আমি তো এরকম ছিলাম না । কেন এসেছিলে আমার জীবনে ? তোমার তো আসার কোন কথাই
ছিলনা । আসলেই যখন আবার চলে গেলে কেন ? কেন আজ আমি এত এলোমেলো ? আগের মত
কেন আমি আর হাসতে পারিনা ? কেন পারিনা আর আগের মত সপ্ন দেখতে ? কেন আজ
জীবনের মাঝপথে এসে মনে হয় শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি......... আমি জানি সব
অপরাধ , সব ভুল আমার । জানি আমার জন্য তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছ ......এটাও
জানি আমি তোমার বিশ্বাসের মর্জাদা রাখতে পারিনি । কোখায় জেন
শুনেছিলাম-"ভালোবাস তাকে যে তোমাকে কষ্ট দেয় ।" কথাটা কী তাহলে ভুল ছিল?
তোমার এই মিথ্যুকটা আর এখন মিথ্যা বলতে পারে না ।আমাকে তুমি যতটুকু বুঝতে
পারো অন্য কেউ তো এতটা পারে না । তাহলে কেন এত অভিমান করে আছ? আবার সব ভুলে
একটা বার তুমি আসবে ফিরে ? আর একটাবার কী আমাকে বিশ্বাস করবে ? তুমি দেখ
আমি তোমাকে অনেক যত্ন করে ভালোবাসবো । আমার সব ভালোবাসাই যে তোমার জন্য
তুলে রেখেছি......... আমাকে তুমি যে শাস্তিই দাও না কেন আমি মাথা পেতে নেব.
কেন তুমি আমাকে একা করা দূরে চলে গেলে, তোমায় ছাড়া বড় অসহায় আমি।
Thursday, December 5, 2013
Monday, November 25, 2013
অনুপ্রেরণার গল্প-2
একদিন এক ভিক্ষুক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ তার ভীষণ ক্ষুধা পেল । সে কিছুদূর যাবার পর বিশাল গেটওয়ালা একটা বাড়ি দেখতে পেল । মনে মনে খুব খুশী হল এই ভেবে যে , বড়োলোকের বাড়ী আজকে একটু মজার কিছু খেতে পারবে । ভাবতে ভাবতে সে বাড়ির দারওয়ানকে বলল, সে অনেক ক্ষুধার্ত কিছু খেতে দিবে? দারওয়ান বলল, ঠিক আছে তুমি বাহিরে বস। আমি মেমসাবকে জিজ্ঞাসা করে আসি । ভিক্ষুক বলল ঠিক আছে ভাই । যখন দারওয়ান ভেতরে গেল, ভিক্ষুক দেখল একটা বড় সুন্দর খাঁচার ভেতর খুব সুন্দর একটা কুকুর । তার সামনে একটা প্লেটে অনেক মাংস দিয়ে রাখা হয়েছে। সে দেখে মনে মনে আরও খুশী হল । ভিক্ষুক মনে মনে ভাবল, কুকুরকে এতো মাংস দিছে তাহলে তো আমাকেও অনেক ভালো খাবার দিবে। এদিকে দারওয়ান যখন গৃহকর্ত্রীর কাছে গিয়ে ভিক্ষুককে খাবার দিবার কথা বলল, তখন গৃহকর্ত্রী তার উপর রেগে গিয়ে বলল, খাবার কি আকাশ থেকে পড়ে যে চাইলেই খাবার দিতে হবে ? তোর কাজ গেটে দাঁড়িয়ে থাকা, তুই এই খানে কেন এলি ? আর যদি এই ভাবে কাজ ফেলে আসবি তাহলে বিদায় করে দেব । সামান্য একটু খাবার চাইতে এসে এত কথা শুনতে হল তাকে। দারোয়ান মনে মনে খুব কষ্ট পেল । এই ভেবে আরও দুঃখ হচ্ছিল তা্র, ভিক্ষুকটা ক্ষুধা পেটে বসে আছে, কিভাবে তাকে গিয়ে বলবে, এত বড় বাড়ি দেখলে কি হবে তোমাকে একবেলা খাওয়ানোর মতন খাবার তাদের নেই । ভাবতে ভাবতে সে ভিক্ষুকের কাছে আসলো এবং বলল, ভাই ওনারা ধনী মানুষ তো, খাবার কম খায় শরীর ভাল রাখার জন্য। তাই খাবার রান্নাও করে কম, এজন্য তোমাকে দেবার মতন খাবার নাই । এই কথা বলে নিজের পকেট থেকে ৫ টাকা বের করে বলল আমার কাছে এই কয়টা টাকাই আছে, তুমি কিছু খাবার কিনে খেয়ে নিও। ভিক্ষুকের মনটা খারাপ হয়ে গেল। সে দারওয়ানের টাকাটা নিয়ে হাত তুলে দোয়া করল , হে আল্লাহ্ যে আমাকে ক্ষুধা নিবারণের জন্য তার যা ছিল তাই আমাকে দিয়ে দিল তাকে তুমি দুনিয়া এবং আখিরাতের ধনী বানিয়ে দিও । এই কথা বলে সে চলে গেল ।
কিছুদিন পর দারওয়ান একটা লটারির ১ম পুরস্কার পেল । সে ঐ টাকা দিয়ে বিজনেস শুরু করল, কিছুদিনের মধ্যেই তার অনেক টাকা হয়ে গেলে । সেই টাকা দিয়ে সে একটা আশ্রম বানাল । যেখানে অসহায়, অনাথ , বয়স্ক লোকজন থাকত ।
এদিকে যে বাড়িতে সে কাজ করতো সেই বাড়ির কর্তা হঠাৎ মারা যায় । ছেলেমেয়েরা সবাই যার যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত । বাড়ির কর্ত্রী সবার কাছে বোঝা হয়ে উঠল । সবাই মিলে তাকে ওই দারওয়ানের আশ্রমে রেখে আসলো । আসার পর দেখল তার বাড়ির এক সময়ের দারওয়ান এই আশ্রমের মালিক । ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এই আশ্রমে সেদিনের সেই ভিক্ষুকটাও থাকে ।"
<<<এইখানে আমি বলতে চাই , অসহায় ক্ষুধার্তকে কখনো ফিরিয়ে দিবেন না । কতো সময় কতো খাবার আমরা ডাস্টবিনে ফেলে দিই , অথচ একটু খাবারের জন্য কতো মানুষ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । আপনার সামান্য একটু সহানুভুতি কারো মুখে হাসি ফুঁটাতে পারে । যার যা আছে তাই দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন । অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে পারলে দেখবেন মনটা খুশিতে ভরে উঠবে। । ভাগ্য কখন কাকে কোথায় কোন অবস্থায় রাখে কেউ জানে না ।>>>
আমার এই লেখা যদি কারো মনে একটুও দাগ কাটে আর অসহায়দের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলেই আমার লেখার সার্থকতা ।
@আশাহীন@
Sunday, November 24, 2013
অনুপ্রেরণার গল্প
ভার্সিটি পাশ করে বেশ কয়েক বছর আগে বেরিয়ে যাওয়া কিছু ছাত্র ব্যাক্তিগত জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে একদিন তাদের প্রিয় শিক্ষকের বাসায় বেড়াতে এলো।
তাদের আলোচনার এক পর্যায়ে সবাই নিজ নিজে পেশাগত জীবনের চাপের কথা তাদের প্রফেসরকে জানালেন। এক সময় সবাইকে অপেক্ষা করতে বলে প্রফেসর তাদের জন্যে কফি বানিয়ে আনতে গেলেন।কিছুক্ষন পর তিনি একটি বড় কেটলিতে করে কফি ও একটা ট্রে তে করে বেশ কিছু ধরনের কাপ নিয়ে ফিরে এলেন।এই কাপগুলোর মধ্যে ছিলো চীনা মাটির কাপ,প্লাস্টিকের কাপ,স্ফটিকের কাপ-যেগুলোর কিছু ছিলো সস্তা আর কিছু ছিলো বেশ দামী ধরনের। প্রফেসর তাদের নিজেদেরকে কাপ নিয়ে কফি ঢেলে নিতে বললেন।
যখন তারা সবাই নিজেরা কফি ঢেলে নিলো তখন প্রফেসর তাদের বললেন, ‘তোমরা লক্ষ্য করলে দেখতে সব দামী কাপগুলোই তোমরা নিয়ে নিয়েছো,ট্রে তে শুধু সস্তা আর সাধারন কাপগুলো পরে রয়েছে।
এই যে তোমরা সবসময় তোমরা নিজেদের জন্যে সবচেয়ে ভালটা চাও এটাই...
তোমাদের জীবনের সমস্যা আর মানসিক চাপের কারন।
জেনে রাখো কাপ যত দামীই হোক তা কফির মধ্যে কোনো বাড়তি স্বাদ যোগ করে না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা কি খাচ্ছি এটা বরং তাকেই লুকিয়ে ফেলে।
তোমরা আসলে যা চাচ্ছিলে তা হলো কফি,কাপগুলো নয় কিন্তু তারপরও তোমরা সচেতনভাবে সবচেয়ে ভাল কাপটাই বেছে নিলে এবং তারপর একে অপরের কাপের দিকেও তাকাতে শুরু করলে।
এখন শোনোঃ
আমাদের জীবন হলো সেই কফির মত,আর চাকুরী, টাকা পয়সা আর সমাজ হলো সেই কাপটি।
এগুলো শুধু জীবনটাকে ধরে রাখার জন্য কিন্তু এগুলো আমাদের জীবনের সংজ্ঞাও নির্ধারন করে না অথবা আমাদের জীবনের সুখ ও নির্ধারন করে না।
কখনো কখনো অন্যের কাপটার দিকে তাকাতে গিয়ে আল্লাহ আমাদের সবাইকে যে কফিটা দিয়েছেন আমরা তাই উপভোগ করতে ভুলে যাই!.’’
অসংখ্য পাথরের মাঝে স্বর্ণের মতো হলে তোমাকে চেনা যাবে, পাথরের মতো হলে নয়।
এক লোক সারাক্ষণ শুধু অভিযোগ করে। তার ধারণা, কেউ তার যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন করে না। একদিন একজন জ্ঞানী লোক বিষয়টি সম্পর্কে জানলেন এবং লোকটির কাছে আসলেন। তিনি মাটি থেকে একটি পাথর তুলে একটি পাথরের স্তুপে ফেলে দিলেন। তারপর তিনি সে-লোককে বললেন: ‘পাথরের স্তুপ থেকে আমার ফেলে-দেওয়া পাথরটি খুঁজে বের কর।’ লোকটি পাথর খুঁজে বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করল, কিন্তু হাজার হাজার পাথর থেকে ওই নির্দিষ্ট পাথরটি আলাদা করতে পারল না। এরপর জ্ঞানী লোকটি এক টুকরা স্বর্ণ পাথরের স্তুপে ফেলে দিলেন। তিনি বললেন: ‘এবার স্বর্ণের টুকরাটি খুঁজে বের কর।’ লোকটি অনায়াসে স্বর্ণের টুকরাটি পাথরগুলো থেকে আলাদা করে ফেলল।
এবার জ্ঞানী লোকটি বললেন, “দেখ, তুমি যখন স্বর্ণের মতো মূল্যবান হবে, তখন লোকে তোমাকে সহজেই চিনে নেবে এবং তোমার মূল্যায়ন করবে। কিন্তু ‘পাথর’ হয়ে তুমি কখনোই স্বর্ণের মতো গুরুত্ব পাবে না। যদি তুমি অন্যের কাছে মূল্য পেতে চাও, অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাও, তবে নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলো। অযথা অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই।’
Saturday, November 23, 2013
নীলনদের প্রতি ওমর (রাঃ)-এর চিঠিঃ

Wednesday, November 6, 2013
আমন্ত্রণ
কত সাধ জাগে গো তোমারে দেখি চেয়ে,
আমার প্রাণ প্রিয়া তুমি যে লক্ষ্মী মেয়ে।
ঐ মায়া মুখ খুব দেখতে মোর আশা
না দাও দেখা তুমি-না দাও ভালবাসা,
একবার কাছে এসে দেখা দাও সাথি
তুমি ছাড়া মোর যে কাটেনা দিবা-রাতি,
ঐ মায়া মুখ কেন লুকিয়ে রাখো তুমি
তুমি ছাড়া এ হৃদয় শুধু মরুভুমি।
হৃদয় তার প্রিয়াকে চায়না হারাতে
প্রেম রোগ কেউ কভু পারেনা সারাতে
প্রেমরোগ সারাতে পারে সুপ্রিয়জন
রোগ সারাতে প্রিয়া তোমায় আমন্ত্রণ।
ভালবাসা না দাও দিওগো মোরে দেখা
তুমি ছাড়া প্রেম ছাড়া হৃদয় যে একা
***তুমি যেখানেই যাও, তুমি যাই করো, আমি সেখানেই তোমার জন্য অপেক্ষা করব। ***
Friday, October 25, 2013
বল মুছে দেবে কি সানতনার জলে
Wednesday, October 9, 2013
পুরুষের যে ১০টি বিষয় ভালোবাসেন নারীরা!
Wednesday, October 2, 2013
ছেলেদের নিয়ে কিছু কথা হয়তো মেয়েদেরজানা উচিৎঃ
• ছেলেরা মেয়েদের চেয়েও বেশী আবেগপ্রবন হয়,যদি সে সত্যিকারেকাউকে ভালোবাসে
• একটা ছেলে সারাদিন অনেক মেয়ের সাথে ফ্লারটকরতে পারে কিন্তু, দিনের শেষে যখন সে ঘুমাতে যায়তখন তার মনের মানুষের কথাই ভাবে
• ভালোবাসার মানুষের একটু হাঁসির জন্য অনেক কিছুই করতে পারে
• এবং ছেলেটা সব সময়ই চাইবে তারভালোবাসারমানুষ শুধু তার সাথেই সারাক্ষণ কথা বলুক
• যদি ছেলেটা কখনো তার সমস্যার কথা বলে তারমানে শুধু এটাই যে, সে চায় তার ভালোবাসার মানুষতারকথা শুনুক। কোন উপদেশ বা অন্যকিছুর জন্য নয়।
• ছেলেরা আসলেই অনেক বেশী আবেগপ্রবণযতটা না কেঁউ ভাবে
• শুধু মাত্র মেয়েরাই ছেলেদের একমাত্র দুর্বলতা
• ছেলেটি যদি বলে আমাকে একটু একাথাকতে দাও এর মানে হচ্ছে “ আপনি তাকে ছেরে যাবেন না, কাছেই থাকুন”
• এটা ঠিক ছেলেরা হয়তো নিজের সবভুলনিজেরা দেখতে পারেনা (সব মানুষী এমন কম এরবেশী) হয়তো একটু একগুয়ে হয়, কিন্তু এক জনের কাছেই সে নিজের সব ভুল মাথানুয়িয়ে স্বীকারকরে নিবে যাকে সে ভালোবাসে
• যখন একটা ছেলে রাত জেগে সময়, ঘুম বা স্বাস্থ্যকোন কিছুর কথা না ভেবে কারো সাথে কথা বলে, তখন এটাই ভাবা উচিৎ যে সে তাকে অনেক বেশী পছন্দ করে এবং সবসময় তার কাছে থাকতে চায়।♥
Tuesday, October 1, 2013
সুন্দরীর পরিনতি গলায় ফাসিঁ!!!!!!

Sunday, September 29, 2013
এক খণ্ড মেঘ-
কখনো ভুঝিনি আমি হারাবার শোক,
হারিয়ে হারিয়ে শুন্য এ বুক।
তোমারেও হারিয়েছি- বেশি ভালবসে,
পাঠিয়েছি প্রেম দিতে- মাধবের দেশে।
তুমি সুখী হবে জানি পেয়ে ভালবাসা,
পুরন করো তোমার যত জমা আশা।
আবারও পিরে আসবো প্রেমিকের পাশে
যে আজও তোমাকেই বেশি ভালবাসে।
এক খণ্ড মেঘ এই বুকে জমে আছে।
চাইলেও পারিনা যেতে তোমার কাছে,
তুমি যদি পারো মোরে দেখে যেও এসে
নীল রঙের শাড়ি পরে সুমিষ্টই হেসে
ও মায়াবিনী তোমার ভালবাসা চাই
সাধ আছে বুকে জমা তবু সাধ্য নাই।
wherever you go
whatever you do
I will be right there waiting for you.
তোমার কোন দোষ নেই-
তোমার কোন দোষ নেই, আমারই দোষ। আমারই তো ভুল।
ভালবেসে আমি পাথরে ফুটাতে ছেয়েছি ফুল।
আমারই তো ভুল।
আমি জেনেছি কোন পায়রা কখনো মানেনা পোষ।
তুমি করলেনা তাই তোমার নিতির সাথে একটু আপোষ।
যেনেগেছি আমি,
তুমি ছিলে রঙ্গেরই পুতুল,
আমারই তো ভুল।
আমি জেনেছি প্রেমেরই লিলা কপালে সয়না আমার,
বুজি মিলালোনা তাই আমার মনের সাতে মনটা তোমার।
হেরে গেছি আমি, ঝরে গেছে মনেরই মুকুল।
আমারই তো ভুল।
Thursday, September 26, 2013
ভালবাসার চিঠি
রাত গভীর হয়, আকাসে তাঁরা উঠে, চাঁদ জ্যোৎস্না ছড়ায়।
তাঁরা ছুপি ছুপি তাদের প্রনয়ের কথা বলে। আমি শুধু বাতায়নের পাশে জেগে থাকি।
নিরবে-নিঃশব্দে আমার সৃতিতে তুমি বার বার ফিরে আসো।
কেন মনে হয় তোমার ঐ মুগ্ধ মায়াময় চেয়ারা ঐ চোখ আজো ভুলতে পারিনা।
পারচিনা তোমাকে হৃদয়য়ের কাছ থেকে সরাতে। মিম কিছুতেই ভুলতে পারছিনা সেই সময়ের সেই মদুময় সৃতির কথা।
যা মনে পরলে দুচোখে নেমে আসে অশ্রুর প্লাবন। কি অপরুপ তুমি তোমার নাতি দির্গ কোঁকড়ানো চুল গুলু যেন
কৃষ্ণপাথরের ছেয়েও কালো। তোমার ঠোট দুটো যেন উপসাগরীয় জুদ্দের লাল রক্তের ছেয়েও লাল।
তোমার মুখ যেন বুলগেরিয়ার রাজদানী সোফিয়ার ভ্যালী অফ রোজ গার্ডেনের ছেয়েও সুন্দর।
তোমার কথা যেনও উপমহাদেশের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পি রুনার কণ্ঠের ছেয়েও মধুর।
তোমার শরীরের মউ গন্দ যেনও হেরুইনের ছেয়েও বেশি আসক্তকারি।
মিম নিয়তি কত নিষ্ঠুর তোমাকে আমাকে দূরে রেখেছে। এমনতো চাইনি,
তোমার কি অপরাধ, অপরাধ সব আমার। আমার এই অপরাধের জন্য তোমাকে আজ হারাতে হল।
তোমাকে তো বলেছিলাম অপেক্ষা করতে।
তা তুমি করলেনা, না করে আমার হৃদপিণ্ডে ছুরি মারলে। পৃথিবীর সব প্রেমিকার মত তোমাকে ভাবিনী।
আদর্শ প্রেমিকা বলে ভাবতাম। কারন তুমি তোমার ছেয়েও আমাকে বেশি ভালবাসতে,
এত ভালবাসার মধ্য আমাকে কষ্ট দিলে কেন?
তুমি না একদিন বলেছিলে বাবু কখনো আমাকে কষ্ট দিওনা,
তোমার জন্য আমি সাদ্দামের মত যুদ্ধ করবো।
মনে আছে সেই সময়ের কথা,যেই সময়ে আমরা দেখা করতাম,
তুমি বলতে তোমাকে চুমু খেতে আমার ভীষণ ভাল লাগে।
কত আদর সোহাগ করে করে আমাকে ডাকতে এবং বলতে বাবু তোমাকে না পেলে আমি মরে যাব।
মিম আমি তোমাকে কত যে ভালবাসতাম একবারেও কি বুজতে চাইলে না?
তুমি সুদু নিজেকে দেখলে, আমাকে একবারেও দেখলেনা।
তবুও কষ্ট নেবনা। দূর থেকে তোমাকে দোয়া করবো। তুমি যেখানেই থাকো যেভাবে থাকো, যেনও ভাল থেকো, সুখে থেকো।
তোমাকে দেখার শোভাগ্য আমার হবে কিনা জানিনা। আদও হবে কি দেখা?????
তোমার সৃতি ভুলতে পারিনা, সব সময় চোখের সামনে ভেসে উঠে।
তুমি আজ আমার কাছে থেকে বুহু দুরে। তুবুও মনে হয় এইতো তুমি রয়েছ কাছে।
তোমাকে কোনদিন ভুলতে পারবোনা। দোয়া করি তোমার জীবন যেনও সুখের হয়।
ইতি
তোমার বাবু
Monday, September 23, 2013
ভালবাসি তোমায় , শুধু তোমায়
কি অদ্ভুত তুমি !
ব্যাথা দিয়ে বল ,ব্যাথা পেয়েছো ?
আমায় হাসিয়ে বল
হাসছো কেন ? আমি
কিছুই বলি না , শুধু
তোমার চোখে চোখ
রেখে বলি - ও কিছু না |
কি উন্মাদ তুমি ! আমায়
কাছে টেনে বল , কাছে
এসো না , প্রশ্ন করে বল
, কথা বলবে না ? হাসতে
হাসতে বল , কি বিশ্রী
তুমি ,
পাশে বসে বল ,দুরে যাও না , হাত ছোয়ে বল ,এসব কি ?
আমি কিছুই বলি না ,
শুধু তোমার চোখে চোখ রেখে বলি - ও
কিছু না |
কি আনমনা তুমি !
হাতে ঘড়ি নিয়ে বল ,
কয়টা বাজে ?
ফুলে নাক শুকে বল , ফুল
ভাল না ,কাধে কাধ
রেখে বল , তুমি ভাল না ,
ঘুম ঘুম চোখে বল ,
ঘুম আসে না |
নিরবাক আমি কিছুই বলি
না ,শুধু শুধু
তোমার চোখে চোখ
রেখে , ফিস ফিস করে
শিশিরের শব্দের মত বলি - ভালবাসি তোমায় , শুধু তোমায় !!!
Sunday, September 22, 2013
শুভ্র ভালোবাসা তোমার জন্য
একটা মেয়ে যখন চুপ করে থাকে তাহলে বুঝতে হবে
হাজার টা চিন্তা তার মাথার মধ্যে গুরপাক খাচ্ছে।
যখন একটা মেয়ে কোন কিছু নিয়ে তর্ক করেনা
তার মানে হচ্ছে সে কোন বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তায় মঘ্ন।
যখন কোন মেয়ে আপনার দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকায় আপনার দিকে
তার মানে হচ্ছে সে আপনার কাছে জানতে চায় আপনি কয়দিন তার পাশে থাকবেন?
যখন কোন মেয়ে অনেক্ষন সময় নিয়ে বলে‘আমি ভাল আছি’
তার মানে সে মোটেও ভাল নেই।
যখন কোন মেয়ে আপনার দিকে অদ্ভুত ভাবেতাকায়
তার মানে সে আপনার বলা মিথ্যে কথাটা ভেবে অবাক হয় আপনি মিথ্যে বলছেন কেন?
যখন কোন মেয়ে আপনার বুকে মাথা রাখে
সে আপনাকে সারাজীবন তার নিজের করে পাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে।
কোন মেয়ে যদি আপনাকে প্রতিদিন কল করেতাহলে বুঝে নিতে হবে,
সে আপনার মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা করছে।
যখন কোন মেয়ে বলে যে সে আপনাকে ছাড়াবাঁচতে পারবেনা,
তার মানে মেয়েটি ঠিক করে পেলেছে আপনিতার ভবিষ্যৎ।
আর যখন কোন মেয়ে আপনাকে বলে সে আপনাকে মিস করছে তার মানে
পৃথিবীর আর কেউ আপনাকে তার চেয়ে বেশিমিস করছেনা।
Friday, September 20, 2013
♥একটি ছোট গল্প♥ পড়ে দেখার অনুরধ রইল...

একটা মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে । সে বুঝতে পারলো একটা ছেলে থাকে অনুসরণ করছে।
কিছুক্ষণ যাওয়ার পর মেয়েটা দাড়িয়ে রইল
এবং পিছনে ফিরে দেখল যে ছেলেটাও দাড়িয়ে আছে।
মেয়েটা ছেলেকে ডেকে আনল এবং জিজ্ঞাসা করলো,
তুমি আমার পিছু নিয়েছ কেনো? ছেলেটা বলল ,
আমি তোমাকে ভালোবাসি।
এটা শুনে মেয়ে বলল,তোমার পিছনে দেখো আমার
থেকে সুন্দর একটা মেয়ে আসছে !!!!!
তখন ছেলেটা পিছন ফিরে তাকাল এবং দেখল যে কেউ নেই!!।
তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালবাসতে তাহলে তুমি সুন্দর ওই মেয়েকে দেখার জন্য পিছনে ফিরে তাকাতে না।
তুমি আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে! তোমার
যেটা হয়েছে সেটা ভালোবাসা না সেটা ভালোলাগা.....!!
সম্পর্কের কয়েকটা Facts :-

১. চুমু খাওয়া স্বাস্থ্যকর!
২. ছেলেরা যদি কোন মেয়েকে অপমান
করে, এর অর্থসে তাকে পছন্দ করে ।
৩. ৮৯% মেয়েই ছেলেদের কাছ
থেকে প্রথমে প্রপোজ আশা করে ।
৪. একটা মেয়েকে পেছন থেকে যখন তার
বয়ফ্রেন্ড কোমড় জড়িয়ে ধরে,
এটা সে সবচেয়ে বেশী পছ্ন্দ করে।
৫. স্ত্রীরা সেই
মুহূর্তটা ভালবাসে যখন তাদের
স্বামীরা তাদেরকে টাই
বেঁধে দিতে কিংবা কোটটা পড়িয়ে দিতে
৬. ছেলেরা তাদের পছন্দের
মেয়েকে রাগিয়ে লাল
টুকটুকে চেহারা খানা দেখতে ভালোবাসে
৭. সত্যিকারের বন্ধুরা কখনোই
আপনার বন্ধুত্বের পরীক্ষা নিবে না।
৮. পৃথিবীতে কেউ না কেউ অবশ্যই
আছে যার চোখের জলকে আপনি নিজের
জীবনের চাইতেও বেশী মূল্য দেন।
৯. যদি আপনি অন্তর
থেকে কাউকে চান, জেনে রাখুন সেই
মানুষটাও আপনাকে ভেবেই ঘুমুতে যায় ।
Friday, September 6, 2013
বাঁশ খাইলাম বাঁশ

হায়! হায়!! হায়!!! আমার এতো শখের মোবাইল! বুঝতাছিনা বাসায় ফালাইয়া আইলাম নাকি কোন হালা কামডা সারাইছে!
পাশের সিটের আফারে কইলাম, "আমার মোবাইলটা পাইতাছিনা। একটা কল দিবেন?" নাহ। আফায় কল দিলেন না, কইষা একখান থাবড়া দিয়া কইলেন, "শালা, মাইয়া মানুষ দেখলেই মোবাইল হারাইয়া ফালাস, তাইনা? সিমে রোমান্টিক গুনগুন টিউন কইরা আমারে পটানোর চেষ্টা! সিনিয়র-জুনিয়র ও তো দেখি মানস না!" আমি উনার শালা নাকি উনি আমার শালী, সম্পর্কটা ক্লিয়ার করার আগেই দেখি কয়েকটা মজনু আইসা জুটল। উদ্যেশ্য, আমারে হালকার উপর ঝাপসা কয়েকটা দিয়া হাতের সুখ মেটানো, লগে আফার কাছে হিরো হওয়া। কোনমতে সবাইরে ম্যানেজ কইরা আফার কাছ থেইকা মাফ চাইয়া বাস থেইকা নাইমা পড়লাম।
কলেজ গেইটেই বান্ধবীর লগে দেখা। শালী আরেক চীজ।
- কিরে, তোরে এইরাম লাগতাছে ক্যা?
- দোস্ত, মোবাইলটা পাইতাছিনা। একটা কল দিয়া দেখবি?
- হারামজাদা, প্রপোস করার আর মাইয়া পাইলিনা! শেষপর্যন্ত আমারেও...!
- মানে? তোরে আমি প্রপোস করলাম কখন?
- শালা মজা লস? তোর জানপাখিরে কমু?
- কি কইবি?
- এই যে, আমারে প্রপোস করছস!
- আমি তোরে প্রপোস করছি! তোর মত নাক বোঁচা মাইয়ারে!
- কি! আমার নাক বোঁচা! খাড়া, তোর জানপাখিরে কইতাছি!
- ভুল হইয়া গেছে। মাফ কইরা দে। ও কইরে?
- ক্লাসে। তোর উপর মহাক্ষেপা!
- কেন?
- তোরে সতেরটা মিসকল দিছে। ব্যাক করস নাই! আইজ তোর খবর আছে!
অজানা আশঙ্কায় মনটা কাইপা উঠল। আর দাড়াইলাম না। সকাল থেইকাই দৌড়ের উপর আছি। আইজ কপালে কি আছে, আল্লাহই মালুম!
ক্লাসে ঢোকার আগে বন্ধুর লগে দেখা। ওর হাতে মোবাইল দেইখাই আমার মোবাইলটার কথা মনে পইড়া গেল। ভাবলাম, পোলা মানুষ তো আর কইব না যে তারে প্রপোস করতাছি।
- দোস্ত, আমার মোবাইলটা পাইতাছিনা। একটা কল দিবি?
- আবে হালা ডায়ালগটা তোর জানপাখিরে না মাইরা আমারে মারতাছস ক্যা?
- ডায়ালগ মারতাছি কই? আমার মোবাইলটা পাইতাছিনা। তাই তোরে একটা কল দিতে কইতাছি। আর কল দেওয়ার লগে প্রপোসের কি সম্পর্ক?
- হালা টিভি দেখস না? কল দিতে পারুম না। আমার মোবাইলে ব্যালেন্স নাই!
ফাটা কপাল নিয়া ক্লাসে ঢুকলাম। দেখি, জানপাখি আমার দিকে রক্তচক্ষু কইরা তাকাইয়া আছে! আমার তখন "ব্ল্যাকবোর্ড, দু'ফাক হও। আমি তোমার ভিতরে ঢুইকা যাই!" অবস্থা!
- কল করনাই কেন?
- ইয়ে... মানে...
- ইয়ে মানে কি?
- না মানে আমার মোবাইলটা খুইজা পাইতাছিনা। একটা কল দিয়া দেখবা কই হারাইছি?
- ফাজলামো কর? তুমি আমার লগে ফাজলামো কর?
- ফাজলামো করলাম কই? আমার মোবাইলটা পাইতাছিনা। তাই একটা কল দিতে কইলাম। দিবা?
- আবার ফাজলামো! দোষ কইরা রোমান্স ফলাও? কি ভাবো তুমি আমারে? স্যান্ডউইচ? দুইপাশে রুটি আর মাঝখানে আমি? শোন, আমি বইলাই তোমারে এত সহ্য করতাছি! আর কেউ এত সহ্য করব না! তুমি জানো আমার পিছনে কতজন ঘুরে? কয়টা পোলা আমারে প্রপোস করছে? ডেইলি আমার কাছে কয়টা লাভ লেটার আসে? আমি যদি ... ... ... (মাইয়ারা কমন ডায়ালগ যা মারে, তা মারতাছে আর কি। আর আমিও পোলাগো কমন কাজটা করতাছি। এক কান দিয়া শুনতাছি, আরেক কান দিয়া বাইর করতাছি! )
বাসায় আইসা শুইয়া শুইয়া টিভি দেখতাছি। শালারা অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন দেখাইতাছে নাকি বিজ্ঞাপনের ফাঁকে অনুষ্ঠান দেখাইতাছে, বুঝতে পারতাছিনা। হঠাত্ একটা বিজ্ঞাপনে চোখ আটকাইয়া গেল। একটা পোলা একটা মাইয়ারে অনেকভাবে প্রপোস করতাছে। কিন্তু সামান্যের লাইগা সফল হইতে পারতাছেনা। শেষে প্রপোসের লক্ষে রোমান্টিক গুনগুন সেট কইরা কইল, "আমার মোবাইলটা পাচ্ছিনা। একটা কল দিবা!"
ওহ! তাইলে এই ব্যাপার! শালা জিপি! আমারে পুরাই মদন বানাইয়া দিলি!
এইসময় ছোট বইন আইসা কইল,
- ভাইয়া, আমার জন্য আইসক্রিম আনছস?
- টাকা কি গাছে ধরে যে আইসক্রিম খাইতে চাইলি আর আইনা দিলাম!
- আইজকা আম্মা তোর বিছানা গোছাইতে গিয়া তোর মোবাইলটা পাইল। দেখে, মোবাইলে সতেরটা মিসকল! তারপর কি হইল জানস?
- নাহ। জানিনা। জানলে কি আর তোরে জিগাই? তারপর কি হইল?
- তারপর আমার আইসক্রিম খাইতে ইচ্ছা করল। কিন্তু আমার কাছে টাকা ছিলনা!
- আইসক্রিম খাবি তো? এই নে একশ টাকা। তুই আমার আদরের বইন না! তারপর কি হইল, বলনা!
- থ্যাংকু ভাইয়া। তারপর জিগাইল, নীলিমা (জানপাখি) কেডা?
- কি কইলি? তোর বান্ধবী কইলি, তাইনা? আমি জানি তুই আমারে বাঁচাইয়া দিবি! তুই আমার দশটা না, পাঁচটা না, একটামাত্র আদরের বইন!
- নাহ। কইলাম, আমার ভাবী! তোমার (আম্মার) পুত্রবধূ! তোরে একেবারেই বাচাইয়া দিলাম!
কইতে দেরি, খিইচ্চা দৌড় লাগাইতে দেরি নাই!
ওরে মোর খোদা, একলগে এত্তগুলা বাঁশ নিমু কেমনে? একটু তো সময় দাও। হজম করি!
Wednesday, September 4, 2013
আব্বাসী খলীফা হারুনুর রশীদ
আব্বাসী
খলীফা হারুনুর রশীদ (৭৬৩-৮০৯খ্রি.) এর শাসন আমলে (৭৮৬-৮০৯খ্রি.) বাহলুল
নামে এক পাগল ছিল। যে অধিকাংশ সময় কবরস্থানে কাটাতো। কবরস্থানে থাকা
অবস্থায় একদিন বাদশাহ হারুনুর রশীদ তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
বাদশাহ তাকে ডাক দিলেন: বাহলুল! ওই পাগল! তোর কি আর জ্ঞান ফিরবে না? বাহলুল বাদশাহর এ কথা শুনে নাচতে নাচতে গাছের উপরের ডালে চড়লেন এবং সেখান থেকে ডাক দিল- হারুন! ওই পাগল! তোর কি কোনদিন জ্ঞান ফিরবে না? বাদশাহ গাছের নিচে এসে বাহলুলকে বললেন, আমি পাগল নাকি তুই, যে সারা দিন কবরস্থানে বসে থাকে? বাহলুল বলল, আমিই বুদ্ধিমান।
বাদশাহ: কীভাবে?
বাহলুল রাজপ্রাসাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বললেন, আমি জানি এই রঙ্গীলা দালান ক্ষণিকের আবাসস্থল, এবং এটি (কবরস্থান) স্থায়ী নিবাস;
এজন্য আমি মরার পূর্বেই এখানে বসবাস শুরু করেছি। অথচ তুই গ্রহণ করেছিস ঐ রঙ্গশালাকে আর এই স্থায়ীনিবাসকে (কবর) এড়িয়ে চলছিস। রাজপ্রসাদ থেকে এখানে আসাকে অপছন্দ করছিস যদিও তুই জানিস এটাই তোর শেষ গন্তব্য। এবার বল, আমাদের মধ্যে কে পাগল?
বাহলুলের মুখে এ কথা শোনার পর বাদশাহর অন্তর কেঁপে উঠল, তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁর দাড়ি ভিজে গেল।
তিনি বললেন: খোদার কসম! তুমিই সত্যবাদী। আমাকে আরও কিছু উপদেশ দাও! বাহলুল: তোমার উপদেশের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট। তাকে যথার্থভাবে আকড়ে ধর।
বাদশাহ: তোমার কোন কিছুর অভাব থাকলে আমাকে বল, আমি তা পূরণ করব। বাহলুল: হ্যা, আমার তিনটি অভাব আছে, এগুলো যদি তুমি পূরণ করতে পার তবে সারা জীবন তোমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব।
বাদশাহ: তুমি নিঃসঙ্কচে চাইতে পার।
বাহলুল: মরণের সময় হলে আমার আয়ূ বৃদ্ধি করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে মৃত্যুর ফেরেশতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে জান্নাতে স্থান করে দিতে হবে এবং জাহান্নাম থেকে আমাকে দূরে রাখতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: তবে জেন রাখ, তুমি বাদশাহ নও বরং তুমি অন্য কারও অধীনস্থ। অতএব তোমার কাছে আমার কোন চাওয়া বা প্রার্থনা নেই।
বাদশাহ তাকে ডাক দিলেন: বাহলুল! ওই পাগল! তোর কি আর জ্ঞান ফিরবে না? বাহলুল বাদশাহর এ কথা শুনে নাচতে নাচতে গাছের উপরের ডালে চড়লেন এবং সেখান থেকে ডাক দিল- হারুন! ওই পাগল! তোর কি কোনদিন জ্ঞান ফিরবে না? বাদশাহ গাছের নিচে এসে বাহলুলকে বললেন, আমি পাগল নাকি তুই, যে সারা দিন কবরস্থানে বসে থাকে? বাহলুল বলল, আমিই বুদ্ধিমান।
বাদশাহ: কীভাবে?
বাহলুল রাজপ্রাসাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বললেন, আমি জানি এই রঙ্গীলা দালান ক্ষণিকের আবাসস্থল, এবং এটি (কবরস্থান) স্থায়ী নিবাস;
এজন্য আমি মরার পূর্বেই এখানে বসবাস শুরু করেছি। অথচ তুই গ্রহণ করেছিস ঐ রঙ্গশালাকে আর এই স্থায়ীনিবাসকে (কবর) এড়িয়ে চলছিস। রাজপ্রসাদ থেকে এখানে আসাকে অপছন্দ করছিস যদিও তুই জানিস এটাই তোর শেষ গন্তব্য। এবার বল, আমাদের মধ্যে কে পাগল?
বাহলুলের মুখে এ কথা শোনার পর বাদশাহর অন্তর কেঁপে উঠল, তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁর দাড়ি ভিজে গেল।
তিনি বললেন: খোদার কসম! তুমিই সত্যবাদী। আমাকে আরও কিছু উপদেশ দাও! বাহলুল: তোমার উপদেশের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট। তাকে যথার্থভাবে আকড়ে ধর।
বাদশাহ: তোমার কোন কিছুর অভাব থাকলে আমাকে বল, আমি তা পূরণ করব। বাহলুল: হ্যা, আমার তিনটি অভাব আছে, এগুলো যদি তুমি পূরণ করতে পার তবে সারা জীবন তোমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব।
বাদশাহ: তুমি নিঃসঙ্কচে চাইতে পার।
বাহলুল: মরণের সময় হলে আমার আয়ূ বৃদ্ধি করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে মৃত্যুর ফেরেশতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে জান্নাতে স্থান করে দিতে হবে এবং জাহান্নাম থেকে আমাকে দূরে রাখতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: তবে জেন রাখ, তুমি বাদশাহ নও বরং তুমি অন্য কারও অধীনস্থ। অতএব তোমার কাছে আমার কোন চাওয়া বা প্রার্থনা নেই।
Saturday, August 31, 2013
ইমাম গাজ্জালী এর গল্প
মে 31, 2013
ইমাম গাজ্জালী একবার একটা গল্প
বলেছিলেন।
এক ব্যক্তি জঙ্গলে হাঁটছিলেন। হঠাৎ
দেখলেন এক সিংহ তার পিছু
নিয়েছে।
তিনি প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলেন।
কিছুদূর গিয়ে একটি পানিহীন
কুয়া দেখতে পেলেন। তিনি চোখ
বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ।
পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত
দড়ি দেখে তা খপ
করে ধরে ফেললেন এবং ঐ অবস্থায়
ঝুলে রইলেন। উপরে চেয়ে দেখলেন
কুয়ার
মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার
অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।
নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক
সাপ তার নিচে নামার অপেক্ষায়
চেয়ে আছে। বিপদের উপর
আরো বিপদ
হিসেবে দেখতে পেলেন
একটি সাদা আর একটি কালো ইঁদুর
তার
দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতেচাইছে।
এমন হিমশিম অবস্থায় কি করবেন যখন
তিনি বুঝতে পারছিলেন না, তখন
হঠাৎ তার সামনে কুয়ার
সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক
দেখতে পেলেন।
তিনি কি মনে করে সেই
মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল
ডুবিয়ে তা চেটে দেখলেন। সেই
মধুর মিষ্টতা এতই বেশি ছিল
যে তিনি কিছু মুহূর্তের জন্য উপরের
গর্জনরত সিংহ, নিচের
হাঁ করে থাকা সাপ, আর
দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের
কথা ভূলে গেলেন। ফলে তার বিপদ
অবিশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো।
ইমাম গাজ্জালী এই গল্পের
ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেনঃ
.ණ এই সিংহটি হচ্ছে আমাদের মৃত্যু,
যে সর্বক্ষণ
আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
.ණ সেই সাপটি হচ্ছে কবর।
যা আমাদের অপেক্ষায় আছে।
.ණ দড়িটি হচ্ছে আমাদের জীবন,
যাকে আশ্রয় করেই বেঁচে থাকা।
.ණ সাদা ইঁদুর হল দিন, আর কালো ইঁদুর হল
রাত, যারা প্রতিনিয়ত
ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের আয়ু
কমিয়ে দিয়ে আমাদের মৃত্যুর
দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
.ණ আর সেই মৌচাক হল দুনিয়া। যার
সামান্য মিষ্টতা পরখ
করে দেখতে গেলেও আমাদের এই
চতুর্মুখি ভয়ানক বিপদের
কথা ভূলে যাওয়াটা বাধ্য
Thursday, August 29, 2013
আল্লাহ যা করেন ভালর জন্য করেন>
এক
রাজার এক চাকর ছিল। চাকরটা সবসময় যেকোন অবস্থাতেই রাজাকে বলত, "রাজা মশাই,
কখনো মন খারাপ করবেন না। কেননা আল্লাহ যা করেন তার সবকিছুই নিখুঁত ও
সঠিক।"
একবার তারা শিকারে যেয়ে নিজেরাই এক হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের
শিকার হলো। রাজার চাকর সেই প্রাণীকে মারতে পারলেও, ততক্ষণে রাজা তার একটা
আঙুল খুইয়ে বসেছেন।
রাগে-যন্ত্রণায়-ক্ষোভে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে ওঠে, "আল্লাহ যদি ভালোই হবে তাহলে আজকে শিকারে এসে আমার আঙুল হারাতে হতো না।"
চাকর বলল, "এতকিছুর পরও আমি শুধু আপনাকে এটাই বলব, আল্লাহ সবসময়ই ভালো ও সঠিক কাজর করেন; কোনো ভুল করেন না।
চাকরের এই কথায় আরও ত্যক্ত হয়ে রাজা তাকে জেলে পাঠানোর হুকুম দিলেন।
এরপর একদিন রাজা আবার শিকারে বের হলেন। এবার তিনি একদল বন্য মানুষের হাতে
বন্দি হলেন। এরা তাদের দেবদেবির উদ্দেশ্যে মানুষকে বলি দিত। বলি দিতে যেয়ে
তারা দেখল যে, রাজার একটা আঙুল নেই। তারা এমন বিকলাঙ্গ কাউকে তাদের দেবতার
উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে রাজি হলো না। তাই তারা রাজাকে ছেড়ে দিল।
প্রাসাদে ফিরে এসে তিনি তার সেই পুরোনো চাকরকে মুক্ত করে দেওয়ার হুকুম
দিলেন। চাকরকে এনে বললেন,"ভাই, আল্লাহ আসলেই ভালো। আমি আজ প্রায় মরতেই
বসেছিলাম। কিন্তু আঙুল না-থাকার কারণে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।
"তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। আল্লাহ ভালো, এটা তো বুঝলাম। কিন্তু তাহলে তিনি আমাকে দিয়ে তোমাকে জেলে পুরলেন কেন?"
চাকর বলল, "রাজামশাই, আমি যদি আজ আপনার সাথে থাকতাম, তাহলে আপনার বদলে আজ
আমি কোরবান হয়ে যেতাম। আপনার আঙুল ছিল না, কিন্তু আমার তো ছিল। কাজেই
আল্লাহ যা করেন সেটাই সঠিক, তিনি কখনো কোনো ভুল করেন না।"
জীবনের নানা দুঃখকষ্ট নিয়ে আমাদের শত অভিযোগ। আমরা ভুলে যাই কোন কিছুই আপনাআপনি হয় না, বরং সবকিছুর পেছনেই একটি নির্দিষ্ট কারণ আছে।
আল্লাহই ভালো জানেন তিনি কেন এই কথাগুলো আপনাকে পড়ার সুযোগ করে দিলেন আজকে। তাই অন্যদেরকেও এই কথাগুলো শোনার সুযোগ করে দিন।
প্রত্যেকটা কাজের পেছনেই কারণ রয়েছে: যা ঘটে সেটা আমাদের ভালোর জন্যই- আল্লাহু আকবার!
এতটা ভালবাসার পরও তোমায়

বুঝাতে পারি নি তোমায় কতটা ভালবাসি।
মাঝে মাঝে যখন পুরনো দিনের
কথা ভাবি নিজের অজান্তেই কেদে ফেলি।
খুব বেশি কষ্ট হয় যখন ভাবি শুধুমাত্র
আমি দেখতে ভাল
না বলে তুমি আমায় ভালবাসি নি।
কই তুমি তো দেখতে খুব সুন্দর ছিলে না
কিন্তু আমার মনে তো তা নিয়ে কোনসংশয় ছিল
না।
আমিতো কখনো ভাবি না এসব তুচ্ছ ব্যাপার
নিয়ে।
কারন আমি বিশ্বাস
করি ভালবাসা মানে কারও বাহ্যিক সৌন্দর্য
না সেই
মানুষটার ভেতরকার মানুষটাকে ভালবাসা।
দুটো মানুষের দৈহিক না আত্মিক
মিলনে ভালবাসায় আসে পূর্ণতা।
জানি না তোমায় কতটা ভালবাসতে পেরেছি
কিন্তু আমার ভীষণ কষ্ট হয় যখন ভাবি আমার
ভালবাসা কেন আমার
এক বিন্দু পরিমান চোখের জলের ও কোন মূল্য
নেই
তোমার কাছে।
খুব বেশি ইচ্ছে হয় তোমাকে একটা মুহূর্ত এই
বুকের মাঝে শক্ত করে আগলে রাখি আমার
বিশ্বাস সেদিন তুমি বুঝতে পারবে এই
বুকে কতটা ভালবাসা জমেছে শুধু তোমায়
ভেবে,এই
বুকে কতটা আর্তনাত শুধু তোমায়
ভালবাসি বলে !!
** গল্পটি পড়ে দেখুন **

আপনার মন-মানসিকতা পরিবর্তন
হয়ে যাবে
ইনশাআল্লাহ্।
একদা একদিন কিছু লোক এক
অন্ধকার টানেল অতিক্রম করে যাচ্ছিল।
হঠাৎ তাদের পায়ের তলায়
সূচাল পাথর জাতীয় কিছু
অনুভব করল তারা।
এদের কেউ কেউ
তখন সে পাথরগুলো তুলে পকেটে ভরে নিল ---
অন্যরা যেন কষ্ট না পায় এই
নিয়তেই তারা এই ভালো কাজটা
করেছিল।
কেউ কিছু কিছু নিল,
আর কেউ নিল ই না। অবশেষে যখন অন্ধকার
টানেল থেকে বের হল,
দেখলো তাদের
কুড়ানো পাথরগুলো ছিল
ডায়মন্ড / হীরা -
তারা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল। যারা কম নিয়েছিল
তাদের বেশ আফসোসবোধ
হচ্ছিল যে কেন আরও
বেশি তারা তুলে নিল না;
আর একেবারেই যারা নেয়
নি তারা আরও বেশ অনুশোচনা করতে লাগলো।
এই দুনিয়া ঠিক এই
অন্ধকার টানেলের মতই।
আর এখান কার
ভালো কাজগুলো ডায়মন্ডের
মত... আখেরাতে যাদের
ভালো কাজের পরিমাণ
কম হবে,
তারা আফসোস করতে থাকবে কেন
আরও বেশী ভালো কাজ
তারা দুনিয়ায় করেনি..!!!
Monday, August 26, 2013
বাস্তব কাহিনী

একটি মেয়েকে বারবার ভালবাসার
প্রস্তাব
দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়
একটি ছেলে......
মেয়েটি প্রতিবারই বলেঃ "শোন, তোমার এক মাসের
বেতন আমারএকদিনের হাত খরচ।
তোমার সাথে সম্পর্ক করব
আমি!!!
ভাবলে কি করে!?! আমি তোমাকে কখনই
ভালবাসতে পারব না। করুনা করেও না।
তাই তুমি ভুলে যাও আমাকে।
তোমার
যোগ্যতা অনুযায়ী কাউকে ভালবাস আমাকে নয়!!
ছেলেটি তারপরেও
মেয়েটিকে ভুলতে পারে নাই!!" গল্পটি এখানে শেষ হলেও
হতে পারতো কিন্তু
. . . ••• ১০ বছর পরে হঠাৎ একদিন •••
ঐ মেয়েটি আর ছেলেটির একদিন
এক
শপিংমলে দেখা হয়ে গেল। দেখা হবার পর
মেয়েটি বললঃ "আরে তুমি! কেমন আছ?
জানো? আমার
বিয়ে হয়ে গেছে! আর আমার
স্বামীর বেতন কত জানো!
প্রতি মাসে এক লাখ টাকা!!! তুমি কল্পনা করতে পারো? আর আমার
স্বামী দেখতেও
অনেক স্মার্ট!একেবারে
সেইরকম!!!
বুঝলে তুমি!?! আচ্ছা!!! তোমার
কপালে কেউ জুটেছে নাকি? মেয়েটির এমন কথা শুনে ছেলেটির
চোখে পানি এসে গেল. . . .
এর কিছু সময় পরেই মেয়েটির
স্বামী চলে আসলো।
তখন মেয়েটি কিছু বলার আগেই
ওর স্বামী বলতে লাগলো ছেলেটিকে দে "আর এ
স্যার আপনি!!
এখানে কি মনে করে!!! তারপর
মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে ওর
স্বামী আরো বলতে লাগলো.... উনি আমাদের
বস, আর স্যার বর্তমানে যে ২০০ কোটি টাকার
প্রোজেক্ট
হাতে নিয়েছেন সেটা আমিই স্যারের
অধীনে কাজ করছি।আর মজার ব্যাপার
কি জানো!!! স্যার
একটা মেয়েকে ভালোবাসতো। তাই এখনও পর্যন্ত
বিয়েই করে নাই।
মেয়েটা কি লাকি তাইনা!!! কয়জন
এমনভাবে ভালবাসতে পারে?"
••• গল্পটির এখানেও
সমাপ্তি হয় না... কারন এ ধরনের গল্পের
কোনো সমাপ্তি নেই... তবে এটাই
সত্যিকারের ভালবাসা...
জীবনটা এক
অর্থে অনেক
বড়। কাউকেই ছোট করে দেখতে নেই। সময়ে এর স্রোতে অনেক কিছু
বদলে যেতে পারে।
সুতরাং কাউকে ছোট
না ভেবে সবার
ভালবাসাকেই
সম্মান করা উচিত... ।
Thursday, August 22, 2013
সুন্দর ও শিক্ষনীয় একটি গল্প

একজন প্রফেসর ক্লাসে প্রবেশ করলেন অর্ধ পূর্ণ একটি গ্লাস হাতে।
তিনি এটি সোজা করে ধরে তার শিক্ষার্থীদের বললেন, “এই গ্লাসটার ওজন
কত হবে?”
“৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম, ১৫০ গ্রাম”,
শিক্ষার্থীরা জবাব দিলো।
প্রফেসর বললেন, "আমি এর ওজন জানি না কারন আমি এটি পরিমাপ করিনি !!
কিন্তু আমার প্রশ্ন হল আমি যদি এই
গ্লাসটি কিছুক্ষন এভাবে ধরে রাখিকি হবে তাহলে?"
শিক্ষার্থীরা বললেন, "তেমন কিছুই
হবেনা!"
"আচ্ছা তাহলে আমি যদি এটা কয়েক
ঘণ্টা এভাবে ধরে রাখি তাহলে কি হবে?"
"আপনার হাতে ব্যথা শুরু হবে।"
একজন ছাত্র বললেন।
"ঠিক আছে, তাহলে আমি যদি এটাকে এক
দিন এভাবে ধরে রাখি তাহলে?”
আরেকজন বললেন “আপনার হাত অসাড়
যেতে পারে; আপনার পেশী গুলো কাজ
করবে না এবং আপনি প্যারালাইসড-ও
হয়ে যেতে পারেন এবং নিশ্চিত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে!”
শিক্ষার্থীরা একটু মজা পেতে শুরুকরল, কেউ কেউ হাসলও।
প্রফেসর বললেন, "খুব ভালো, কিন্তু
এই সময়ের মধ্যে কি এর ভরের বা উপাদানের কোন পরিবর্তন হবে?"
উত্তর আসলো “না”।
"আচ্ছা তাহলে সময় বাড়ার সাথে সাথে কেন আমার স্বাস্থ্যের অবনতিহবে?”
শিক্ষার্থীরা একটু দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ল।
"আচ্ছা, আমি যদি ব্যথা কমাতে চাই তাহলে আমাকে কি করতে হবে?"
একজন শিক্ষার্থী বলল "গ্লাস টাকে নামিয়ে রেখে দিতে হবে।"
প্রফেসর একটু আনন্দিত হয়ে বললেন, "এক্সাস্টলি!"
আমাদের জীবনের সমস্যাগুলোও এমনই।
কিছুক্ষন সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করলে, তেমন কিছু হবেনা।
কিন্তু যদি সারাদিন শুধু সমস্যা নিয়েই চিন্তা করো তাহলে সেটা তোমাকে কষ্ট দিতে শুরু করবে।
তুমি সমস্যা গুলো নিয়ে যত যত বেশি চিন্তা করবে তোমার কষ্ট গুলো বাড়তেই থাকবে, যার ফলে তোমার সব
কাজ বন্ধ হয়ে যাবে; জীবনের সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন, কিন্তু
এর থেকে আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল চিন্তাগুলো ঝেড়ে ফেলা।
প্রতিদিনের সমস্যাগুলো, ওই দিনই ভুলে যাও, রাতে খুব ভালো করে ঘুমাও এবং পরের দিন নতুন করে শুরুকরো ।
এভাবেই, তোমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতিটি সমস্যাকে মোকাবেলা করতে
দেখবে তোমাদের সামনে যত চালেঞ্জ-ই
আসুক না কেন তুমি জয়ী হবেই।।
Tuesday, August 20, 2013
সেকি মোর অপরাধ?
তুমি সুন্দর তাই
চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে
বলে না তো কিছু চাঁদ।।
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল
ফুল বলে না তো সে আমার
ভুল
মেঘ হেরি’ ঝুরে’
চাতকিনী
মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।
তুমি সুন্দর তাই
চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?।
জানে সূর্যেরে পাবে না
তবু অবুঝ সূর্যমুখী চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার
দেবতারে
দেখিয়াই সে যে সুখী।।
হেরিতে তোমার রূপ-
মনোহর
পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
মিটিতে দাও
হে প্রিয়তম মোর
নয়নের সেই সাধ।।
তুমি সুন্দর তাই
চেয়ে থাকি প্রিয় সেকি মোর অপরাধ?
“তুমি সুন্দর তাই
চেয়ে থাকি প্রিয়”
Monday, August 12, 2013
মহাবীর আলেকজান্ডার
মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার তার
সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন,'আমার
মৃত্যুর
পর
আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।
আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছে,শুধু আমার
চিকিতসকরাই
আমার কফিন বহন করবেন।
আমার ২য় অভিপ্রায় হচ্ছে, আমার কফিন
যে পথ
দিয়ে গোরস্থানে যাবে সেই পথে আমার
অর্জিত
সোনা ও রুপা ছড়িয়ে থাকবে |
আর শেষ অভিপ্রায় হচ্ছে, কফিন বহনের
সময়
আমার
দুইহাত কফিনের বাইরে ঝুলিয়েথাকবে।'
তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র
অভিপ্রায় কেন
করছেন প্রশ্ন করলেন। দীর্ঘ শ্বাস
গ্রহণকরে আলেকজান্ডার বললেন,
'আমি দুনিয়ার
সামনে তিনটি শিক্ষা রেখেযেতে চাই।
*আমার চিকিত্সকদের কফিন বহন
করতেএই
কারনে বলেছি যে যাতে লোকে অনুধাবন
করতে পারে যে চিকিত্সকেরা কোন
মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না।
তারা ক্ষমতাহীন
আরমৃত্যুর
থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম।'
*'গোরস্হানের পথে সোনা-
দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা ব
দানার একটা কণাও আমার
সঙ্গে যাবে না।এগুলো পাওয়ার
জন্যসারাটা জীবন
ব্যয় করেছি কিন্তু নিজের সঙ্গে কিছুই
নিয়ে যেতে পারছি না।মানুষ বুঝুক
এসবেরপেছনে ছোটা সময়ের অপচয়।'
* 'কফিনের বাইরে আমার হাত
ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা জানাতে
খালি হাতেই
পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি।
Monday, July 29, 2013
আকাঙ্খা ।। ঘটনাটি যখন ঘটেছিলোঃ সাল ১৯৮০।
ঘটনাটি আসলে দেখেছে আমার মামা। আমার নানা একজন মাউলানা সাহেব। তিনি তার
ছেলে (আমার মামা) কে চট্রগ্রামে একটি মাদ্রাসায় পড়তে পাঠান। আমার মামা
যেই মাদ্রাসায় ছিলেন সেই মাদ্রাসার পাশে একজন বিরাট ধনী লোক থাকতেন। সেই
লোক প্রতি শুক্রবারে মাদ্রাসা থেকে ১০ জন ছাত্রকে নিজের বাসায় নিয়ে যেতেন
এবং তাদের খাওয়াতেন। সিরিয়াল অনুযায়ী সব ছাত্ররাই তার বাসায়খানা খেতে
যেত। তো, একবার সেই সিরিয়াল অনুযায়ী একবার আমার মামার সময় এলো। মামা এবং
তার সাথের আর ১০ জন ছাত্র যাওয়ার জন্য তৈরি হলেন। রেডি হবার পর দেখা গেলো
৯ জন আছেন, কিন্তু আসাদ নামের একজন ছেলে, যার বাকিদের সাথে যাবার কোথা
ছিল, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সবাই খুব হন্যে হয়ে তাকে খুঁজে
বেড়াতে লাগলো। মাদ্রাসার প্রায় সব জায়গাতেই দেখা হল, কিন্তু তাকে খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছিল না। হটাত কেউ একজন বলল, “আসাদের তো জ্বর। ও ছাদে
মুয়াজ্জিনের রুমে ঘুমাইছে!” তারপর এক ছাত্র সেই রুমে নক করল। কিন্তু ভেতর
থেকে কেউ দরজা খুলল না। এইবার সে জোড়েজোড়ে বাড়ি দিতে লাগলো। কিন্তু তারপরও ভেতর থেকে কোনও সাড়াশব্দএলো না। শেষমেশ ছেলেটি কার্নিশেরউপর দাঁড়িয়ে জানলা দিয়ে ভেতরেউকি দিল।
ছেলেটি উকি দিয়ে খুব ভয়ঙ্কর কিছু একটা দেখল। দেখার সাথে সাথে বিকট
চিৎকার দিল এবং হুড়মুড় করে ছাদে এসে পড়লো। ছাদে এসেই সেজ্ঞান হারিয়ে
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
জ্ঞান ফেরার পর হুজুর তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, “তুই কি দেখেছিলি?”
সে বলল, “আমি দেখলাম আসাদের ড্রেস পড়া একটা মোটা অজগর সাপ বিছানায় শুয়ে আছে!”
একথা শুনে হুজুর সবাইকে বললেন যে আসাদকে যেনও কেউ কিছু না বলে। তারপর
কিছুদিন পড়ে আসাদ সুস্থ হলে হুজুর তাকে কাছে ডেকে বলেন, বাবা আসাদ, তুমি
যে একজন জীন সেটা আমরা সবাই টের পেয়েছি। তুমি যদি এখানে থাকো তাহলে সব
ছাত্র তোমার ভয়ে চলে যাবে। তাই তোমার কাছে অনুরোধ যে, তুমি এখান থেকে চলে
যাও।
এরপর আসাদ নামের সেই জীনটি ঐ মাদ্রাসা থেকে চলে যায়। কিন্তু
যাওয়ার আগে সে হুজুরকে নিজের সম্পর্কে কিছু কোথা বলে গিয়েছিলো, যেমন,
আসাদ তার প্রকৃত নাম নয়। তার নাম আমানুল্লাহ। তার বয়স ৩৮৬ বছর এবং তার মত
অনেক জীন বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানুষের রূপ
ধরে মানুষের সাথে পড়াশোনা করে। আসাদ রূপি আমানুল্লাহ আর বলেছিল যে, জীনরা
যখন অসুস্থ থাকেতখন তারা কোন রূপে থাকে তা নিজেরাও বুঝতে পারে নাহ।
ভালো লাগলে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন এবং আরো অনেক অনেক গল্প এবংসত্য ঘটনা পড়ুন ।
Saturday, July 27, 2013
দারুণ একটা গল্প, অব্যশই পড়ুন—
একদিন এক কৃষকের গাধা গভীর কুয়ায়
পড়ে গেলো। গাধাটা করুণ সুরে কেঁদে কৃষকের
দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাতে লাগলো। কৃষক
ভাবলো যেহেতু গাধাটা বৃদ্ধ হয়ে গেছে,
কাজেই একে উদ্ধারের ঝামেলায়
না গিয়ে মাটি ফেলে কুয়ার মাঝেই কবর দিয়ে ফেললেই ল্যাঠা চুকে যায়। কাজেই কৃষক
শাবল দিয়ে মাটি ফেলতে লাগলো গাধার উপর।
প্রথমে গাধা ঘটনা আঁচ করতে পেরে চিৎকার
করে গলা ফাঁটিয়ে কাঁদতে লাগলো। কিন্তু
কিছুক্ষণ পর সব শান্ত হয়ে গেলো। কৃষক এই
নিরবতার কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে কুয়ার ভিতর উঁকি দিয়ে অবাক হয়ে গেলো।
প্রতিবার যেই গাধাটার উপর
মাটি ফেলা হয়েছে, সে তা পিঠ
ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিয়ে সেই মাটিকে ধাপ
বানিয়ে একধাপ একধাপ করে বেশ
খানিকটা উপরে উঠে এসেছে। এটা দেখে কৃষক
আরো মাটি ফেললো এবং পরিশেষে গাধাটা বের
হয়ে আসলো কুয়া থেকে। মূলকথাঃ জীবন আপনার উপর শাবল
ভর্তি মাটি ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার
কাজ হচ্ছে সেই চাপা দেয়ার মাটিকেই
কাজে লাগিয়ে উপরে উঠা। প্রতিটি সমস্যাই
আসলে সমাধানের একটি করে ধাপ,
যদি আপনি তা কাজে লাগানোর মতো ইতিবাচক হয়ে থাকেন। যেকোন সুগভীর কুয়া থেকেই
মুক্তিলাভ সম্ভব, যদি না আপনি হাল
ছেড়ে দেন।.......
Tuesday, July 23, 2013
Sunday, July 21, 2013
নারী সৃষ্টির ইতিহাস--
ঈশ্বর
যখন নারী নির্মান শেষ করিয়া, পুরুষ কে উপহার দিয়া কইলেন, যাও সুখে
শান্তিতে মর্ত্যে বসবাস করিতে থাকো...তার ৭ দিন পর, পুরুষ ঈশ্বরের
উদ্দেশ্যে মহা ক্রন্দন জুড়িল...সেই ক্রন্দনে আকাশ বাতাস কাপিয়াঁ উঠিলে,
স্বয়ং ঈশ্বর পুরুষকে সুধাইলেন, কি হে ? কি হইয়াছে ? পুরুষ কান্দন প্রায়
বিলাপে পরিনত করিয়া কহিল...ঈশ্বর, এই কি যন্ত্রনা তুমি আমাকে উপহার দিলে
!?! দোহাই তোমার।।ইহা ফিরাইয়া লও ! আমি রমনী উপহার চাই না ! আমায় মুক্তি দাও !
তার আগে কহো যে, সমস্যাটা কোথায়?! ঈশ্বর ফের জিজ্ঞেস করিলেন! এই রমনী আমার জীবন অতিষ্ট করিয়া তুলিয়াছে ! এই কাদেঁ ...এই হাসে...এই রাগে গাল ফোলায়...এই মেজাজ খারাপ করে...এই চুপ থাকে...এই মিঠা কথা কয়...এই তিতা কথা কয়...আবার এই রাগে জ্বলেপুরে মরে...আমি ইহারে বুঝিতে পারি নাপ্রভু ! তোমার জিনিস ফিরাইয়া লও !!
আমি একা ভালো ছিলাম...একাই থাকিতে পারিব...আমার অমন উপহারের দরকার নাই...!! ঈশ্বর কহিলেন, হুমন...বুঝিতে পারিলাম...কিন্তু...স্বর্গের
নিয়ম অনুযায়ী তো আমরা উপহার ফিরাইয়া লইতে পারি না...আমরা শুধু প্রদান করি।
পুরুষ, হাউ মাউ করিয়া পুনরায় কান্দন জুড়িল...ঈশ্বর দয়া করো...আমি এই জিনিস
নিয়া পৃথিবীতে শান্তিয়ে ঘুমাইতে পারিতেছিনা না, খাইতে পারিতেছিনা...এমন কি
চলিতেও পারিতেছি না...সারাক্ষন আমারে পাহাড়ায় রাখে...নয়তঃ আমারেই তাহারে
পাহাড়া দিয়া রাখিতে হয় !!
ঈশ্বর কিছুক্ষন চুপ করিয়া কইলেন, তাহলে তুমি কইতেছো যে, এই উপহা্র তোমার যোগ্য হয় নি ?! পুরুষ তারাহুরা করিয়া কিছু না ভাবিয়াই কহিলো...অতশত বুঝিনা...উপহার আমার চাই না...নয়তঃ ঐ রমনী অখানে থাকুক, আমারে ফিরাইয়া লও প্রভু !
ঈশ্বর কহিলেন, সে তো তোমার সম্পর্কে কোনো অভিযোগ করে নি...তবে তুমি কেনো?? পুরুষ কহিল, আমি চাই না প্রভু...আমার একা জীবন-ই ভালো...আমায় ক্ষমা কর। ঈশ্বর কহিলেন, এক শর্তে আমি এই উপহার ফিরাইয়া লইতে পারি! আবার কোনো দিন এই উপহার ফিরৎ চাইতে পারবে না...ইহা অফেরৎ যোগ্য !
রাজী? পুরুষ কহিল, খুব রাজী! জীবনটা এইবার বড় বাচাঁ বেচেঁ গেলো !!
ঈশ্বর রমনী কে ধরনী হইতে উঠাইয়া আনিয়া স্বর্গে রাখিলেন। ২ দিন কাটিয়া গেলো !! ২ দিন পর, আবার পুরুষ, আসমান-জমিন কাপাঁইয়া কান্দন জুড়িল...ঈশ্বর কহিলেন, আবার কি হইলো ? পুরুষ কহিল, আমার কিছু ভাল লাগে না প্রভু, পৃথিবীতে ভীষন একা লাগে !! আমি একাকিত্বের যন্ত্রনা সইতে পারিতেছি না। আমার উপহার ফিরৎ দাও। দয়া করো!
ঈশ্বর কহিলেন, হুমন...আমি নিয়ম ভাঙ্গতে পারবো না...!! তুমি যাও...মর্ত্যে সুখে থাকো !! ভীষণ মন খারাপ করে আসার সময় ঈশ্বর সুধাইলেন, আচ্ছা...কেনো ভালো লাগছে না শুনি...?
পুরুষ কহিতে লাগিলো...আহা ওমন উপহারটি আমি কেমনে ফিরাইয়া দিলাম...সে সারাক্ষন আমার সাথে সাথে থাকিত, আমাকে মুখে তুলে খাওয়াইয়া দিতো, গান গেয়ে ঘুম পাড়াইত, কি সুন্দর মিষ্টি করে হাসিত...নিঃষ্পাপ ফুলের মত ..মন খারাপ করে বসে থাকলে মনে হতো...পৃথিবীটা শূন্য...খোচা দিয়ে কথা বললে মনে হতো...গায়ে কাঁটা দিলো...কিন্তু ভালো মন্দের বোধ শিখাইতো...মেজাজ খারাপ হইলে, তার হাতের ছোঁয়ায় মনে হইত শীতল ঝর্নার জলে পা ডুবাইয়া বসিয়া রহিয়াছি...!!
ঈশ্বর কইলেন, ব্যস ব্যস থামো...কিন্তু আমার নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম নেই !
পুরুষ চলে আসার আগে, কহিল...ঠিক আছে, আমি যাই তাহলে ! কিন্তু প্রভু...একটা প্রশ্ন ছিলো...! ঈশ্বর কহিলেন, শুধাও---পুরুষ কহিল, নারী কে এত সুন্দর করে কেনো তৈরী করলে, আর কী দিয়েই বা করলে ? ঈশ্বর হাসিয়া কহিলেন, নারী কে চিনি হইতে একটু মিষ্টি, তেতুল হইতে একটু টক, চিরতা হইতে একটু তিতা, লবনের নোনতা থেকে একটি লোনা...মরিচ হইতে একট ঝাল...নদী হইতে একটু সরলতা, সাগর হইতে একটু বিশালতা...এই রকম...আরো একশ উপাদান দিয়া...স্বর্গের সকল সৌন্দর্য্য দিয়া আমি পুরুষের জন্য উপহার হিসাবে, সৃষ্টি করিয়া মর্ত্যে পাঠাইয়াছিলাম...নির্বোধ পুরুষ তাহার মর্ম বুঝিতে পারে নি, সম্মান দেয় নি, তাই তাকে আবার ফিরাইয়া লইয়াছি।
অবঃশেষে...পুরুষ ভীষণ মন খারাপ লইয়া মর্ত্যের দিকে রওয়ানা দিলো...!
প্রায় দশ দিন পর ঈশ্বর দেখিলেন, পুরুষ নাওয়া খাওয়া ভুলিয়া...পোশাক আসাক খুলিয়া...পাগলের প্রলাপ বকিতেছে...!! ঈশ্বর দেখিয়া হাসিলেন ! কিন্তু প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গেন নি !! তারও দশ দিন পরে, পুরুষ ভীষণ অসুস্থ হইয়া...ঝরনার পাশে ভীষন অবহেলায় মৃত্যু বরন করিল। ঈশ্বর নারী বিরহে কাতর এবং প্রায় শহীদ পুরুষ কে স্বর্গবাসী করিলেন।
অতঃপর স্বর্গ হইতে নারী-পুরুষকে আবার ধরনীতে পাঠাইলেন ! তবে শর্ত দিয়া দিলেন, নারীর অমর্যাদা হইলে অথবা পুরুষের...কাওকেই আর স্বর্গ হইতে মর্ত্যে ফিরত পাঠাইবেন না ! কারন পরস্পর কে পরস্পরের জন্য উপহার হিসাবেই, তিনি মর্ত্যে পাঠাইয়াছেন।
আফসোস !! পুরুষরা এখনও এই সহজ বিষয়টা বুঝিতে পারে নাই !! কারন ঈশ্বর নিজেই পুরুষ নির্মানের সময়, গঠন-উপাদানে বৈচিত্র্য আনিতে পারেন নি, যেমন টি নারীর বেলায় করিয়াছিলেন ! সবচেয়ে মজার বিষয় হইলো, একমাত্র নারীরাই পুরুষদের এই সীমাবদ্ধতাটুকু ভালোবাসিতে পারিয়াছে, স্বয়ং পুরুষরাও এই বিষয়টি সম্পর্কে এখনও আশ্চর্যজনক ভাবে অজ্ঞাত !!
--উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় বেগম রোকেয়া কে।
নারী হিসাবে জন্ম গ্রহন করায়, যাঁর কাছ নারীরা গর্ববোধের দৃষ্টি অর্জন করে প্রতিনিয়ত !
তার আগে কহো যে, সমস্যাটা কোথায়?! ঈশ্বর ফের জিজ্ঞেস করিলেন! এই রমনী আমার জীবন অতিষ্ট করিয়া তুলিয়াছে ! এই কাদেঁ ...এই হাসে...এই রাগে গাল ফোলায়...এই মেজাজ খারাপ করে...এই চুপ থাকে...এই মিঠা কথা কয়...এই তিতা কথা কয়...আবার এই রাগে জ্বলেপুরে মরে...আমি ইহারে বুঝিতে পারি নাপ্রভু ! তোমার জিনিস ফিরাইয়া লও !!
আমি একা ভালো ছিলাম...একাই থাকিতে পারিব...আমার অমন উপহারের দরকার নাই...!! ঈশ্বর কহিলেন, হুমন...বুঝিতে পারিলাম...কিন্তু...স্বর্গে
ঈশ্বর কিছুক্ষন চুপ করিয়া কইলেন, তাহলে তুমি কইতেছো যে, এই উপহা্র তোমার যোগ্য হয় নি ?! পুরুষ তারাহুরা করিয়া কিছু না ভাবিয়াই কহিলো...অতশত বুঝিনা...উপহার আমার চাই না...নয়তঃ ঐ রমনী অখানে থাকুক, আমারে ফিরাইয়া লও প্রভু !
ঈশ্বর কহিলেন, সে তো তোমার সম্পর্কে কোনো অভিযোগ করে নি...তবে তুমি কেনো?? পুরুষ কহিল, আমি চাই না প্রভু...আমার একা জীবন-ই ভালো...আমায় ক্ষমা কর। ঈশ্বর কহিলেন, এক শর্তে আমি এই উপহার ফিরাইয়া লইতে পারি! আবার কোনো দিন এই উপহার ফিরৎ চাইতে পারবে না...ইহা অফেরৎ যোগ্য !
রাজী? পুরুষ কহিল, খুব রাজী! জীবনটা এইবার বড় বাচাঁ বেচেঁ গেলো !!
ঈশ্বর রমনী কে ধরনী হইতে উঠাইয়া আনিয়া স্বর্গে রাখিলেন। ২ দিন কাটিয়া গেলো !! ২ দিন পর, আবার পুরুষ, আসমান-জমিন কাপাঁইয়া কান্দন জুড়িল...ঈশ্বর কহিলেন, আবার কি হইলো ? পুরুষ কহিল, আমার কিছু ভাল লাগে না প্রভু, পৃথিবীতে ভীষন একা লাগে !! আমি একাকিত্বের যন্ত্রনা সইতে পারিতেছি না। আমার উপহার ফিরৎ দাও। দয়া করো!
ঈশ্বর কহিলেন, হুমন...আমি নিয়ম ভাঙ্গতে পারবো না...!! তুমি যাও...মর্ত্যে সুখে থাকো !! ভীষণ মন খারাপ করে আসার সময় ঈশ্বর সুধাইলেন, আচ্ছা...কেনো ভালো লাগছে না শুনি...?
পুরুষ কহিতে লাগিলো...আহা ওমন উপহারটি আমি কেমনে ফিরাইয়া দিলাম...সে সারাক্ষন আমার সাথে সাথে থাকিত, আমাকে মুখে তুলে খাওয়াইয়া দিতো, গান গেয়ে ঘুম পাড়াইত, কি সুন্দর মিষ্টি করে হাসিত...নিঃষ্পাপ ফুলের মত ..মন খারাপ করে বসে থাকলে মনে হতো...পৃথিবীটা শূন্য...খোচা দিয়ে কথা বললে মনে হতো...গায়ে কাঁটা দিলো...কিন্তু ভালো মন্দের বোধ শিখাইতো...মেজাজ খারাপ হইলে, তার হাতের ছোঁয়ায় মনে হইত শীতল ঝর্নার জলে পা ডুবাইয়া বসিয়া রহিয়াছি...!!
ঈশ্বর কইলেন, ব্যস ব্যস থামো...কিন্তু আমার নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম নেই !
পুরুষ চলে আসার আগে, কহিল...ঠিক আছে, আমি যাই তাহলে ! কিন্তু প্রভু...একটা প্রশ্ন ছিলো...! ঈশ্বর কহিলেন, শুধাও---পুরুষ কহিল, নারী কে এত সুন্দর করে কেনো তৈরী করলে, আর কী দিয়েই বা করলে ? ঈশ্বর হাসিয়া কহিলেন, নারী কে চিনি হইতে একটু মিষ্টি, তেতুল হইতে একটু টক, চিরতা হইতে একটু তিতা, লবনের নোনতা থেকে একটি লোনা...মরিচ হইতে একট ঝাল...নদী হইতে একটু সরলতা, সাগর হইতে একটু বিশালতা...এই রকম...আরো একশ উপাদান দিয়া...স্বর্গের সকল সৌন্দর্য্য দিয়া আমি পুরুষের জন্য উপহার হিসাবে, সৃষ্টি করিয়া মর্ত্যে পাঠাইয়াছিলাম...নির্বোধ পুরুষ তাহার মর্ম বুঝিতে পারে নি, সম্মান দেয় নি, তাই তাকে আবার ফিরাইয়া লইয়াছি।
অবঃশেষে...পুরুষ ভীষণ মন খারাপ লইয়া মর্ত্যের দিকে রওয়ানা দিলো...!
প্রায় দশ দিন পর ঈশ্বর দেখিলেন, পুরুষ নাওয়া খাওয়া ভুলিয়া...পোশাক আসাক খুলিয়া...পাগলের প্রলাপ বকিতেছে...!! ঈশ্বর দেখিয়া হাসিলেন ! কিন্তু প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গেন নি !! তারও দশ দিন পরে, পুরুষ ভীষণ অসুস্থ হইয়া...ঝরনার পাশে ভীষন অবহেলায় মৃত্যু বরন করিল। ঈশ্বর নারী বিরহে কাতর এবং প্রায় শহীদ পুরুষ কে স্বর্গবাসী করিলেন।
অতঃপর স্বর্গ হইতে নারী-পুরুষকে আবার ধরনীতে পাঠাইলেন ! তবে শর্ত দিয়া দিলেন, নারীর অমর্যাদা হইলে অথবা পুরুষের...কাওকেই আর স্বর্গ হইতে মর্ত্যে ফিরত পাঠাইবেন না ! কারন পরস্পর কে পরস্পরের জন্য উপহার হিসাবেই, তিনি মর্ত্যে পাঠাইয়াছেন।
আফসোস !! পুরুষরা এখনও এই সহজ বিষয়টা বুঝিতে পারে নাই !! কারন ঈশ্বর নিজেই পুরুষ নির্মানের সময়, গঠন-উপাদানে বৈচিত্র্য আনিতে পারেন নি, যেমন টি নারীর বেলায় করিয়াছিলেন ! সবচেয়ে মজার বিষয় হইলো, একমাত্র নারীরাই পুরুষদের এই সীমাবদ্ধতাটুকু ভালোবাসিতে পারিয়াছে, স্বয়ং পুরুষরাও এই বিষয়টি সম্পর্কে এখনও আশ্চর্যজনক ভাবে অজ্ঞাত !!
--উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় বেগম রোকেয়া কে।
নারী হিসাবে জন্ম গ্রহন করায়, যাঁর কাছ নারীরা গর্ববোধের দৃষ্টি অর্জন করে প্রতিনিয়ত !
Sunday, July 7, 2013
জানিনা কি এমন পাপ করেছিলাম
জানিনা কি এমন পাপ করেছিলাম
যে বিধাতা আমাকে তোমার মাধ্যমে শাস্তি দিলো, সত্যি চাইনি আমি এমন জীবন।
ভালোবাসার পেছনে যতোই ছুটেছি ততোই পিছিয়ে পরেছি,
হাত বাড়ালেই যেমন সব ছোঁয়া যায়না ঠিক তেমনি আমিও পারিনি তোমার মনটাকে ছুঁতে ।
বারবার আঘাত করে এই মনটাকে ভেঙে দিয়েছো কাঁচের মতো করে ।
একবারও ভাবোনি আমিও মানুষ, আমারও কষ্ট হয়, দুঃখ পেলে আর সবার মতো আমিও কাঁদি ।
জানি আমার এই চোখের পানি তোমার কাছে শুধুমাত্র নোনা জল ছাড়া আর কিছু নয়,
কিন্তু আমার কাছে প্রতিটি ফোঁটা হলো তীব্র আঘাতে গড়িয়ে পরা এক
রক্তধারা...
Thursday, July 4, 2013
সত্যিকারের ভালবাসা খুব কম..
আমরা কতই না কষ্ট করি ভালবাসার মানুষটির জন্য।
রিকশায় না গিয়ে হেটে যাই,
কিছু টাকা বাঁচবে বলে আর সেই টাকা দিয়ে
প্রিয় মানুষটিকে কিছু কিনে দেওয়ার জন্য।
হাতে কিছু টাকা থাকলে কত কিছুইনা করতে ইচ্ছে করে।
কিছু কেনার জন্য, কিছু খাবার জন্য,
অথচ তা না করে আমরা মোবাইলে ব্যালান্স করি
প্রিয় মানুষটির সাথে কথা বলার জন্য।
কত কিছু গিফট দেওয়ার জন্য যে মনটা ব্যকুল হয়ে থাকে
তা কাউকে বোঝানো যায়না।
অথচ সেই ভালবাসার মানুষটিই কোন কারন ছাড়াই
আমাদের জীবনটাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায়।
একটি বারের জন্যও ভাবেনা যে,
সে ছাড়া আমরা একেবারেই অসহায় !!!
আসলে সত্যিকারের ভালবাসা আছে তবে খুব কম..
সত্যিকারের ভালবাসা খুব কম..
আমরা কতই না কষ্ট করি ভালবাসার মানুষটির জন্য।
রিকশায় না গিয়ে হেটে যাই,
কিছু টাকা বাঁচবে বলে আর সেই টাকা দিয়ে
প্রিয় মানুষটিকে কিছু কিনে দেওয়ার জন্য।
হাতে কিছু টাকা থাকলে কত কিছুইনা করতে ইচ্ছে করে।
কিছু কেনার জন্য, কিছু খাবার জন্য,
অথচ তা না করে আমরা মোবাইলে ব্যালান্স করি
প্রিয় মানুষটির সাথে কথা বলার জন্য।
কত কিছু গিফট দেওয়ার জন্য যে মনটা ব্যকুল হয়ে থাকে
তা কাউকে বোঝানো যায়না।
অথচ সেই ভালবাসার মানুষটিই কোন কারন ছাড়াই
আমাদের জীবনটাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায়।
একটি বারের জন্যও ভাবেনা যে,
সে ছাড়া আমরা একেবারেই অসহায় !!!
আসলে সত্যিকারের ভালবাসা আছে তবে খুব কম..
মেয়েদের বোঝা খুব কঠিন ।
মেয়েদের বোঝা খুব কঠিন ।
একটি মেয়েকে কখনো পুরোপুরি বুঝতে যাবেন না ।
পুরোপুরি বুঝতে গেলে হয় আপনি পাগল হয়ে যাবেন
নয়তো আপনি মেয়েটির প্রেমে পড়ে যাবেন !
বেশি ভালোবাসি তোমাকে
ভালোবাসার মানুষটি সত্যিই সবার
থেকে আলাদা । সে যেন সবার
মাঝে থেকেও সবার ওপরে !
চোখ বন্ধ করলেও তার অস্তিত্ব
ভেসে ওঠে চোখের সামনে ।
তাকে জড়িয়ে ধরার মূহুর্ত ... উফ্ ! সে এক
অসাধারণ ফিলিংস ।
তার কপালে আলতো করে kiss
করে তাকে " i love u " বলার পর যখন প্রতিউত্তরে তার
মুখ থেকে " i love u too " শুনি তখন মনে হয় এটাই পৃথিবীর
সেরা বাক্য !
তার হাতটি ধরে বহুধুর চলার পরও মনে হয় যেন এইমাত্রই
তো হাঁটা শুরু করলাম, আরো অনেক পথ পেরোলেও তখন
ক্লান্তি গ্রাস করবে না ।
তার ছোট ছোট কথায় রাগ-অভিমাধ করা, নাক ফুলে লাল
হয়ে যাওয়ার পর যেন
তাকে আরও বেশি সুন্দর লাগে
তখন মনে হয় তাকে এই বুকের মাঝেই সারাটি জীবন
জড়িয়ে রাখি ।
আমি ভূল করলে তাকে sorry বলতেও খারাপ লাগে না ।
কারণ sorry বলা মানে তার কাছে ছোট হওয়া নয়
বরং সর্ম্পকটাকেই সবকিছুর
উর্ধ্বে দেখা ।
মাঝে মাঝে গলা ফাটিয়ে চিত্কার
করে বলতে ইচ্ছা করে " অননেক
বেশি ভালোবাসি তোমাকে, অনেক বেশি "
Wednesday, July 3, 2013
আমি কি করেছি
আমার এক
ফ্রেন্ডকে চুরি করে বিয়ে করতে আমি সাহায্য
করেছিলাম । ইচ্ছা করে করি নি , বন্ধু এবং বন্ধুর
লাভারের কান্না কাটি দেখে নগদ ৩২০০
টাকা দেওয়া সহ স্বাক্ষী সব কাজেই
আমি ছিলাম ।
বিয়ের পর আমার বাপের ঝাড়ি ,মেয়ের বাপের
ঝাড়ি ,ছেলের বাপের ঝাড়ি বাংলালিংক
দামে খেয়েছি ।
ছেলের বাপ এবং মেয়ের বাপের ধারণা ভিলেন
আমি আমি যত নষ্টের গোড়া ।
না খেয়ে জমানো ৩২০০ টাকার মাত্র ৩০
টাকা উদ্ধার
করতে পেরেছি বাকি টাকা লিল্লাহ ট্রাস্টে ।
কথায় কয় আম আর দুধ মিলে যায় বাগানের
আটি বাগানে ফেরত্ যায় । তারা দুই বিয়াই এখন
গলা ধরে হাটে মাগার আমি ভিলেন ভিলেনই
থেকে গেলাম ।
বন্ধু আমারে দেখলে অন্য রাস্তা ধরে । একদিন
ধরে বসলাম ,ঐ হালা তুই
আমারে দেখে পালিয়ে যাস কেনো ?
দোস্ত এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে কেউ
আছে নাকি । দোস্ত কয় তোর ভাবি কইছে পিয়াস
পোলাডার লগে জানি তুমারে না দেখি । দোস্ত
আমি যাই গা ,তোর ভাবী দেখলে খবর আছে ।
এইআ হইলো উপকার আর উপকারের বদলা
জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন ?
আমি কি করেছি ?
কিছু ভালোবাসা এবং ভালোলাগার গল্প
আর ফোন দিবা না !!"
"কি করলাম রে বাবা ??"
"আমার সাথে আর যোগাযোগ রাখার দরকার নাই !!"
"আজিব তো... আমি......"
খট করে ফোনটা কেটে যায় !!
পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় হাজারবার
কানে বেজে ওঠে "দুঃখিত
আপনি যে নম্বরে ডায়াল করেছেন সেটি বন্ধ
আছে" নামক যান্ত্রিক কন্ঠস্বর !!
"2 NEW MESSAGES"
"একটাবার ফোন ধরবা ?? ... ঢাকায়
নাকি বৃষ্টি হচ্ছে ... একটু বৃষ্টির শব্দ শুনতাম !!"
"আমাদের এখানেও বাতাস হচ্ছে ... আওয়াজ
শুনবা ??"
আকাশের ওপার থেকে কেউ একজন অবাক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখেনঃ
ছোট্ট পৃথিবীর ছোট্ট দুইটা বারান্দায়
দাঁড়িয়ে ফোনে কান পেতে একজন গভীর মনোযোগ
দিয়ে বৃষ্টির আওয়াজ শুনছে আর আরেকজন প্রচন্ড
আবেগ নিয়ে বাতাসের মৃদু শব্দ শুনছে !!
সেই মূহুর্তে একজোড়া চোখ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও
কোন বৃষ্টি হচ্ছিলো না !!
সেই মূহুর্তে বুকে আটকে থাকা "দীর্ঘশ্বাস"
ছাড়া পৃথিবীর কোথাও কোন বাতাসের শব্দ
ছিলো না !!"
Subscribe to:
Posts (Atom)