তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
বাদশাহ তাকে ডাক দিলেন: বাহলুল! ওই পাগল! তোর কি আর জ্ঞান ফিরবে না? বাহলুল বাদশাহর এ কথা শুনে নাচতে নাচতে গাছের উপরের ডালে চড়লেন এবং সেখান থেকে ডাক দিল- হারুন! ওই পাগল! তোর কি কোনদিন জ্ঞান ফিরবে না? বাদশাহ গাছের নিচে এসে বাহলুলকে বললেন, আমি পাগল নাকি তুই, যে সারা দিন কবরস্থানে বসে থাকে? বাহলুল বলল, আমিই বুদ্ধিমান।
বাদশাহ: কীভাবে?
বাহলুল রাজপ্রাসাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বললেন, আমি জানি এই রঙ্গীলা দালান ক্ষণিকের আবাসস্থল, এবং এটি (কবরস্থান) স্থায়ী নিবাস;
এজন্য আমি মরার পূর্বেই এখানে বসবাস শুরু করেছি। অথচ তুই গ্রহণ করেছিস ঐ রঙ্গশালাকে আর এই স্থায়ীনিবাসকে (কবর) এড়িয়ে চলছিস। রাজপ্রসাদ থেকে এখানে আসাকে অপছন্দ করছিস যদিও তুই জানিস এটাই তোর শেষ গন্তব্য। এবার বল, আমাদের মধ্যে কে পাগল?
বাহলুলের মুখে এ কথা শোনার পর বাদশাহর অন্তর কেঁপে উঠল, তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁর দাড়ি ভিজে গেল।
তিনি বললেন: খোদার কসম! তুমিই সত্যবাদী। আমাকে আরও কিছু উপদেশ দাও! বাহলুল: তোমার উপদেশের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট। তাকে যথার্থভাবে আকড়ে ধর।
বাদশাহ: তোমার কোন কিছুর অভাব থাকলে আমাকে বল, আমি তা পূরণ করব। বাহলুল: হ্যা, আমার তিনটি অভাব আছে, এগুলো যদি তুমি পূরণ করতে পার তবে সারা জীবন তোমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব।
বাদশাহ: তুমি নিঃসঙ্কচে চাইতে পার।
বাহলুল: মরণের সময় হলে আমার আয়ূ বৃদ্ধি করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে মৃত্যুর ফেরেশতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে জান্নাতে স্থান করে দিতে হবে এবং জাহান্নাম থেকে আমাকে দূরে রাখতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: তবে জেন রাখ, তুমি বাদশাহ নও বরং তুমি অন্য কারও অধীনস্থ। অতএব তোমার কাছে আমার কোন চাওয়া বা প্রার্থনা নেই।